নিজস্ব সংবাদদাতা: তৃতীয়বার ভোটে জিতে ফের একবার রাজ্যের ক্ষমতায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবারের মন্ত্রিসভায় তিনি বিদায়ী মন্ত্রিসভার একঝাঁক সদস্যকে বাদ দিয়েছেন। এবার ভোটে জিতেও মমতার মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়নি বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্য তাপস রায়, নির্মল মাজি, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, তপন দাশগুপ্ত, মন্টুরাম পাখিরা, গিয়াসুদ্দিন মোল্লা, জাকির হোসেম ও আসীমা পাত্রর। এমনকি, মমতার দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা মদন মিত্রও জায়গা পাননি নতুন মন্ত্রিসভায়।

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে তাপস রায় ও নির্মল মাজিকে মন্ত্রী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী করার পাশাপাশি দলের মুখপাত্রও করা হয়েছে বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়কে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে নির্বাচিত মন্টু ও গিয়াসুদ্দিনকেও প্রথম সরকার গঠনের পর দ্বিতীয়বার মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সময় জায়গা দিয়েছিলেন মমতা। অন্যদিকে, হুগলি জেলা থেকে নির্বাচিত তপন ও অসীমাকেও ২০১৬ সালে দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের পর জায়গা দেওয়া হয়েছিল মন্ত্রিসভায়। কিন্তু এ বার বাদ গেলেন তাঁরাও।

এদিকে বাদ পড়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন। ভোটের কয়েকমাস আগে নিমতিতা স্টেশন বোমার ঘায়ে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন তিনি। আবার জঙ্গিপুরে আরএসপি প্রার্থীর মৃত্যুর জন্য ভোট বাতিল হয়ে যায় সেখানে। আগামী ১৬ মে বিকল্প দিন হিসেবে সেখানে ভোটের ঘোষণা করা হলেও, শেষ পর্যন্ত কোভিড সংক্রমণের কারণে সেই ভোট কবে হবে তা নিয়েও সন্দিহান রাজনীতিবিদরা। মনে করা হচ্ছে, এই সব বিষয়গুলির কথা মাথায় রেখেই তাঁকে মন্ত্রী করা হয়নি।

টিকিট দেওয়া হয়নি আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লাকেও। এমনকি টিকিট পাননি চাকদহের বিধায়ক তথা প্রতিমন্ত্রী রত্না কর ঘোষও। এদিকে, ভোটে না দাঁড়ালেও ফের অর্থমন্ত্রী হচ্ছেন অমিত মিত্র। কিন্তু এ বার একঝাঁক মন্ত্রী ভোটে দাঁড়িয়ে পরাজিতও হয়েছেন। পরাজিত হওয়ায় মন্ত্রী হওয়া হচ্ছে না বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্য বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, শান্তিরাম মাহাত, শ্যামল সাঁতরা, রবীন্দ্রনাথ ঘোষদের। এছাড়াও, ২০১১ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে ক্রীড়া ও পরিবহন দফতরের মন্ত্রী হয়েছিলেন মদন মিত্র। কিন্তু ২০১৬ সালে তিনি হেরে যান। আর এবার ভোটে জিতলেও মন্ত্রিত্ব পেলেন না মমতার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী তথা সহযোদ্ধা।