নিজস্ব সংবাদদাতা: গত শনিবার থেকে নদিয়ার শ্রী নবদ্বীপ ধাম থেকে শুরু হয়েছে বিজেপির ‘পরিবর্তন যাত্রা’। অথচ রথে ছিল না শ্রীচৈতন্যদেবের কোনও ছবি। আর তাতেই চৈতন্যদেব ও নবদ্বীপের মানুষকে অপমান করা হয়েছে বলে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। নদিয়ার নবদ্বীপে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সভার পরের দিন রবিবার সরকারপাড়া নিশান ক্লাবের মাঠে ছিল তৃণমূলের জনসভা। আর সেই জনসভা থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।

18 18 43 images
India today

গতকাল সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “শ্রীচৈতন্যদেবের স্মৃতিবিজড়িত নবদ্বীপ ধামকে জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে বিজেপি রাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করেছে। চৈতন্য মহাপ্রভুকে অপমান করা হয়েছে। নবদ্বীপধাম থেকে যে রথ বেরিয়েছে, তাতে চৈতন্যদেবের কোনো ছবিই নেই। সেখানে কয়েকজন নেতার ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। ওরা যে বাস বা লরি যাত্রা বার করেছে, সেখানে চৈতন্যদেবের ছবি, তাঁর বার্তা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, তাঁর সামাজিক ঐক্যের বার্তা, এগুলি সামনে রাখা উচিত ছিল। নাড্ডাজির ভাষণে এসবের কোনও স্থান ছিল না। বরং কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করা হয়েছে। ফলে চৈতন্যদেব ও নবদ্বীপের মানুষকে অপমান করা হয়েছে।”

এরপর তাঁর আরও অভিযোগ, এর আগে নেতাজির জন্মদিনে কলকাতার ভিক্টোরিয়ায় তাঁরা ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে আপত্তিকর, অসম্মানজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। সেই সময় নেতাজিকে অপমান করা হয়েছিল। আর এখন জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতে শ্রী চৈতন্যদেবকে অপমান করা হয়েছে। এরপরই কুণাল ঘোষের দাবি তোলেন, ”নাড্ডার উচিত, অবিলম্বে নবদ্বীপের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া। উনি যেখানেই থাকুন, বিবৃতি দিয়ে করজোড়ে ক্ষমা চান। কারণ, এটা গোটা নবদ্বীপের সেন্টিমেন্ট। নবদ্বীপের ঘরে ঘরে এখন এই আওয়াজ উঠেছে।”

উল্লেখ্য, কৃষি আইন বাতিল, কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে নবদ্বীপ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে আয়োজিত ওই জনসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার-সহ অন্যরা। সেখানে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক পুন্ডরীকাক্ষ সাহা ও নবদ্বীপ পুরসভার মুখ্য প্রশাসক বিমান কৃষ্ণ সাহাও। সেই সভা শেষে সাংবাদিকদের সৌগত রায় দুই সভার তুলনা করে বলেন, “নাড্ডার সভায় ৫টি জেলা থেকে লোক আনা হয়েছিল। ওই সভায় ২০ হাজারের মত লোক হয়েছিল। কিন্তু আমাদের সভায় তার থেকে বেশি লোক হয়েছে। ওরা চৈতন্যদেবের নামের সুবিধা নিতে এসেছিল। কিন্তু কিছু সুবিধা পাবে না। ভোট ঘোষণা হওয়ার আগেই হনুমানের মত এ রাজ্যে বিজেপি নেতারা লাফিয়ে লাফিয়ে আসছেন।”