নিজস্ব সংবাদদাতা: নতুন করে ফের জেগে উঠেছে মারণ করোনা ভাইরাস। গত রবিবার দেশে রেকর্ড সৃষ্টি করে ১ লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছিল কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। আর গত চব্বিশ ঘণ্টায়, অর্থাৎ মঙ্গলবারে নতুন সংক্রামিতর সংখ্যায় দেশে ফের রেকর্ড সৃষ্টি হলে। ১.৭ লক্ষ কোভিড আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে দেশে। যার অর্ধেক শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই। সংখ্যাটা প্রায় ৫৫ হাজার। পরিস্থিতি যখন এমনই, তখন আগামী চার সপ্তাহকে ভীষণই উদ্বেগের বলে উল্লেখ করল কেন্দ্রের মোদী সরকার।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেছেন, লোকজনের প্রকাশ্য স্থানে মাস্ক না পরা বিপদকে ক্রমশ বাড়িয়ে তুলছে। উল্লেখ্য, বাংলায় এখন বিধানসভা নির্বাচন চলছে। ভোটের প্রচারে হোক বা ভোটদানের সময়, অধিকাংশের মুখেই মাস্ক দেখা যাচ্ছে না। আর মাস্ক যদি থাকেও, তাহলেও সেটা প্রায় প্রত্যেকেরই গলার কাছে ঝোলানো। ঠিক একই দৃশ্য গোটা দেশেই। ১ বছর কেটে যেতেই সাধারণ মানুষ এতটাই অসাবধান হয়ে পড়েছে যে, করোনাও ফের লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে।

এই পরিস্থিতিতে আগামীকাল, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, যে যে রাজ্যে ভোট রয়েছে সেই রাজ্যের মুখ্যসচিব ওই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করবেন। সূত্রের খবর, ওই বৈঠক থেকে রাজ্যগুলির উদ্দেশ্যে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করার নির্দেশ দিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।

গত রবিবার জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই বৈঠকের পরেই বৃহস্পতিবারের বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, চার রাজ্যের ভোট প্রক্রিয়া মঙ্গলবার শেষ হয়ে গেছে। বাকি শুধু এখন বঙ্গের পাঁচ দফা ভোট। বাংলার তরফে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গিয়েছে নবান্ন সূত্রে।

ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পরের দিন অর্থাৎ ৯ এপ্রিল যে পাঁচ জেলায় ভোট হয়ে গিয়েছে সেই জেলাগুলির জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের বৈঠকে ডেকেছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামের এসপি ও ডিএমকে ডাকা হয়েছে সেই বৈঠকে। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রের তরফে যে নির্দেশিকা দেবেন তা ওই পাঁচ জেলায় কার্যকর করার বিষয়ে নির্দেশ দেবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। এখন দেখার কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক কী কী নির্দেশিকা জারি করে এবং সেই গাইডলাইন কতটা মেনে চলে ভারতবাসী।