আমেরিকা

রাষ্ট্রপত্নীরা

First Lady এই শব্দদুটো শুনলেই বিশেষ একটা দেশের নাম আমাদের মনে পড়ে যেতে বাধ্য। এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচাইতে শক্তিশালী দেশগুলোর মধ্যে আমেরিকার উল্লেখ সবার আগে করা উচিত। গত একশ বছর ধরে ধাপে ধাপে ক্রমশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উন্নতির শিখরে উঠে এসেছে। অর্থনীতি, রাষ্ট্রব্যবস্থা, শিক্ষা, চিকিৎসা, এই সমস্ত দিক থেকেই এই দেশটি বিশেষ গুরুত্বের দাবিদার। আর এই দেশে গত কয়েক দশকে যে সব রাষ্ট্রপ্রধান ক্ষমতায় এসেছেন তাঁরা কিন্তু গোটা পৃথিবীরই রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টে দিয়েছেন বারবার।

বিখ্যাত মানুষদের জীবনের খুঁটিনাটি জানতে কার না ইচ্ছে হয়! বিশেষ করে এঁদের ব্যক্তিগত জীবনও অত্যন্ত আকর্ষক। ফলে এঁদের বেটার হাফ অর্থাৎ আমেরিকার ফার্স্ট লেডিদের কথা জানতে কার না ইচ্ছে হয়! বিশেষত তখন যখন আলাদাভাবে জনগণের মনে এই নারীরাও নিজের নিজের ছাপ ফেলে গিয়েছেন। এই প্রতিবেদনে তাই জেনে নেব আমেরিকার বিখ্যাত পাঁচজন ফার্স্ট লেডির কথা……..

first lady মেলানিয়া ট্রাম্প
https://www.whitehouse.gov/articles/first-lady-melania-trump-personal-experience-covid-19/
সদ্য প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়ার নিজের জীবনও কিন্তু যথেষ্ট রঙিন। আকর্ষক চেহারার এই মেলানিয়া একসময় ছিলেন মডেল। এই সুবাদেেই ধনকুবের ট্রাম্পের সঙ্গে তার আলাপ। 46বছরের মেলানিয়া ও ট্রাম্পের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গত 4 বছর ধরে স্বামীর সঙ্গে ইনিও প্রবলভাবে চর্চার কেন্দ্রে ছিলেন সারা পৃথিবীতে। তবে শোনা যাচ্ছে হোয়াইট হাউস ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে তিনি বিবাহবিচ্ছেদের নোটিস ধরাবেন।
034
india.com
First lady মিশেল ওবামা
https://www.elle.com/culture/career-politics/a34728137/barack-obama-michelle-marriage-a-promised-land-details/

এযাবৎ কালের সবচাইতে জনপ্রিয় মহিলাদের তালিকায় যাঁর নাম উঠে এসেছে, তিনি মিশেল ওবামা। প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ফার্স্ট লেডিও বটে। সদ্য গ্র্যামি বিজয়িনী মিশেল যে আট বছর হোয়াইট হাউসের মধ্যে থেকেছেন, সবসময় নিজেকে নানান জনসেবামুলক কাজে যুক্ত রেখেছিলেন তিনি। সমাজে বর্ণবিদ্বেষ ও নারীর অধিকারের হ্রাস এই দুই প্রসঙ্গে বারবার নানাভাবে সরব হয়েছেন এই মহিলা। বারাক ওবামার সঙ্গে তাঁর কেমিস্ট্রি ও দেখবার মতন ।আক্ষরিক অর্থেই মিশেল ছিলেন আমেরিকার যোগ্য ফার্স্ট লেডি। আজও তিনি নিজেকে যুক্ত রেখেছেন নানান জনসেবামূলক কাজে।

obama t
hello! magazine

First lady হিলারি ক্লিনটন—

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম চর্চিত রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটনের সহধর্মিণী হিলারি ক্লিনটন নিজেও কিন্তু রাষ্ট্রনায়ক হবার দৌড়ে সামিল ছিলেন চার বছর আগে। ছোটবেলা থেকে বেসবল খেলোয়াড় হতে চাওয়া হিলারির জীবন বদলে গিয়েছিল বিল ক্লিনটনের সঙ্গে আলাপ হবার পরেই। আমেরিকার ফার্স্ট লেডি হিসেবে আট বছরে আশির বেশি দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন হিলারি। স্বাধীনচেতা ও স্পষ্টবক্তা হিলারি কিন্তু স্বামীর পাশেই ছিলেন যখন মহিলাঘটিত কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় বিল ক্লিনটনের। বিশ্ব রাজনীতিতে হিলারি ক্লিনটনের অবদান ভুলে যাওয়ার নয়।

1993 sarah philips and 1997 oscar de la renta hillary clinton1
the year of halloween

ন্যান্সি রেগান— আমেরিকার চল্লিশতম রাষ্ট্রপ্রধান রোনাল্ড রেগানের দ্বিতীয় স্ত্রী হলেন ন্যান্সি রেগান। প্রথম জীবনে আমেরিকান সিনেমার অভিনেত্রী হলেও বিয়ের পর অভিনয়ের দিকে যাননি তিনি। স্বামীর কাজের প্রতি অসম্ভব নিষ্ঠা তাঁকে জনমানসে আজও স্থায়ী করে রেখেছে। রোনাল্ডো রেগানের প্রতি তার ভালোবাসাও উল্লেখযোগ্য এই পর্বে। মাদক বর্জনের বিরুদ্ধে তিনি যে ক্যাম্পেন শুরু করেছিলেন তা ক্রমশ সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছিল। আমেরিকার এই ফার্স্ট লেডি তৎকালীন সময়ে মার্কিন রাজনীতির প্রচ্ছন্ন মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করে গিয়েছিলেন। বড় বড় রাষ্ট্রনায়করা সমঝে চলতেন এই নারীকে।

image
the irish times

জ্যাকলিন কেনেডিhttps://banglakhabor.in/2020/11/12/%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b9%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%b6/ মার্কিন রাষ্ট্রপতি জন এফ কেনেডির স্ত্রী জ্যাকলিন সাহিত্য অনুরাগী হয়েও নিজের ফ্যাশন সেন্স দিয়ে গোটা পৃথিবীকে বশ করেছিলেন একদিন। তাঁর আকর্ষণ এমনই ছিল যে ইংল্যান্ডের রানীও তাঁর সঙ্গে পরিচিত হবার জন্য আলাদাভাবে নিজের পোশাক আশাক নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেছিলেন বলে শোনা যায়। তাবড় তাবড় মানুষজন তাঁর সঙ্গে পরিচয়ের জন্য উৎসুক হয়ে থাকতেন। ফলে স্বামীর ইলেকশন ক্যাম্পেনে তিনি ছিলেন ভীষণ জরুরি। জন এফ কেনেডির মারা যাওয়ার সময় তিনি ছিলেন স্বামীর সঙ্গেই । আজ জ্যাকলিনের মৃত্যুর এত বছর পরেও সবচাইতে ফ্যাশন সচেতন ফার্স্ট লেডির তকমা দেওয়া হয় তাাঁকে।

81087scr 63ef177cdb47c73
historic new england

এই পর্যন্ত বিশেষ নারী বটেই, কিন্তু আমেরিকা এখনো পর্যন্ত 40 জনেরও বেশি উল্লেখযোগ্য ফার্স্টলেডি কে পেয়েছে। তারা প্রত্যেকে নিজের নিজের ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রতিভাবান এবং আমেরিকাকে আজকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে তাদের অবদান ভোলার নয়। বর্তমানে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বিদেন-এর কোন পত্নী না থাকায় এবার আমেরিকা কোন ফার্স্ট লেডি পাচ্ছে না। তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এই পর্বে উল্লেখযোগ্য নাম হিসেবে উঠে আসছেন। আমেরিকার ভূতপূর্ব First lady দের মধ্যে কারা আপনার কাছে আকর্ষণীয়। জানান কমেন্ট সেকশনে।