বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মেয়েদের আত্মরক্ষা একটা অতি প্রয়োজনীয় বিষয়। নিত্যদিনের জীবনে পথে হাঁটতে গিয়ে মেয়েদের বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। নিজেদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে খুঁজে নিতে হয় আত্মরক্ষার পথ। আত্মরক্ষার কৌশল হিসেবে এমন কিছু অস্ত্র যা সাথে থাকলে আপনি সহজেই কোনো সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।
জেনে নেব আত্মরক্ষায় ব্যবহৃত মারাত্মক পাঁচ অস্ত্রের কথা।
১| স্টান বন্দুক – একটি বৈদ্যুতিন শক অস্ত্র যা, গবেষক জ্যাক কভার ১৯৭৪ সালে এই ডিভাইসটি আবিষ্কার করে।
এটি অস্থায়ীভাবে পেশিগুলিকে ব্যাহত করে। স্টান বন্দুক সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক শক দেয়। এই বন্দুকগুলি সরাসরি যোগাযোগের অস্ত্র যা মূলত সংবেদনশীল স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে ব্যথার সম্মতিতে কাজ করে। এটি কিছু পেশি ব্যাহত হতে পারে, তবে সাধারণত 3-5 সেকেন্ডের সরাসরি যোগাযোগের প্রয়োজন হয়।
এই বন্দুক নিকটে অবস্থানকারী আক্রমণকারীকে খুব সহজেই কম সময়ের মধ্যে বিকল করে দিতে পারে। আত্মরক্ষার্থে স্টান বন্দুক উপযোগী অস্ত্র। এটি ব্যবহারের সময় আক্রমণকারীর সাথে আপনার সরাসরি যোগাযোগ থাকতে হবে।
• এগুলি ছোট আকারের হয়। এগুলি দেখতে অনেক সময় ফ্ল্যাশ লাইটের মতো হয় ও এর দ্বৈত ব্যবহারও থাকে।
• এগুলি রিচার্জেবেল হয় ও অপর দেহে প্রেরিত বিদ্যুৎ আপনার কাছে ফিরে আসে না।
২| টিজার বন্দুক – আমেরিকা আবিষ্কারক জ্যাক কভার ১৯৭০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে টিজারটি প্রথম তৈরি করেছিলেন।
টিজারটি দুটি ছোট ডার্টে আগুন ধরিয়ে দেয়। ডার্টগুলি পোশাক প্রবেশ করতে পারে এবং একবার তারা লক্ষ্যের সাথে যোগাযোগ করে, বৈদ্যুতিক শক সরবরাহ করে, যা লক্ষ্যটির স্নায়ুতন্ত্রকে ব্যাহত করে। ফলস্বরূপ আক্রমণকারী অস্থায়ীভাবে অক্ষম হয়ে যায়। টিজারটিকে আগ্নেয়াস্ত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয় না, কারণ এটি ডার্টগুলি প্রবর্তন করতে সংকুচিত নাইট্রোজেন ব্যবহার করে। এটি ব্যবহারের সময় আক্রমণকারীর সাথে সরাসরি যোগাযোগ থাকা আবশ্যক নয়।
• এই ডিভাইসটির নিখুঁত লক্ষ্য প্রয়োজন হয় না।
• ছোট আকারের ছদ্মবেশী ডিভাইস( মোবাইল )যা সহজেই আপনারা হ্যান্ড পার্সে নিয়ে ঘুরতে পারব।

৩| ইলেকট্রিক শক ওয়েভ জুতো – এটি আবিষ্কার করেছেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের কর্মী বাপ্পা রায়।
জুতোর মধ্যেই থাকবে জিপিএস সিস্টেম যা দিয়ে সহজেই লোকেশন ট্র্যাকিং করা যাবে পাশাপাশি থাকবে উচ্চমানের ভোল্টেজ অর্থাৎ মহিলারা চাইলেই এই জুতোর বৈদ্যুতিক ক্ষমতা দিয়ে অনায়াসে আক্রমণকারীকে লক্ষ্যচ্যুত করতেন পারবেন। একটি ফুল চার্জের ব্যাটারি প্রবল ধাক্কা দিতে সক্ষম হবে। ব্যাটারি চার্জিং হবে হাঁটতে হাঁটতেই। জুতোর ভিতরে থাকা সুইচটি দরকারের সময় অন করে দিলেই উদ্দেশ্য সফল করা সম্ভব হবে।
• জুতোর সাথে এপ্রকার প্রতিরক্ষাকারী ডিভাইস সবসময় আপনাদের সাথে থাকবে।
• প্রতিরক্ষাকালীন লোকেশান ট্রাকের মতো দরকারি জিনিস থাকছে এই ডিভাইসে।
৪| পেপার স্প্রে – মরিচ স্প্রে একটি স্ব-প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম যা, আক্রমণকারীটিকে শক্তিহীন উপস্থাপন করা সহজ। অ্যালান লি লিটম্যান এর আবিষ্কর্তা।
এটি এমন একটি তেল যা মুখে স্প্রে করার সময় অশ্রু তৈরি করে।
গোলমরিচের স্প্রেতে ভুক্তভোগী ব্যক্তি চোখে ব্যথা, চোখের চারদিকে লালচেভাব,শ্বাস নিতে সমস্যা,কাশি অনুভব করবে। এই উপসর্গগুলি ৩০ মিনিট বা তার চেয়ে বেশি সময় পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। আর আপনি নিজেকে রক্ষা করতে সফল হবেন।
• একাধিক ব্যক্তির দ্বারা আক্রমণ হলেও এটি ব্যবহারে খুব সহজে অল্প দূর থেকে নিজেকে সুরক্ষিত করতে পারেন।
• এই স্প্রে বহনের জন্য হালকা, বিশেষ কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই এটি ব্যবহার করা যায়।

৫| ট্যাকটিকাল পেন – এটির আবিস্কর্তা সোকে তাকায়ুকী কুবতা।
এগুলি জনপ্রিয় কারণ এগুলি সরল দৃষ্টিতে লুকিয়ে রাখা যেতে পারে। একটি অতিরিক্ত ধারালো বলপয়েন্ট যা আক্রমণকারীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে। এমনকি কাঁচের মাধ্যমে ভাঙ্গতে ব্যবহৃত হতে পারে।এটি পেন ও ফ্ল্যাশলাইট আকারেও ব্যবহার করা যায়। এটি ব্যবহারে আত্মরক্ষা আপনার হাতের মুঠোয়। এটি ব্যবহার করে আপনি সেই মুহূর্তে সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।
• এগুলি সরল দৃষ্টিতে লুকিয়ে রাখা যেতে পারে। এটিকে লোকের কাছে অস্ত্র হিসেবে চিহ্নিত হয় না।
• এটি হালকা, কমপ্যাক্ট অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এটি ধরার কৌশল সাধারণ পেনের মতোই।
নিজেদের আত্মরক্ষা নিজেদের হাতে। অনেকেই মার্শাল আর্টে দক্ষ নন।তাই এইপ্রকার স্বল্পমূল্যের কিছু প্রতিরক্ষা অস্ত্র ব্যবহার করে সহজেই আক্রমণকারীকে কুপোকাত করতে পারবেন।