নিজস্ব সংবাদদাতা- তথাগত রায় এক সময় বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি ছিলেন। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাকে প্রথমে ত্রিপুরা ও পরে মেঘালয়ের রাজ্যপাল করে পাঠানো হয়। কিন্তু সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসার বাসনায় কার্যকালের মেয়াদ শেষ হবার আগেই রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দেন। অবশ্য এখনো পর্যন্ত রাজ্য বিজেপি তাকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো দায়িত্ব বা পদ দেয়নি।
চাকরি জীবনে তথাগত বাবু ছিলেন কলকাতা মেট্রো রেলের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার। তার এই প্রযুক্তির প্রিয়তা সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রেও সব সময় দেখা যায়। রাজ্যপাল থাকার সময়েও বিজেপির পক্ষ নিয়ে নিয়মিত টুইট করতেন তিনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অসংখ্যবার বিতর্কেও জড়ান। রাজ্যপাল পদ ছেড়ে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে আসার পরও তার সেই টুইটের অভ্যাস একই রকমভাবে বজায় আছে। তবে এবার এক কদর্য ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেন এই বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা।
টলিউড অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ কয়েকদিন আগে একটি বাংলা সংবাদমাধ্যম আয়োজিত বিতর্ক সভায় অংশগ্রহণ করে বলেন, “জয় শ্রী রাম ধ্বনিকে ভুল ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। শুনলে মনে হবে এটা যেন রণধ্বনি। অথচ ভক্তি ভরে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে জয় শ্রী রাম বলা উচিত।” এরপরই তথাগত বাবু টুইটারে সায়নী ঘোষকে ট্যাগ করে লেখেন, “এই ‘টাইপটাকে’ দেখেই কথায় বলে মূর্খের অশেষ দোষ। তবে এই মুর্খামির দায় শুধু সায়নী ঘোষের নয়।”
তার হাঁটুর বয়সী একজন মহিলার প্রতি ‘টাইপ’ শব্দ ব্যবহার করা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ঝড় ওঠে। অনেক নেট নাগরিক প্রশ্ন তোলেন কিভাবে একজন মানুষ তার হাঁটুর বয়সী এক মহিলা সম্বন্ধে এরকম কদর্য ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে পারেন! অবশ্য সায়নী ঘোষও তথাগত বাবুকে ছেড়ে দেননি। তিনি পাল্টা টুইট করে লেখেন, “আরে টাইপ গোছের শব্দ লিখে আপনি নিজের মানসিক ও সামাজিক সংকীর্ণতার পরিচয় দিলেন।” সেই সঙ্গে এই অভিনেত্রী পাল্টা তথাগত রায়কে ‘জিনিস’ বলে সম্মোধন করেন।
অবশ্য অনেক বিজেপি সমর্থক এই পোস্টগুলিতে সায়নী ঘোষকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে, সেইসঙ্গে তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত তথাগত বাবু ক্ষমা চেয়ে নিয়ে গোটা বিষয়টিতে ইতি টানেন।