নিজস্ব সংবাদদাতা: নিজে কলেজের সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময় কাটাতে কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে বিনামূল্যে নিজের বাড়িতেই পড়াতেন। এর পাশাপাশি তাঁর ছাত্রছাত্রীদের স্মরণশক্তিরও দেখভাল করতেন সেই শিক্ষক। কিন্তু যা পড়াচ্ছেন, তা যাতে বৃথা না হয়ে যায়, তার জন্য ‘অভিনব’ এক ব্যবস্থা নিয়েছিলেন নিজে হাতেই। পড়ুয়াদের স্মরণশক্তি বাড়াতে তাঁদের স্যালাইনের ইঞ্জেকশন দিতেন ওই শিক্ষক। যা প্রকাশ্যে আসতে আঁতকে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। জানা গিয়েছে, এই ব্যাপারটি ইউটিউবের একটি ভিডিও দেখে শিখেছিলেন তিনি। তারপর তা প্রয়োগ করতে শুরু করেন নিজের ছাত্রছাত্রীদের উপরই। দিল্লীর ওই শিক্ষককে গতকাল গ্রেফতার করেছে দিল্লী পুলিশ

গ্রেফতার হওয়া এই যুবকের বয়স ২০। তিনি নিজে স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। পূর্ব দিল্লির মান্ডওয়ালিতে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের পড়াতেন বিনামূল্যে। তবে পড়ানোর ফাঁকে ছাত্র-ছাত্রীদের গিনিপিগ বানিয়ে যে এমন পরীক্ষামূলক ‘গবেষণা’ও চালাতেন তিনি, তা সামনে এল এক ছাত্রের ইঞ্জেকশন সমেত ধরা পড়ার পর। পুলিশ জানিয়েছে, সন্দীপ নামে ওই শিক্ষকের এক ছাত্রকে নিজের বাড়িতে ইঞ্জেকশন নিতে দেখেন তাঁর বাবা-মা। এর পরেই পুলিশকে তাঁরা জানান ঘটনাটি। এরপরই সন্দীপকে গ্রেফতার করে দিল্লী পুলিশ।

পূর্ব দিল্লির ডিএসপি দীপক যাদব জানিয়েছেন, ‘‘ছাত্রদের স্মরণশক্তি বাড়াতে তাঁদের উপর নরমাল স্যালাইন সলিউশনের ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করত সন্দীপ। পুলিশকে সে জানিয়েছে, ইউটিউবে এই বিষয়ে একটি ভিডিও দেখেছিল সে। কমবয়সীদের স্যালাইনের ইঞ্জেকশন দিলে যে তাঁদের স্মৃতিশক্তির উন্নতি হয়, তা বলা ছিল ওই ইউটিউব ভিডিওতেই।’’ যাদব জানিয়েছেন, ‘‘সন্দীপের ছাত্রদের শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। তাঁরা যাতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পান, তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৩৬ ধারায় (প্রাণ বিপন্ন করা) মামলা দায়ের হয়েছে সন্দীপের বিরুদ্ধে।’’ এই খবর জানাজানি হওয়ার পর হতবাক প্রত্যেক পড়ুয়ার অভিভাবকই।