Woman's daily routine at home and at work.

প্রত্যেকদিনের নিয়মিত কার্যকলাপ আপনাকে একটু একটু করে সাফল্যের দিকে নিয়ে যায়। তাই নিয়মানুবর্তিতা রেখে দিন শুরু করুন আজ থেকেই। সফল হতে চাইলে আপনাকে থাকতে হবে কর্মযোগেই। যদি কোন সফল ব্যাক্তির জীবন পর্যবেক্ষণ করেন তাহলেও দেখতে পাবেন কিছু সাধারন নিয়ম তাঁরা সকলেই মেনে চলেছেন। অলস চিন্তা মাথা থেকে দূর করে আপনিও মেনে চলুন এই পাঁচটা দৈনিক রুটিন।কে বলতে পারে, এটাই হয়তো হবে আপনার বিশ্বজয়ের প্রথম পদক্ষেপ!


১। আগে ঘুমিয়ে আগে উঠুন
ছোটবেলায় পড়া সেই নার্সারি রাইম আমাদের নিশ্চয়ই মনে আছে; যে, তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়া এবং তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা একজন মানুষকে স্বাস্থ্যবান, ধনবান এবং বুদ্ধিমান হতে সাহায্য করে। কিভাবে? কারণ আর কিছুই নয়, তাড়াতাড়ি ঘুমোলে আপনি ক্লান্তিহীন ভাবে সকাল সকাল উঠে আগে দিন শুরু করতে পারবেন। সকলের আগে দিন শুরু করে প্রত্যেকদিনের কাজেও আপনি এগিয়ে থাকবেন এবং দিনের শেষে আপনার কাজও শেষ হবে তাড়াতাড়ি। বিখ্যাত সফল ব্যক্তিরা যেমন বিল গেটস, শচীন তে্নডুল্কর, অনিল আম্বানি দিন শুরু করেন সূর্যোদয়ের আগেই।


২।সকালে শরীর শোধনকারী পানীয় খান
ঘুম থেকে উঠেই ঈষদুষ্ণ জলে লেবু কিংবা আমলকীর রস মিশিয়ে তাতে সামান্য মধু দিয়ে সরবত খান। এতে শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে গিয়ে আপনার রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং আপনাকে স্বাস্থ্যবান রাখে। প্রত্যেকদিন এই সরবত পান করলে আপনি পাবেন উজ্জ্বল ত্বক এবং নেশাদ্রব্যের আসক্তিমুক্ত মনোভাব যা আপনার আত্ববিশ্বাস অনেকগুণ বাড়িয়ে তুলবে।


৩। নিয়মিত শরীরচর্চা করুন
শরীরকে কর্মঠ বা সারাদিন কার্যক্ষম রাখার মূল মন্ত্র হল নিয়মিত শরীরচর্চা।সফল হতে চাইলে সহজে ক্লান্তি আনলে চলবে না। নিজেকে পুরো দমে রাখতে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে শোধনকারী পানীয় খেয়েই শুরু করুন শরীরচর্চা। অন্তত পনেরো মিনিট সময় আপনাকে রাখতেই হবে শরীরচর্চার জন্য। কিছু যোগ ব্যায়াম, প্রাণায়াম এবং ফ্রি হ্যান্ড থাকতে পারে এই সময়টুকুর পরিকল্পনায়।জিমে যেতে হবেনা, শুধুমাত্র নিয়ম করে দৌড়তে পারেন। পনেরো মিনিট থেকে একঘণ্টা সব শরীরচর্চার পদ্ধতির ইউটিউব টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন।


৪।সকালে নিয়মিত প্রাতোরাশ করুন
সকালে প্রাতরাশের নিয়মিত অভ্যাস জীবনে সাফল্যের জন্য অত্যন্ত জরুরী। নৈশভোজের পর এতঘন্টা বাদে সকালের প্রথম খাবারটার জন্য শরীর অপেক্ষা করে।প্রাতরাশ আমাদের শরীরের দিন শুরুর জ্বালানি, সেটুকু সময়ে না পেলে শরীর ভেঙ্গে পড়ে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হারায় এবং আমরা ক্লান্তি ও অবসাদে ভুগি।তাই, যতই তাড়া থাকুক, খিদে নেই বলে দিনের শুরুর খাবারটা অবহেলা করবেন না। ধিরেসুস্থে যত্ন নিয়ে প্রতিদিনের প্রাতরাশ সেরে তবেই কাজে বসুন।


৫। সারাদিনের শেষে নিজের মুখোমুখি হন

সারাদিনের কাজের পর আপনার বিশ্রামের সময়। এইসময়টুকুও অকারনে ব্যয় না করে মনে মনে পরেরদিনের কাজের পরিকল্পনা গুছিয়ে নিন।সারাদিন আজ কি কি ভাল কাজ করেছেন, ভাবার চেষ্টা করুন এরপর।কোন কাজে আপনার গাফিলতি ছিল কিনা তা এইসময়ে নিজের সঙ্গে বোঝা পড়া করে নিন। আজ যা যা ভুল করেছেন বলে আফশোস করলেন কাল থেকে আর সেভুল না করতে চেষ্টা করুন।

এই রুটিন নিয়মিত মেনে চললে আপনি প্রত্যেকদিন আগের দিনের থেকে বেশি উন্নত এবং আনন্দময় পরিস্থিতিতে থাকবেন।নিষ্ঠা ভরে জীবনকে ভালোবেসে যদি এভাবে এগিয়ে চলেন আপনার সাফল্য আসলে আপনারই হাতে।


আরও পড়ুন;

https://www.banglakhabor.in/%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%a6-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8b%e0%a6%b0-%e0%a6%8f%e0%a6%87-%e0%a6%ae%e0%a7%8b%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%ae-%e0%a7%a7/