নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২০১৪ সালে প্রাথমিকের টেট প্রশ্নপত্রে ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল।সেই ৬ নম্বর উদ্ধার করতে পরীক্ষার পর মামলা করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘ জলঘোলা হবার পরও ২০২০ সালের মধ্যে সেই মামলার কোনো নিষ্পত্তি হয়নি। ইতিমধ্যে বছর শেষে আবার প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ যুবকযুবতিদের অনলাইনে নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হলে তার স্থগিতাদেশ দাবি করে আরেক দফা মামলা দায়ের হয়। ভুল প্রশ্নের ৬টি নম্বর পেলে আরো অনেকেই যে টেট উত্তীর্ণের তালিকায় আসতে পারেন, তাই আগে সেই কাজ সম্পন্ন করা হোক, তারপর নতুন নিয়োগ-এমন দাবি তুলে প্রার্থীরা বিক্ষুব্ধ প্রতিবাদ জানান।
গত ৪ই জানুয়ারি হাইকোর্টে একাধিক মামলার শুনানি বেরোয়। সমাধান হয় সেই বহুদিনের ভুল প্রশ্নপত্রের সমস্যারও। নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি করেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী অল্প নম্বরের জন্য অনেকেই টেট পাশ করতে পারেন নি কিন্তু এতদিনে এই ৬ নম্বরের সমস্যাটি দূর করা হলে প্যানেলে উঠে আসতে পারতো আরও কিছু নাম।তাই এই মামলায় নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত না করে, উত্তীর্ণদের তালিকা সংশোধন করে তাদেরও সুযোগ দেওয়া হোক।
চাকরি প্রার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট এই মর্মে রায় দিয়েছে যে, ২০১৪ সালে হওয়া প্রাথমিক টেট প্রশ্নপত্রে ভুলের কারণে যেসমস্ত আবেদনকারী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তারা যদি আদালতের পরবর্তী নির্দেশে টেট উত্তীর্ণ বলে ঘোষিত হন, তবে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নতুন করে উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের সমস্ত নথি যাচাইয়ের জন্য আগামী ৮ তারিখ পর্যন্ত সময় বাড়াতে হবে।যদি অনলাইনে তাঁদের অসুবিধে হয় তবে অফলাইনেও নথি জমা দিতে পারবেন।