নিজস্ব সংবাদদাতা: বর্তমানে ভয়ঙ্কর করোনা সংক্রমণের কারণে নাজেহাল গোটা দেশ। অক্সিজেনের অভাবে প্রতিদিনই মারা যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এইসময় দেশের মাটিতে আইপিএল আয়োজন নিয়ে ইতিমধ্যেই ঘরে-বাইরে কটাক্ষের শিকার হয়েছে বিসিসিআই। যেখানে গোটা দেশে বর্তমানে মৃত্যু মিছিল চলছে, সেখানে এইভাবে কোটি কোটি টাকা একটা খেলার পেছনে ওড়ানো হচ্ছে- তা কতটা যুক্তিসঙ্গত, এই প্রশ্ন অনেকেই তুলেছেন।

তবে এই সময়ে করোনা, চোট এবং অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দল রাজস্থান রয়্যালস। মাঠ এবং মাঠের বাইরে- দু’জায়গাতেই সমস্যায় রয়েছে শিল্পা শেট্টির দল। টিমের অন্দরে এবং বাইরে তীব্র অস্বস্তি রয়েছে। চলতি আইপিএলে ২২ গজে তাদের পারফরম্যান্স একেবারেই আহামরি নয়। যদিও তাদের শেষ ম্যাচে তারা কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছে।

এদিকে, সেই ম্যাচ শেষেই তাদের ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট অপারেশন কুমার সাঙ্গাকারাকে বাকি সদস্যদের বার্তা দিতে দেখা যায় যে অস্ট্রেলিয়ান পেসার অ্যান্ড্রু টাই পরের দিন দেশে ফিরছেন। পরবর্তীতে টাই নিজে মুখ খুলে জানান, করোনার কারণে দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়তে পারেন, এই ভয়েই তিনি আইপিএলের মাঝ পথে দেশে ফিরে গিয়েছেন। যদিও বর্তমানে তাঁর আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। আগামী ১৫মে পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা বন্ধ রেখে অস্ট্রেলিয়া।

এদিকে, হাতের আঙুল ভেঙে যাওয়ার কারণে ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ডে ফিরে গিয়েছেন বেন স্টোকস। তাঁর অপারেশনও হয়ে গিয়েছে। ১২ সপ্তাহ তিনি হয়তো মাঠের বাইরে থাকবেন। জোফ্রা আর্চারও কনুইয়ের অপারেশনের পরে সুস্থ না হওয়ার কারণে আইপিএল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়া, বায়ো-বাবলে থাকার কারণে ক্লান্তি অনুভব করায় দেশে ফিরেছেন লিভিংস্টোনও। সবমিলিয়ে এই অবস্থায় মহা সমস্যায় পড়েছে রাজস্থান রয়্যালস।

তাই জন্য তারা অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যাতে তাঁদেরকে বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে লোনে দলে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। দক্ষিণ ভারতের এক ফ্র্যাঞ্চাইজির সিইও জানান, “আমরা রাজস্থানের তরফে এমন অনুরোধ পেয়েছি। তবে এই বিষয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। টিম ম্যানেজমেন্ট এই বিষয়ে বৈঠকে বসবে। তবে কোচের সিদ্ধান্ত মেনেই আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।”