দেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার, গত 24 ঘন্টায় 90 হাজারের বেশি নতুন কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। গতকালের তুলনায় প্রতিদিন প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি মামলা আসছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারও এখন সজাগ হয়ে উঠেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে, এখন রাজ্য এবং সমস্ত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে একটি চিঠি লেখা হয়েছে এবং জেলা ও উপ-জেলা স্তরে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

করোনা আক্রান্তদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স ও বেড বুকিং এর ব্যবস্থা করতে এই কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সাহায্য করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দিয়েছে যে এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষগুলিতে ডাক্তার, পরামর্শদাতা এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পূর্ণ মোতায়েন করা উচিত। এর পাশাপাশি একটি হেল্পলাইন তৈরি করার কথাও বলা হয়েছে যাতে লোকেরা সহজেই সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারে।

রোগীদের সম্পূর্ণ ডাটা কন্ট্রোল রুমে থাকবে, অ্যাম্বুলেন্স ও বেড বুকিং করা হবে

কেন্দ্রীয় সরকার পরামর্শ দিয়েছে যে এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষগুলিতে কম্পিউটার এবং ব্রডব্যান্ড পরিষেবা থাকা উচিত যাতে সংযোগ দুর্বল না থাকে। মামলার সংখ্যা অনুযায়ী এসব কন্ট্রোল রুম সব সময় সক্রিয় রাখতে হবে। এ থেকে মানুষকে সাহায্য ও দিকনির্দেশনা দিতে হবে। শুধু তাই নয়, সরকার পরীক্ষা থেকে শুরু করে অন্যান্য সকল সুবিধার রিয়েল টাইম আপডেটের বিষয়েও সতর্ক করেছে।

অ্যাম্বুলেন্স  -   করোনা

রাজ্যগুলিকে দেওয়া পরামর্শে কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, ‘কোভিড পরীক্ষার রিয়েল টাইম ডেটা, অ্যাম্বুলেন্সের প্রাপ্যতা এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষগুলিতে পাওয়া উচিত। কলকারীকে কীভাবে একটি বিছানা বুক করতে হবে এবং একটি অ্যাম্বুলেন্স কল করতে হবে সে সম্পর্কেও তথ্য দেওয়া উচিত। এ বিষয়ে পুরো প্রক্রিয়াটি কলারকে বুঝিয়ে দিতে হবে।

অ্যাম্বুলেন্সগুলো থাকবে কন্ট্রোল রুমে, ফোন করে জানা যাবে হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের অবস্থা

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে মোট 8 টি পয়েন্টে রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে যে কন্ট্রোল রুমগুলিতে একটি অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা থাকতে হবে যাতে কেউ কল করলে তাত্ক্ষণিক সাহায্য পৌঁছাতে পারে। এ ছাড়া পুরো এলাকায় কয়টি বেড খালি এবং কয়টি কন্ট্রোল রুম ঘেরা তা দেখুন।

শুধু তাই নয়, সরকার পরামর্শ দিয়েছে যে এই কন্ট্রোল রুম থেকে যে সমস্ত করোনা আক্রান্তরা হোম আইসোলেশনে বসবাস করছেন তাদের অবিরাম কল করা উচিত। কন্ট্রোল রুমের সদস্যরা ফোন করে এসব লোকের অবস্থা জানবেন এবং কোনো ঘাটতি থাকলে তা দূর করার চেষ্টা করতে হবে। শুধু তাই নয়, হোম আইসোলেশন রোগীদের স্ট্যাটাস রিপোর্ট জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তরের দায়িত্বও জেলা প্রশাসনের হাতে ন্যস্ত করা হবে।