শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরে প্রবেশের দাবিতে ৬ জন মুসলিম ছাত্রীর ব্যক্তিগত তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা হচ্ছে। তাঁর পরিবারের সদস্যরা থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই ঘটনা এমন এক সময়ে সামনে এসেছে যখন হিজাব নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে কর্ণাটকের উদুপি জেলা থেকে সারা দেশে। উদুপি জেলার এসপি এন. বিষ্ণুবর্ধনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা। তিনি বলেন, এভাবে তথ্য আদান-প্রদান করা হলে ছাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি হতে পারে। তাই এই তথ্য শেয়ারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ছাত্রীদের মোবাইল নম্বরসহ অনেক ব্যক্তিগত তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা হয়েছে। এসপি এন. বিষ্ণুবর্ধন দিয়েছেন। তিনি বলেন, অনলাইনে শেয়ার করা তথ্যের প্রমাণ জমা দিতে বলা হয়েছে ছাত্রীদের পরিবারকে। এরপর দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসলে, হিজাব বিতর্ক শুরু হয়েছিল কর্ণাটকের এই উদুপি জেলা থেকে। এখানে অনেক ছাত্রী হিজাব পরে স্কুলে প্রবেশে বাধা দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে। জবাবে কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী জাফরান গামছা পরতে থাকে। এরপরই বিতর্ক আরও বাড়ে।

অবশেষে, 5 ফেব্রুয়ারি, কর্ণাটক সরকার একটি আদেশ জারি করে, যেখানে বলা হয়েছিল যে কোনও ধর্মীয় পোশাক পরে স্কুল বা কলেজে আসা নিষিদ্ধ। শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজের ড্রেস কোড মেনে চলতে হবে। কর্ণাটক সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা তীব্রতর হয়ে এখন বিষয়টি কর্ণাটক হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছেছে। শুধু তাই নয়, বিক্ষোভ শুরু হয়েছে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ সহ দেশের বহু রাজ্যে। যেখানে একটি অংশ বলছে যে হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা পছন্দের পরিপন্থী, অন্য অংশ বলছে যে এটি প্রয়োজনীয় যাতে স্কুল এবং কলেজগুলিতে একটি ধর্মনিরপেক্ষ পরিবেশ বজায় থাকে।