নিজস্ব প্রতিবেদনঃ নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় হিন্দি ধারাবাহিক ‘কসৌটি জিন্দেগি কি’-র অভিনেতা সেজান খানকে অনেকেই চিনবেন । নব্বইয়ের দশকের হার্ট থ্রব ‘অনুরাগ বাসু’ চরিত্রটি আজও অনেকেরই মনে ভালোলাগা ও রোমাঞ্চের উদ্রেক ঘটায়। ‘কসৌটি জিন্দেগি কে’-র পর অবশ্য আর সেভাবে তাঁকে দেখা যায়নি টিভি পর্দায় তবু ভারত জুড়ে তাঁর ভক্ত সংখ্যা আজও কম নয়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছিলেন গত তিনবছর ধরে একটি সম্পর্কে রয়েছেন এবং তাঁরা বিয়ে করতে চান। এরপরই সমস্যার সূত্রপাত।
প্রেমিকার নাম প্রকাশ না করলেও জানিয়েছিলেন যে কেবলমাত্র অসাধারণ রান্না দিয়ে তিনি সেজানের মন জয় করে আসছেন শুরু থেকে। অতিমারির কারণে তাঁরা গত বছর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন নি, কিন্তু এবছরই বিয়েটা সেরে ফেলবেন। এই পোস্টের প্রেক্ষিতেই আইশা পিরানি নামে এক মহিলা মন্তব্য করেন, ‘যে সেজান আরও কতবার যে বিয়ে করবেন তা তিনি জানেন না। কিন্তু অন্তত এটুকু যেন সবাই জানে যে সেজানের আগে বহুবার বিয়ে হয়েছে।’
তাঁর চরিত্র নিয়ে নানা সময়ে গুঞ্জন শোনা গেলেও এই প্রথম সরাসরি অভিযোগ উঠল প্রতারণার । আমেরিকাবাসী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সেই মন্তব্যকারীর নাম আইশা পিরানি। তিনি নিজেকে সেজানের পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেন।। তাঁর অভিযোগ, অভিনেতা সেজান খান কেবলমাত্র গ্রিনকার্ডের পাওয়ার লোভেই তাঁকে বিয়ে করেছিলেন আমেরিকায়।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে আইশার পেশ করা ম্যারেজ সার্টিফিকেট অনুযায়ী তাঁরা আমেরিকায় ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল অবধি বিবাহিত জীবন কাটিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি সেজানের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্য জীবনের কিছু ছবিও প্রমাণ হিসেবে শেয়ার করেছেন। আইশার অভিযোগ, ভালোবাসার সুযোগ নিয়ে সেজান তাঁকে প্রতারণা করেছেন, ব্যবহার করেছেন এবং তাঁরই খরচে এতদিন আমেরিকায় থেকেছেন । আর যেমুহুর্তে সুজান আমেরিকার নাগরিকত্বের স্বরূপ গ্রীন কার্ড পেয়েছেন অমনিই ডিভোর্স দিয়েছেন আইশাকে। এইসব তথ্য তিনি জনগণের সামনে আনতে চেয়েছেন যাতে সেজানের প্রকৃত ভাবমূর্তি তুলে ধরা যায়।
ফলস্বরুপ ভক্তদের মধ্যে অনেকেই আহত হয়েছেন। অনেকে বিক্ষুব্ধ মন্তব্যও করেছেন। কিন্তু অভিনেতা সেজান খান তাঁর বিরুদ্ধে এই সমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন। হাসতে হাসতে বলেছেন এসবই কোন ভক্তের পাগলামি। এমন কিছু আদতেই সত্যি নয়। সেজানের বিয়ের খবরে অনেক নারীর হৃদয় ভেঙে যাওয়ায় এরকম কিছু প্রতিক্রিয়া আসছে বলেই তিনি মনে করছেন।
[…] […]