নিজস্ব সংবাদদাতা- আইএসএলে এসসি ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্যের চাকা অবশেষে ঘুরতে শুরু করেছে। এক সময় পর পর হারতে থাকায় প্রশ্ন উঠে গিয়েছিলো এবারের আইএসএলে কি ইস্টবেঙ্গল আদৌ কোনো ম্যাচ জিততে পারবে? কিন্তু দলের পারফরম্যান্স ধীরে ধীরে উন্নত হতে থাকায় লগ্নিকারী শ্রী সিমেন্টের পক্ষ থেকে ইস্টবেঙ্গলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে বিভিন্ন সূত্র থেকে। যদিও এখনও বেশ কিছু বিতর্ক আছে।
শোনা যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গলে খেলে যাওয়া বিভিন্ন প্রাক্তন ফুটবলার এবং বর্তমান কোচ রবি ফাউলারের মাধ্যমে ইউরোপের কোনো একটি শক্তিশালী দলের সঙ্গে এসি ইস্টবেঙ্গলের গাঁটছড়া বাঁধতে চায় শ্রী সিমেন্ট। সেক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দের তালিকায় আছে রবি ফাউলারের নিজের দল লিভারপুলের পাশাপাশি ইতালির এসি মিলান।
এই গাঁটছড়ার ঘটনা যদি বাস্তবায়িত হয় সেক্ষেত্রে ইউরোপ থেকে সংশ্লিষ্ট ক্লাবের বিশেষজ্ঞরা এসে নিয়মিত ভিত্তিতে ইস্টবেঙ্গলের জুনিয়র ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ দেবেন। পাশাপাশি আইএসএল দলের ফুটবলার আদান-প্রদানের মতো ঘটনাও ঘটবে। এছাড়াও শ্রী সিমেন্ট কলকাতা লিগে সম্পূর্ণ বাঙালি ফুটবলারদের নিয়ে দল তৈরি করে খেলতে চায়। এক্ষেত্রে তাদের লক্ষ্য সত্তর-আশির দশকের মতো দলে সাত থেকে আটজন বাঙালি ফুটবলার থাকবে, যাদের স্পটাররা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঘুরে ঘুরে তুলে নিয়ে আসবে।
যদিও এত পরিকল্পনার মধ্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ কাঁটা থেকে গিয়েছে। কারণ এখনও পর্যন্ত শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শেয়ার হস্তান্তর নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের চুক্তি হয়নি। জানা যাচ্ছে নানা টালবাহানা সৃষ্টি করে ক্লাব কর্তারা চুক্তি করার দিন প্রতি মুহূর্তে পিছিয়ে দিচ্ছে। যে ঘটনাকে শ্রী সিমেন্টের মালিক পক্ষের তরফ থেকেও খুব একটা ভালোভাবে দেখা হচ্ছে না। তারা ইতিমধ্যেই ইস্টবেঙ্গল কর্তাদেরকে চূড়ান্ত অপেশাদার বলে তোপ দেগেছেন।
ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে শ্রী সিমেন্ট ম্যানেজমেন্টের সম্পর্ক বর্তমানে একদম তলানিতে গিয়ে ঠেকায় সংশয় তৈরি হয়েছে আগামী মরসুমে আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে এই ব্যবসায়ীক সংগঠনটি যুক্ত থাকবে কিনা। কারণ চূড়ান্ত পর্যায়ের চুক্তি না হলে নতুন করে লগ্নির ঝুঁকি শ্রী সিমেন্ট নেবে না বলেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। সে ক্ষেত্রে ইউরোপের ক্লাবের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার যাবতীয় পরিকল্পনারও সলিল সমাধি ঘটবে। এখন দেখার ইস্টবেঙ্গল কর্তারা শেষ পর্যন্ত ময়দানী গয়ংগচ্ছ মনোভাব ত্যাগ করে চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন কিনা।