বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশের বাকি অঞ্চলের মতই পশ্চিমবঙ্গের নানান জায়গায় বিক্ষোভ-আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে। এর আগে কলকাতা ছাড়াও বনগাঁর মতো জায়গায় এই দাবিতে আন্দোলন হতে দেখা গিয়েছে। এবার সেই তালিকায় নাম লেখাল বর্ধমানের গলসি। সেখানে আজ বেলা বারোটা নাগাদ জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের নেতৃত্বে পথ অবরোধ করেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। যদিও এই আন্দোলনে তার ভূমিকাকে ঘিরে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী এবং জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
গলসির কাছে দুই নম্বর জাতীয় সড়কে অসংখ্য মানুষ পথ অবরোধ করেন। তাদের দাবি কেন্দ্রীয় সরকারকে অবিলম্বে বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেজন্য আগে থেকেই ওই অঞ্চলে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা ছিল। যদিও তারা পরিস্থিতি সামলাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী জাতীয় সড়কে অবরোধ করা বেআইনি। পুলিশের পক্ষ থেকে এই কথা জানানো হলে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী হাতে লাঠি তুলে নিয়ে সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেন! একসময় তাকে গাড়ির বনেটের ওপর উঠে গিয়ে হাতে লাঠি নিয়ে হম্বিতম্বি করতেও দেখা যায়। যদিও এতে ফল হয় উল্টো। তার অনুগামীরাই উল্টে ক্ষেপে গিয়ে তাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। মন্ত্রীকে রক্ষা করতে পুলিশ বাহিনী এগিয়ে আসলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই সময় জমিয়ত সমর্থকদের ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হন।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে এই অবরোধ আন্দোলন অবশেষে প্রত্যাহার করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় জল্পনা তৈরি হয়েছে তাহলে কি জমিয়তের ওপর থেকে ক্রমশ নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী? অবশ্য তাকে নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। তৃণমূলের বীরভূম জেলা কমিটির সভাপতি তথা দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে এর আগে একাধিকবার তাকে বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছিল। যদিও তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের চেষ্টায় তা সাময়িকভাবে ধামাচাপা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।