অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে শহর-নগর যুদ্ধ, ট্রেনে আগুন, ব্যাখ্যা দিতে ‘ফ্যাক্ট শিট’ জারি করল সরকার

সেনাবাহিনীতে নিয়োগের জন্য সরকার ঘোষিত অগ্নিপথ প্রকল্পের তীব্র বিরোধিতা শুরু হয়েছে দেশের রাজ্যগুলিতে। মঙ্গলবার এই স্কিমটি ঘোষণা করা হয়েছিল এবং বুধবার সকালে, বিহারের অনেক জেলায় ছাত্ররা এর বিরুদ্ধে মোর্চা জারি করে। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার আবারও মুঙ্গের, কৈমুর, সহরসা, চাপড়া-সহ একাধিক জেলায় বিক্ষোভে নামেন ছাত্রছাত্রীরা।

বিহার থেকে হরিয়ানায় আন্দোলন হিংসাত্মক রূপ নিচ্ছে। কিছু গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে এবং কিছু জায়গায় ট্রেনের ট্র্যাক উপড়ে ফেলা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যুবকদের এই প্রকল্পের সুবিধা বোঝানোর চেষ্টা করছে সরকার। অন্যদিকে, বিরোধীরা বলছেন, এই স্কিমের মাধ্যমে তরুণদের ভবিষ্যৎ নিয়ে একপ্রকার খেলা করা হবে এবং সেনাবাহিনীর মর্যাদাও ক্ষুণ্ণ হবে।

কি নিয়ে এই অসন্তোষ?

প্রথমত ইন্ডিয়ান আর্মির এই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ১৭.৫ থেকে ২১ বছর বয়সসীমার সীমাবদ্ধতার জন্য অনেকেই এই ক্ষেত্রে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, চাকরির সময়সীমাও যথেষ্ট অসুবিধে সৃষ্টি করছে। সবশেষে যাঁরা আগেই ছেড়ে চলে যাবেন পেনশন প্রভিশন না দেওয়ার ব্যাপারেও বেড়েছে অসন্তোষ।

অগ্নিপথ প্রকল্প

তরুণদের বোঝানোর জন্য, সরকার এখন অনানুষ্ঠানিকভাবে একটি তথ্য পত্র প্রকাশ করেছে। এর শিরোনাম, ‘अग्निपथ, मिथक बनाम तथ्य’। এই শীটের মাধ্যমে সরকার নিজেদের পক্ষ তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। স্কিম নিয়ে যেসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া উচিৎ তাতে উত্তর দেওয়া হয়েছে।সরকার বলছে, যারা উদ্যোক্তা হতে চায় তাদের আর্থিক সহায়তা ও ঋণ দেওয়া হবে। যারা আরও পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক তাদের 12 শ্রেনীর অনুরূপ একটি শংসাপত্র দেওয়া হবে এবং আরও পড়াশোনার জন্য একটি ব্রিজিং কোর্স প্রদান করা হবে। যারা চাকরি চান তাদের সিএপিএফ এবং রাজ্য পুলিশ নিয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।সরকারের মতে, অগ্নিপথ প্রকল্প যুবকদের জন্য সুযোগ বাড়াবে। আগামী বছরগুলোতে বর্তমানের চেয়ে তিনগুণ বেশি নিয়োগ হবে।

সরকার বলছে, রেজিমেন্টাল ব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন করা হচ্ছে না। সরকার স্পষ্ট করেছে যে এই ধরনের স্বল্পমেয়াদী প্রকল্পগুলি বেশিরভাগ দেশেই এখন চালানো হচ্ছে। তরুণদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। সরকার বলেছে যে সারা বিশ্বের বেশিরভাগ সেনাবাহিনী তরুণদের উপর নির্ভরশীল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে, তরুণ এবং অভিজ্ঞদের মধ্যে 50-50 অনুপাত তৈরি করার চেষ্টা করা হবে। যে যুবক একবার ইউনিফর্ম পরবে সে সারাজীবন দেশের সেবা করবে। আজও যারা সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয় তারা অবশ্যই একজন দেশপ্রেমিক এবং তাঁরা দেশবিরোধী সংগঠনে কখনও যোগ দেন না।