নিজস্ব সংবাদদাতা: গত এক-দেড় মাসে গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ। বিপুল হারে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ, মৃত্যুর হারও সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় ধরিয়ে দেওয়ার মতো। শ্মশানে বা কবরস্থানে মৃতদেহের স্তুপ ক্রমশ বাড়ছে। এই অবস্থায় ভারতের বুকে ইতিমধ্যে দৈনিক সংক্রমণ প্রায় তিন লাখ ছুঁতে চলল। ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পরেও সংক্রমণ ঠেকানো যায়নি। হাসপাতালে হাসপাতালে এখন শুধু বেডের জন্য হাহাকার। কিন্তু হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতে রেখেই যদি করোনা রোগীর চিকিৎসা করা যায়?

করোনার উপসর্গবিহীন বা মৃদু উপসর্গযুক্ত রোগীর সংখ্যা দেশে নেহাত কম নয়। ডাক্তাররাও বারবার পরামর্শ দিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে যতটা সম্ভব বাড়িতে থেকেই নিজেদের চিকিৎসা করানোর। তাই খুব গুরুতর অসুস্থতা না থাকলে হাসপাতাল মুখো হতে চাইছেন না কেউই। ডাক্তারদের পরামর্শ, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজনও নেই। বাড়ি বসেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই সম্ভব, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু বাড়িতে কোভিড পজিটিভ রোগী থাকলে কী কী করবেন আর কী কী করবেন না? জেনে নিন সেই সমস্ত খুঁটিনাটি।

বিপদের মাঝে সবার আগে জরুরি হল নিজের মাথা ঠান্ডা রাখা। তাই প্যানিক না করে ঠান্ডা মাথায় গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মনে রাখবেন, কোভিড রোগীর স্বাস্থ্যের পাশাপাশি নিজের বা বাড়ির বাকিদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাড়িতে করোনা রোগী থাকলে অবশ্যই ২৪ ঘণ্টা মাস্ক পরে থাকুন। পরিবারের সকলের জন্যই এটা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়া, রোগীর জামাকাপড় প্রথমে জীবানুনাশক তরলে ভেজাতে হবে। এরপর আলাদা ভাবে কাচতে হবে। বাকি সদস্যদের জামাকাপড়ের সঙ্গে মিশিয়ে ফেললে চলবে না। করোনা রোগীর জন্য আলাদা বাথরুমের ব্যবস্থা করলেই ভালো। যদিও সবার পক্ষে সেটা সম্ভব হয় না। তাই বারবার সেই বাথরুম জীবানুমুক্ত করতে হবে। অন্যথায় পরিবারের বাকিদের মধ্যেও করোনা সংক্রমণ হতে পারে।

এবার জেনে নিন কী করবেন না। বাড়িতে করোনা রোগীর জন্য যে ঘর নির্দিষ্ট করা হয়েছে, সেই ঘরে কোনওভাবেই ঢোকা যাবে না। খাবার দেওয়ার ব্যবস্থাও যতদূর সম্ভব বাইরে থেকে দূরত্ব বজায় রেখেই করতে হবে। করোনা ভাইরাস বর্তমানে আর ছোঁয়াছুঁয়িতে আটকে নেই। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এই জীবাণু বায়ুবাহিত। ফলে রোগীর সঙ্গে দূরত্বের বিষয়টি মাথায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোনো যাবে না। আশেপাশের লোকজনের সঙ্গে দেখা করা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।