“পেয়ার হুয়া, ইকরার হুয়া হ্যায়” এর স্রষ্টা রাজ কাপুরের আজ ৯৬ তম জন্মদিন।

প্রেমে পড়েছেন অথচ মনে মনে এই গানটি গুনগুন করে ওঠেননি এরকম মানুষ ভারতে আজকের দিনে দাঁড়িয়েও পাওয়াটা বেশ কঠিন। কঠিন, কারণ প্রেমে পড়া প্রেম করার চিরকালীনের পথ ভারতীয়দের সেই ১৯৫৫ সালেই দেখিয়ে দিয়েছিলেন তিনি তার প্রযোজিত নির্দেশিত এবং অভিনীত শ্রী ৪২০ সিনেমায়।

রাজ কাপুর ও নার্গিস জুটি একের পর এক বাণিজ্যিক সফল এবং অসামান্য সিনেমা উপহার দিয়েছিলেন সেই সময়। সেই থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বারেবারে চর্চা হয়ে থাকে রাজ-নার্গিসের গোপন প্রেমের কাহিনী। অনেকে বলেন শুধুমাত্র পর্দায় নয়, পর্দার বাইরেও তাদের দুজনের গভীর সম্পর্ক ছিল। যার জন্য নাকি স্ত্রী কৃষ্ণা রাজ কাপুরের সঙ্গে তার বৈবাহিক জীবন প্রায় ভাঙ্গনের মুখে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল এক সময়।

এই বিষয়ে এক মজার কথা করেছিলেন রাজ কাপুর একটি সাক্ষাৎকারে, “নার্গিস আমার নায়িকা, স্ত্রী নয়। কৃষ্ণা আমার স্ত্রী, নায়িকা নয়। এই কথাটা কৃষ্ণা ভালভাবেই জানে, তাই আমার কাজের জায়গা নিয়ে খুব একটা চিন্তা করে না।” পঞ্চাশ ষাটের দশকের ফিল্ম ম্যাগাজিনগুলি পাতার পর পাতা খরচা করতেও রাজ কাপুরের অ্যাফেয়ার নিয়ে। আসলে ভারতীয় সিনেমার এই গ্রেটেস্ট শো ম্যানের বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ হলেই হু করে বিক্রি হতো ম্যাগাজিনগুলো। তাইতো তারা কখনো তার বিয়ে ভেঙে দিতে ব্যস্ত ছিল, কখনওবা নার্গিস ছাড়াও পদ্মিনী কোলপুরেকরের সঙ্গে তাকে জুড়ে দিয়েছিল।

জন্মদিন,
Pinterest

ভারতীয় সিনেমায় কাপুর সাম্রাজ্যের সূত্রপাত হয় রাজ কাপুরের হাত ধরেই। তার বাবা পৃথ্বীরাজ কাপুর ছিলেন মূলত নাটকের মানুষ। তার হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ভারতীয় গণনাট্য সংঘ। পৃথ্বীরাজ কাপুর বিশ্বাস করতেন নাটক কেবলমাত্র শিল্পের দায় নিয়ে চলে না, তা মানুষের মনোভাবের পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম। তার তৈরি পৃথ্বী থিয়েটারেই অভিনয় জীবনের প্রথম হাতে খড়ি জ্যেষ্ঠপুত্র রণবীর রাজ কাপুরের। সেই শুরু, তারপর নাটকের গন্ডি পেরিয়ে এসে পড়লেন ভারতীয় সিনেমার মহাসমুদ্রে। তারপর কেবল নিজে সমৃদ্ধ হলেন না, রচনা করলেন ভারতীয় সিনেমার সবচেয়ে গৌরবজ্জল অধ্যায়।

জন্ম :

আজকের দিনে (১৯২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর) তৎকালীন ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের পেশোয়ারে রাজ কাপুরের জন্ম। তার মা ছিলেন রমাস্মামী কাপুর। এই স্থানটি বর্তমানে পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের অন্তর্গত। যে বাড়িতে তার জন্ম হয়েছিল সেটি পরবর্তীকালে কাপুর হাভেলি নামে বিখ্যাত হয়।

তার জন্মের কিছু দিনের মধ্যেই পুরো পরিবার নিয়ে মুম্বাইয়ে চলে আসেন তার বাবা পৃথ্বীরাজ কাপুর। তিনি এখানে ভ্রাম্যমাণ পৃথ্বী থিয়েটার কোম্পানি তৈরি করেন। বাবার এই থিয়েটার কোম্পানির সঙ্গে ভারতের অনেক জায়গায় ছোটবেলায় ঘুরেছেন তিনি। সেখান থেকেই তাঁর অভিনয়ের প্রতি প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়। পরবর্তীতে পৃথ্বী থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন তার অপর দুই ভাই শাম্মী কাপুর এবং শশী কাপুর।

জন্মদিন,
BollywoodShaadis.com

বলিউডে শুরুর দিনগুলো :

ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল হওয়ার পর রাজ কাপুর তৎকালীন বিখ্যাত ফিল্ম প্রোডাকশন হাউজ এবং স্টুডিও বোম্বে টকিজে একজন সাধারন অ্যাটেন্ডেন্ট হিসাবে যোগ দেন। তার কাজ ছিল সেটে চা জল এই সব অভিনেতাদের কাছে বয়ে নিয়ে যাওয়া। তাকে প্রথম কাজ দেওয়া হয় দিলীপ কুমারের সিনেমার শুটিংয়ে। সেটি ছিল অভিনেতা হিসাবে দিলীপ কুমারের প্রথম সিনেমা। এরপর তিনি বিখ্যাত প্রযোজক-পরিচালক কেদার শর্মার ইউনিটে ক্লাপস্টিক বয় হিসাবে যোগদান করেন। সেই সময় দরকারে তাকে শুটিং ফ্লোর পরিষ্কার করতে হতো।

যদিও এই কাজ রাজ কাপুরের ভালো লাগছিল না। তিনি দায়িত্বের কথা ভুলে গিয়ে শুটিং দেখতেই বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থাকতেন। একদিন কেদার শর্মা খেয়াল করেন তিনি নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও সেটের এই নবাগত ছেলেটি তা পালন করছে না। ক্ষেপে গিয়ে তিনি সেটের সকলের সামনে চড় মারেন রাজ কাপুরকে। এই ঘটনা ব্যাপক প্রভাব ফেলে পৃথ্বীরাজ কাপুরের জ্যেষ্ঠ পুত্রের মনে। তার জীবনটাই সম্পূর্ণ বদলে দেয় এই একটি ঘটনা।

পরবর্তীকালে ১৯৪৭ সালে এই কেদার শর্মাই রাজ কাপুরকে তার নির্দেশিত সিনেমা নীলকমলের মূল চরিত্রে নির্বাচিত করেন। এটি ছিল রাজ কাপুরের প্রথম সিনেমা। প্রথম সিনেমাতেই তিনি তৎকালীন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী মধুবালার বিপরীতে অভিনয় করেন। এই শুরু হলো তার পথ চলা। এরপর আর কখনো পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি তার পথ ধরে এগিয়ে গিয়েছেন আর তার প্রতিটা পদক্ষেপে সমৃদ্ধ হয়েছে ভারতীয় চলচ্চিত্র।

জন্মদিন,
Deccan Herald

আর কে স্টুডিও :

১৯৪৭ সালে নীলকমল সিনেমা দিয়ে বলিউডে প্রবেশ করার পরের বছরই অর্থাৎ ১৯৪৮ সালে রাজ কাপুর নিজের নামে তৈরি করে ফেলেন একটি স্টুডিও। মুম্বাইয়ের চেম্বুরে তৈরি স্টুডিওটির নাম রাখেন রাজ কাপুর স্টুডিও এন্ড প্রোডাকশন হাউজ। যা তার নামের আদ্যক্ষর অনুযায়ী আর কে স্টুডিও নামে বিখ্যাত ছিল।

নতুন স্টুডিও খোলার ফলে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগৎ এক নতুন রাজ কাপুরকে পেল, অভিনেতা পরিচালক এবং প্রযোজক রাজ কাপুর। তার এই প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে প্রথম সিনেমা হল আগ। যা পরিচালনা এবং প্রযোজনা দুটোই করেছিলেন রাজ কাপুর। এই সিনেমার অভিনেতা হিসাবে তিনি জুটি বাঁধেন নার্গিসের সঙ্গে। সেই শুরু রাজ কাপুর-নার্গিস জুটির পথ চলা। এরপর এই জুটি এক ডজন সিনেমায় অভিনয় করে। যার প্রতিটি সুপার ডুপার হিট হয়েছিল। সবচেয়ে বড় কথা ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রেমীদের মনে এই সিনেমাগুলো আজও অমর হয়ে থেকে গিয়েছে।

রাজ কাপুর তার পরিচালিত প্রথম সিনেমাতেই চিরাচরিত ভাবনার গণ্ডি ভেঙে মানুষের বাইরের সৌন্দর্যের সঙ্গে অভ্যন্তরের সৌন্দর্যের এক দ্বন্দ্বের ছবি ফুটিয়ে তোলেন।

এর পরের বছর তিনি অভিনয় করেন আন্দাজ সিনেমায়। এতে দিলীপ কুমার ও নার্গিসের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন তিনি। বারসাত ছিল তার পরিচালিত দ্বিতীয় সিনেমা। যাতে তিনি বিখ্যাত সুরকার জুটি শঙ্কর-জায়কিষেণের সঙ্গে প্রথমবার কাজ করেন। এরপর তার পরিচালিত বেশিরভাগ চলচ্চিত্রেই সুর করেছিলেন শঙ্কর-জায়কিষেণ জুটি। সেই সময় সবচেয়ে কম বয়সী চলচ্চিত্র মিউজিক পরিচালক হিসাবে রেকর্ড সৃষ্টি করেন জয়কিষাণ। ভারতীয় চলচ্চিত্রে এই জুটিই প্রথম বারসাত সিনেমার গান তৈরি করতে গিয়ে ২০০ জন অর্কেস্ট্রা শিল্পীকে ব্যবহার করেছিলেন। যা ছিল তৎকালীন রেকর্ড।

গানের সুর তৈরীর ক্ষেত্রে শঙ্কর-জায়কিষেণ কারোর কোনো পরামর্শ শুনতেন না। কিন্তু তারা একমাত্র রাজ কাপুরের পরামর্শ গ্রহণ করতেন কোন গান তৈরি করার ক্ষেত্রে। কারণ চূড়ান্ত অভিনয় দক্ষতার পাশাপাশি রাজ কাপুরের সুর এবং তাল বোধ ছিল অসামান্য। তিনি হারমোনিয়াম, তবলা, ভায়োলিন, পিয়ানোর মতো একাধিক বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারতেন।

এরপর একে একে আওয়ারা, শ্রী ৪২০, জিস দেশ মে গঙ্গা বেহতি হ্যায়ের মতো আরো অনেক অসাধারণ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তিনি এবং এর বেশিরভাগ সিনেমাতেই মূল চরিত্রে তিনি অভিনয় করেছিলেন। এছাড়া অন্য অনেক পরিচালকের সিনেমাতেও অভিনয় করতেন রাজ কাপুর। তার অভিনীত ও নির্দেশিত সিনেমাগুলি কেবলমাত্র বাণিজ্যিক সফল ছিল তাই নয় তা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নেও ব্যাপক আলোড়ন ফেলেছিল। বিশেষত রাশিয়ায় মানুষ আজও আগ্রহের সঙ্গে রাজ কাপুরের পুরনো সিনেমাগুলি দেখে। সেই সময় একটা কথা খুব প্রচলিত হয়েছিল “রাজ কাপুর ও তার সিনেমা দিয়েই রুশরা ভারতকে চিনতে শিখেছে।”

১৯৭০ সালে তিনি তার ক্যারিয়ারের সেরা সিনেমা “মেরা নাম জোকার” রিলিজ করেন। এটি বানাতে তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর সময় নিয়েছিলেন। এই সিনেমায় চার্লি চ্যাপলিনের অভিনয় স্টাইলকে অনেকটা অনুকরণ করেছিলেন তিনি। সার্কাসের একজন জোকারের জীবনকে এই সিনেমার মধ্য দিয়ে পর্দায় ফুটিয়ে তোলেন। তার মধ্যম পুত্র ঋষি কাপুর জোকারের বাল্যকালের চরিত্রটিতে অভিনয় করে। যার বড় বয়সে চরিত্রে চার্লি চ্যাপলিন স্টাইলকে অনুকরণ করে অসামান্য অভিনয় করেছিলেন রাজ কাপুর।

একজন সার্কাস জোকারের বাল্যকাল, কৈশোর বয়স এবং পরিণত বয়সেরকে ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে সিনেমাটি অনেকটাই বড় হয়ে যায়। প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা দৈর্ঘ্যের এই সিনেমাটি সেই সময় বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়নি। যার ফলে রাজ কাপুর ব্যাপক আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েন। যদিও পরবর্তীকালে এই মেরা নাম জোকার‌ই ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক ধ্রুপদী সিনেমার স্বীকৃতি পায় এবং বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়ে উঠে।

মেরা নাম জোকারের ফলে যে আর্থিক ধাক্কার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তা কাটাতে পরের বছরই ববি তৈরি করেন তিনি। তখনো পর্যন্ত ভারতীয় চলচ্চিত্রের চলে আসা ধারাকে ভেঙে দিয়ে কিশোর বয়সের প্রেমকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলেন রাজ কাপুর। এই সিনেমায় নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন তার পুত্র ঋষি কাপুর এবং নায়িকা ছিলেন ডিম্পল কাপাডিয়া। ববিতে ডিম্পল কাপাডিয়ার বিকিনি পড়া একটি দৃশ্য ছিল, যা ছিল ভারতীয় চলচ্চিত্রে প্রথম বিকিনি পরিহিত দৃশ্য।

জন্মদিন,
Pinterest

রাজ কাপুর কে?

ক্লার্ক গেবলকে “দ্য কিং অফ হলিউড” বলা হতো। সেই ধারা অনুসরণ করে রাজ কাপুরকে বলা হয় ভারতীয় চলচ্চিত্রের “ক্লার্ক গেবল” বা “দ্য কিং অফ বলিউড”। তিনি “গ্রেটেস্ট শো ম্যান অফ বলিউড” নামেও পরিচিত ছিলেন। সত্যি বলতে কি রাজ কাপুরের মত প্রভাব ভারতীয় চলচ্চিত্রে আর কারোর নেই। কারণ তিনি অভিনয় পরিচালনা এবং প্রযোজনা তিনটি এক সঙ্গে সমানতালে চালিয়ে গিয়ে ভারতীয় চলচ্চিত্রের দিক বদল ঘটিয়েছিলেন। তিনি দেখেছিলেন গুণগত মানে ভালো সিনেমার সঙ্গে বাণিজ্যিক সফল সিনেমার কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তিনি যে ধারা শুরু করেন তা মেনে আজ‌ও এগিয়ে চলেছে কাপুর পরিবার।

রাজ কাপুরের পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিন পুত্র‌ও বলিউডের সমান দক্ষতায় কাজ করে গিয়েছেন। তারা হলেন রণধীর কাপুর, ঋষি কাপুর ও রাজীব কাপুর। এছাড়াও তার দুই কন্যা হলেন ঋতু নন্দা ও রিমা জৈন।

কাপুর পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম অর্থাৎ রাজ কাপুরের নাতি-নাতনিরাও ভারতীয় চলচ্চিত্রে এক একজন সুপারস্টার। রাণবীর কাপুর, কারিশ্মা কাপুর, করিনা কাপুরের ঠাকুরদা হলেন রাজ কাপুর।

তার নামের সঙ্গে একাধিক নায়িকার নাম বিভিন্ন সময় জড়িয়ে গিয়েছে। হয়তো সত্যিই অভিনয় করতে গিয়ে তারা কোনো রোমান্টিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু তার প্রভাব ব্যক্তিজীবনে সরাসরি পড়তে দেননি ভারতীয় চলচ্চিত্রের এই প্রাণপুরুষ। হয়তোবা পর্দার বাইরেও ব্যক্তিগত এক সংযোগ তৈরি হয়েছিল বলেই ঐরকম অসামান্য দৃশ্য আমরা পর্দায় ফুটে উঠতে দেখেছিলাম। আসল সত্যিই যাইহোক, ভারতীয় চলচ্চিত্রের রাজ কাপুরের অবদান অস্বীকার তো দূরের কথা, অমনোযোগী হওয়াও অসম্ভব নয়।

তার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডের পাশাপাশি তিনি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার এবং পদ্মভূষণ সম্মান পান। ১৯৮৮ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার নিতে গিয়ে তিনি জ্ঞান হারান। তারপর বেশ কিছুদিন নয়া দিল্লির এইমসে ভর্তি থাকার পর ২ জুন ১৯৮৮ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্রের এই প্রবাদপ্রতিম মানুষটি প্রয়াত হন।