নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারতে গত জানুয়ারি মাস থেকে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এরপর থেকে এখনও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার ভ্যাকসিন পাঠানো হচ্ছে। প্রতিবেশী বাংলাদেশও ভারতের থেকেই করোনার ভ্যাকসিন আমদানি করেছে। যেখানে এখনও গোটা দেশের জনগণ টিকা পায়নি, সেখানে কেন বিদেশে এখনই টিকা রফতানি হচ্ছে, সেই প্রশ্ন উঠেছে। তবে কেন্দ্রের তরফে বারবার বলা হচ্ছে, ভারতে করোনার টিকার কোনও ঘাটতি নেই।

কিন্তু একাধিক রাজ্যের পরিস্থিতি একেবারে অন্য। মহারাষ্ট্র সরকার আগেই জানিয়েছে, রাজ্যে করোনা টিকা শেষের পথে। পাল্টা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছিল, মহারাষ্ট্র নিজের গাফিলতি ঢাকতেই এই সব বলছে। কিন্তু একাধিক রাজ্যে যে করোনা টিকার অভাব রয়েছে তার প্রমাণ এবার মিলছে উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের একাধিক সেশন সেন্টারেই। গাজিয়াবাদের বিভিন্ন সেশন সেন্টারে পোস্টার পড়েছে ‘ভ্যাকসিন আউট অব স্টক।’ সেখানে পোস্টারে বড় বড় করে লেখা হয়েছে, “ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত জোগান নেই সিএমও অফিসে। তাই হাসপাতালে আসার আগে ফোন করে আসুন।”

সেই রাজ্যগুলির বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালেও গত সোমবার থেকে বন্ধ রয়েছে টিকাকরণ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাতে পারছে না ভ্যাকসিনের পরবর্তী লট ফের কবে আসবে। অন্যদিকে ভ্যাকসিনের অভাবে মুম্বইয়ের ২৬টি সেশন সেন্টার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে এদিন জানিয়েছেন, কেন্দ্রের কাছ থেকে আরও বেশি ভ্যাকসিন প্রয়োজন। আগেই রাজেশ তোপে জানিয়েছিলেন যা ভ্যাকসিন আছে তাতে গোটা রাজ্যে স্রেফ ৩ দিন টিকাকরণ চালানো যাবে। মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় টিকাকরণ বন্ধ হয়েছে গতকাল সন্ধ্যা থেকেই।

অন্যদিকে সমাজবাদী কংগ্রেস দলের সাংসদ সুপ্রিয়া সূলে টুইট করে জানিয়েছেন, আজ পুণেতে ১০০টির বেশি সেশন সেন্টার ভ্যাকসিনের ঘাটতির জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ভ্যাকসিনের এই আকাল পরিস্থিতি নিয়ে মহারাষ্ট্রের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, তা দিন দিন ক্রমশ জোরাল হচ্ছে। কারণ দিল্লীর কেজরিওয়াল সরকারের সঙ্গেও কেন্দ্রের এই বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন দিল্লী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন, সেখানে জাতীয় গড়ের থেকে কম টিকাকরণ হচ্ছে। যদিও দিল্লী প্রশাসন সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে।