গতকাল আইসিসির একটি সাধারণ সমীক্ষার ফলাফলকে কেন্দ্র করে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি হয় পাকিস্তানে। সেখানকার সংবাদ মাধ্যমগুলি এই টুইটার সমীক্ষার ফলকে ব্রেকিং নিউজ হিসাবে দেখাতে থাকে। এই ঘটনা নজরে আসার পরই ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীরা তীব্র কটাক্ষে ভরিয়ে দেয় পাকিস্তান মিডিয়াকে। কেউ কেউ আবার এই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো হাসি-ঠাট্টা শুরু করে দেয়।

আইসিসির পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল অধিনায়ক হওয়ার পর কোন ক্রিকেটারের ধারাবাহিক পারফরমেন্সের উন্নতি সবচেয়ে বেশি ঘটেছে? সেইসঙ্গে ৪ জন খেলোয়াড়ের নাম অপশন হিসাবে দেওয়া হয়- ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি, পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ও বর্তমানে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স এবং অস্ট্রেলিয়ার মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মেগ ল্যানিং।

টুইটার সমর্থকদের ভোট দেওয়ার নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর দেখা যায় ইমরান খান সামান্য ভোটের ব্যবধানে বিরাট কোহলিকে হারিয়ে দিয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪৭.৩ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে কোহলিকে সমর্থন করেছেন ৪৬.২ শতাংশ সমর্থক। ডেভিলিয়ার্স এবং ল্যানিং পেয়েছেন যথাক্রমে ৬ এবং ০.৫ শতাংশ ভোট।

এই ফলাফল গতকাল আইসিসির টুইটার পেজ থেকে শেয়ার করার পরই শোরগোল পড়ে যায় পাকিস্তান জুড়ে। সেখানকার সংবাদ মাধ্যমগুলি এই ফলাফলকে ব্রেকিং নিউজ হিসাবে দেখাতে শুরু করে! দেয় সবারই শিরোনাম ছিল মোটামুটি এরকম- “ভারতের কোহলিকে হারিয়ে দিলেন ইমরান”! এই ঘটনা নজরে আসার পরই পাকিস্তান সংবাদমাধ্যমকে ব্যঙ্গ করতে শুরু করেন ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তরা।

তারা মনে করিয়ে দেন এটা কেবলমাত্র একটি টুইটার সমীক্ষার ফলাফল, এত উত্তেজিত হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি। অনেকেই লেখেন, “পাকিস্তান বরং টুইটারেই ক্রিকেটটা খেলুক।” কিছু জন আবার সরাসরি ইমরান খানকে এই বিষয় নিয়ে ট্রোল করতে শুরু করেন। তারা বলেন, “বাস্তবে তো কিছু করতে পারছে না, বরং টুইটারেই কোহলিকে হারিয়ে দিয়ে জয়ের স্বাদ অনুভব করুন ইমরান।”