আড়িপাতা স্বভাব কার নেই ? লোকের বাড়িতেও মানুষ যেমন পাড়ে তেমন ফোনের মাধ্যমেও যে কেউ আপনার জীবনে আরি পাততে পারে এটা কখনও ভেবে দেখেছেন। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। মানুষের জীবনে শত্রুর  শেষ নেই  তাই সে কিভাবে, কোন পন্থা অবলম্বন করে আপনার ক্ষতি করবে আপনার অজানা। সে কিন্তু ক্ষতির মাধ্যম হিসেবে আপনার ফোনকেও বেঁছে নিতে পারে। কারন সেটি সহজ উপায় , আপনার থেকে সকল তথ্য চুরি করে নিলে আপনিও বিপদে পড়বেন , আর আপনার ক্ষতিসাধনো হবে। তাই হ্যাকিং  থেকে নিজের ফোনকে কিভাবে প্রতিরোধ করবেন জেনে নিন সেই বিষয়ক তথ্য.

হ্যাকিং প্রতিরোধের ৫ টি বিষয়

সিকিউরিটি সিস্টেমের দিকে নজর

আমরা অনেক সময় যার তার হাতে নিজের ফোন দিয়ে দি। তারা আমাদের ফনের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করতে পারে। আবার কখনও কখনও যারা হ্যাকার হয় তারা আমাদের ফোনের বিভিন্ন অ্যাপের সাহায্যে আমাদের ফোনে থাকা তথ্য লোপাট করার  চেষ্টা করে। কারন অনেক সময়  আমরা ফোনে কোন সিকিউরিটি সিস্টেম দিয়ে রাখিনা। তাই যদি আমরা  গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে সিকিউরিটি প্রদানকারী অ্যাপ ডাউনলোড  করে যে সকল অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান হয় সেই রাস্তা যদি পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করে দি তাহলে কোন দ্বিতীয় ব্যক্তি চাইলেও ফোন হ্যাক করতে পারবে না।

অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টলেশন

নতুন ফোন হোক কিংবা পুরনো সর্বদা অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টলেশন করুন। আমরা আমদের শরীরে রোগ প্রতিরোধের জন্য যেমন বিভিন্ন ভ্যাকসিন বা টিকা নিয়ে থাকি তেমনই ফোনের রোগ প্রতিরোধের জন্য ভ্যাকসিন দেওয়া অত্যন্ত জরুরী। তাই ফোনের হ্যকিংকে প্রতিরোধ করতে ফোনে ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টলেশন করুন। এতে ফোনের মাধ্যমে ভাইরাস প্রবেশ করার পথ বন্ধ হবে এবং কোন মুখোশধারী শত্রু আপনার ফোনের গোপন তথ্য তার হাতের নাগালে পাবে না। তাই অ্যান্টিভাইরাসের মাধ্যমে নিজের প্রানের অধিক প্রিয় ফোনকে সুরক্ষা দেওয়ার ব্যাবস্থা করুন।

যাচাইবিহীন কোন অ্যাপ ডাউনলোড নয়

 ফেসবুক করাকালীন অনেক সময় অনেক আকর্ষনীয় অ্যাপ পপ-আপ দিয়ে থাকে এবং কৌতূহলবসে অনেকেই সেই ফাঁদে পা দিয়ে ঐ জাতীয় অ্যাপ নিজেদের ফোনে ডাউনলোড করে ফেলে। আর ফলে হ্যাকাররা সাকসেসফুল হয়। তাই যে কোন অ্যাপকে নিজের ফোনে জায়গা দেওয়ার আগে সেটি যাচাই করে নিন। ঐ ধরনের সত্যি কোন অ্যাপ থাকলে সেটি অবশ্যই প্লে স্টোরে থাকবে। আর আপনার ইচ্ছে হলে প্লে স্টোর থেকেই সেটি ডাউনলোড করুন। প্লে স্টোর ব্যাতীত অন্য কোন জায়গা হতে ডাউনলোড করতে যাবেন না । আর অবশ্যই কোন ভিত্তিহীন অ্যাপ শুধু মাত্র কৌতুহল বশে ব্যবহার করবেন না।

অপরিচিত লিংকে যাচাই না করে প্রবেশ নিষিদ্ধ

অনেক সময় অনেক বন্ধু বান্ধব অনেক ধরনের গেমিং, শপিং লিঙ্ক, ও অন্যান্য লিঙ্ক পাঠিয়ে থাকে এবং আমরা সেটায় ক্লিক করে দেখতে চাই কিসের লিংক। শুধু তাই নয় ফেসবুক ও ইউটিউবে এই ধরনের  অনেক অপরিচিত লিংক কোথা শুনে সেগুলো ব্যবহার করে  থাকি। হতে পারে সেই লিংকগুলি যাচাই না করে সকলে প্রচার করেছে। হয়তো তারাও এই বিষয়ে অবগত নয়। এই লিংকের সাহায্যে হ্যাকাররা আমাদের ফোনের যাবতীয় নথি, যেমন ব্যংকের ইনফরমেশন, গুরুত্বপুর্ণ মেইল নিয়ে নেয়। শুধু তাই নয় আপনার ফোন নাম্বারর সাহায্যে আপনার অজান্তেই কোন দুষ্কৃতীমূলক কাজ করে থাকতে পারে। এমনকি এর মাধ্যমে সে আপনার ক্যামেরাকে হ্যাক করে আপনার ব্যক্তিগত জীবনের ছবিও দেখতে ও তুলতে পারে। তাই কোন অপরিচিত লিংক যাচাই না করে ক্লিক করবেন না । একটি ছোট্ট ক্লিক কিন্তু আপনার বিশাল কোন ক্ষতি করতে পারে।

অসুরক্ষিত ওয়াইফাই ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন

নিজের ফোনের ডাটা বাঁচানোর জন্য বা ফ্রি তে ওয়াই ফাই পেতে আমরা অনেক আনলক পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করি। আবার ফ্রি ওয়াইফাই জোন দেখলে সেখানে দাঁড়িয়ে যাই কোন ফাইল ডাউনলোড করতে। কিন্তু জানেন কি এটিও এক প্রকার হ্যাকিং সিস্টেম। সবগুলো যে এক হবে তা না। কিন্তু যাদের মস্তিষ্কে সর্বক্ষন অপরাধমুলিক চিন্তা ভাবনা চলে তাঁদের দ্বারা এটা সম্ভব। এই ওয়াইফাই সিস্টেম আপনি আপনার ফোনে একবার চালু করলে আপনার তথ্য চুরি তো হতেই পারে সাথে আপনি কার সাথে যোগাযোগ রাখছেন, কি বলছেন, কোথায় যাচ্ছেন, কখন বেরোচ্ছেন, বাড়ি কোথায় সব তার নখদর্পনে থাকছে। তাই সাবধান। এই ধরনের হ্যাকিং রুখতে এরম অসুরক্ষিত ওয়াইফাই ব্যবহার করবেন না।

*** এছাড়াও খেয়াল রাখবেন কোন অ্যাপ ইনস্টলেশন হোক, কিংবা জি পি এস অন করার মুহুর্ত, বা এমন কোন সময় যার ক্ষেত্রে ফোনের ক্যামেরার গুরুত্ব ভিত্তিহীন সেই বিষয়ক কোন কিছুতে ক্যামেরার পারমিশন চাইলে ভুলেও তা দেবেন না। কারন হ্যাকারা আপনার ক্যামেরার পারমিশন পেলে এমন কোন ঘৃন্যতম ঘটনা ঘটাতে পারে যা আপনার ধারনার বাইরে। এমনকি আপনার ব্যক্তিগত ছবি পর্ণ সাইটেও আপলোড হতে পারে।***

মনে রাখবেন বর্তমান যুগ ফোনের উপর ভিত্তি করেই এগোচ্ছে। তাই আপনার সকল  তথ্য যেহেতু ফোনে থাকে তাই তাক রক্ষা করা আপনার কর্তব্য।  ফোন হ্যাক হলে আপনি যে কোন বিপদের সম্মুখীন হতে পারে। এমনকি দেশদ্রোহের কাজেও আপনার ফোন ব্যবহার হতে পারে। তাই ফোনের হ্যাকিং বাঁচাতে উপরিউক্ত পন্থাগুলি মেনে চলুন। নিজেও সতর্ক থাকুন, অপরকেও সতর্ক করুন।