ইউক্রেন ও রুশ সেনাদের মধ্যে যুদ্ধ এখন বিপজ্জনক মোড় নিয়েছে। অস্ত্রের ঘাটতির মুখোমুখি রাশিয়ান সৈন্যরা এখন হাইপারসনিক মিসাইল ব্যবহার শুরু করেছে। রাশিয়ান সৈন্যরা শুধুমাত্র অস্ত্রের অভাবের ভয়ে ভীত নয়, তাদের ক্রমাগত হ্রাসের সংখ্যাও ভয় পায়। পশ্চিমা দেশগুলো আশঙ্কা করছে যে যুদ্ধে তাদের সৈন্যদের ক্রমাগত মৃত্যুর মধ্যে রাশিয়া যেকোনো সময় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। অন্যদিকে, ইউক্রেন সরকারের দাবি, এই যুদ্ধে ইউক্রেনের সেনারা রাশিয়ার দাঁত চেপেছে। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত 14700 রুশ সেনা মারা গেছে।

আজ রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের 25 তম দিন। শনিবার থেকে রুশ সেনারা হাইপারসনিক মিসাইল দিয়ে ইউক্রেনের মাটিতে হামলা শুরু করেছে। এ পর্যন্ত রাশিয়া এ ধরনের দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করার জন্যও পরিচিত। তবে রাশিয়া এখনো পারমাণবিক বোমার ব্যবহার শুরু করেনি।

ইউক্রেন

ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের 25 দিন হয়ে গেছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কিয়েভের রাজধানী রাশিয়ান সৈন্যরা দখল করতে পারেনি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শিগগিরই বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পশ্চিমা দেশগুলো আশঙ্কা করছে পুতিন পারমাণবিক হামলার নির্দেশ দিতে পারেন। তিনি মনে করেন, এই যুদ্ধে রাশিয়ারও প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে। এ ছাড়া তাদের কাছে অস্ত্রের সংকটও শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পুতিন কিছু বড় এবং বিশ্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

পরিসংখ্যান অনুসারে, রাশিয়ার কাছে 6255 পারমাণবিক বোমা রয়েছে, যা বিশ্বের যে কোনও দেশের চেয়ে বেশি। যেখানে আমেরিকার কাছে 5550 পারমাণবিক বোমা রয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্রে অত্যন্ত ভারী।