নিজস্ব সংবাদদাতা- বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় পাত্র বলেই পরিচিত। প্রায় সারা বছর তাকে এলাকায় দেখা যায়। সেই সঙ্গে দলের কর্মসূচিতে তিনি সমানতালে অংশগ্রহণ করেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। যদিও স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশ এবার নতুন কাউকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায় বলে জল্পনা বেশ কদিন ধরেই তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু সেই জল্পনায় ঘৃতাহুতি পড়ল রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সাধন পান্ডের মেয়ে শ্রেয়া পান্ডের একটি হোর্ডিংকে কেন্দ্র করে।
সরস্বতী পুজো উপলক্ষে বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের সীমান্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে সর্বত্র শ্রেয়া পান্ডের ছবি দেওয়া পোস্টার ও ফ্লেক্সে ছেয়ে গিয়েছে। এরপরই জল্পনা শুরু হয়েছে তবে কি দীপেন্দু বিশ্বাসের বদলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে শ্রেয়া পান্ডেকে বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করতে চলেছে তৃণমূল? যদিও এই জল্পনা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো উত্তর দেননি সাধন কন্যা। জল্পনা জিয়ে রেখেই তিনি বলেন, “আমার জন্মস্থান এটা। এখানে সারা বছর এখানকার মানুষজনের সঙ্গে আমার যোগাযোগ থাকে। আমার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে এখানকার মানুষের পাশে থাকি বছরভর। এটা নতুন কিছু নয়। এবারে এখানে এসে দেখলাম আমার হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ছবি নিয়ে এলাকাবাসী পোস্টার-ফ্লেক্স তৈরি করে চারিদিকে লাগিয়েছে, এ বিষয়ে আমি নিজেই কিছু জানতাম না।”
গত সোমবার বসিরহাট দক্ষিণের যান শ্রেয়া পান্ডে। স্থানীয় একটি মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি এলাকার মানুষের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে তাকে কথা বলতেও দেখা গিয়েছে। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন এ মাসের শেষের দিকে কোনো সুখবর শোনাতে পারেন। তার এই ‘সুখবর’ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনো উত্তর দিতে চাননি।
রাজনৈতিক মহলের মতে শ্রেয়া পান্ডের এই সুখবর তৃণমূলের দিক থেকেই আসবে এমন কোনো কথা নেই! রাজ্যের এই মন্ত্রী কন্যা অভিনেত্রী হিসেবেও পরিচিত। বেশ কয়েক মাস ধরে শোনা যাচ্ছে ভোটের আগে উত্তর কলকাতার দাপুটে তৃণমূল নেতা সাধন পান্ডে ও পরেশ পালের মধ্যে কোনো একজন গেরুয়া শিবিরে সামিল হতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বসিরহাট দক্ষিণে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে শ্রেয়া পান্ডের নাম ঘোষিত হলে অবাক হবার কিছু নেই বলে তাদের অভিমত।
আপাতত রাজনৈতিক দলগুলির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত এই জল্পনার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে না বলেই মনে করছেন অনেকে।