গত ২২শে অক্টোবর নাগাত একটি ভিডিও ফেসবুক পেজ বাংলা খবর এ ভীষণরকম উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল। ভিডিওর বিষয়টি একটু পরিষ্কার করে বলি।

বাংলাদেশের দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যে নিকৃষ্ট কার্যকলাপ চলেছিলো, তার প্রতিবাদ ছড়িয়েছিল সারা ভারতবর্ষ জুড়ে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের ওপর আঘাত হানলে বাঙালিরা তো প্রতিবাদে নামবেই। এই বিষয়টিকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে দীনেশ দাস তার ভিডিওটি শুরু করেন।


তারপর তিনি যেটা বলতে চেয়েছেন, সেটা হয়তো অনেকেই বুঝতে পেরেছেন এবং বুঝতে পেরে তার প্রশংসাও করেছেন। কিন্তু সামান্য কিছু মানুষের কাছে ব্যাপারটা হয়তো এখনো বোধগম্য হয়নি যা নিয়েই এতো উত্তেজনা। আসলে বিষয়টি হলো, কোনো একটা জিনিস নিজে ভাবা অনেক সোজা কিন্তু অন্যদেরকে সেই একই জিনিস ভাবানো অনেক কঠিন কাজ। তাও তিনি যে তাতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সফল, সেটার জন্য তার একটি সাধুবাদ অবশ্যই প্রাপ্য।

বনগাঁর রাস্তায় অজিত অধিকারী, দেবদাস মণ্ডল এবং অশোক কির্তনিয়া পরিচালিত যে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আপত্তি দীনেশ দাসের ছিলনা। ওনার আপত্তি ছিল তথ্য নির্বাচন নিয়ে।

যে তথ্যটি প্রচার হচ্ছিল তাতে হিংসার ছোঁয়া ছিল, ধর্ম ভেদ ছিল এবং সর্বোপরি সেটা কোনোভাবেই মানুষের স্বার্থে ছিলনা বরং যে তথ্যসমূহ সেই সভায় আলোচিত হয়েছিল তার অধিকাংশই ভুল বা মিথ্যা। মানুষে মানুষে বিভেদ করে হিংসার আশ্রয় নিয়ে উনি রাজনীতি চাননা।

উনি রাজনীতি চেয়েছেন সত্যের ওপর ভিত্তি করে এবং সব ধর্ম, সমস্ত জাতির মানুষকে রক্ষার স্বার্থে। উনি চেয়েছেন সাধারণ মানুষ যাতে কোনোভাবেই ভুল তথ্যের দ্বারা প্ররোচিত না হয়। চেয়েছেন যাতে মানুষ মানুষের স্বার্থে আন্দোলন করুক। কোনো নির্দিষ্ট ধর্ম, জাতি বা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের স্বার্থে নয়।

কমেন্ট বক্সে অশ্রাব্য ভাষার প্রয়োগই তো এই আন্দোলনের একটি কর্কশ দিক তুলে ধরেছে ( যদিও সবকটাই ফেক প্রোফাইল ছিল) । আজকে আপনার কাছে ক্ষমতা আছে বলেই তো আপনি মাইক হাতে এভাবে কথা বলার সাহস পাচ্ছেন। তাহলে আপনার ক্ষমতাটা মানুষের স্বার্থে ব্যবহার করুন, মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টিতে নয়, এটুকুই ছিল ভিডিওর বক্তব্য।

(দীনেশ দাস হলেন বনগাঁর একজন উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ, যিনি গতবছর বিধানসভা নির্বাচনে একজন প্রার্থী হিসেবে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছিলেন। প্রত্যেক বনগাঁবাসীর কাছে খুবই চেনা একটি নাম, এমনকি বনগাঁর বাইরেও অনেকের কাছেই ইনি খুবই পরিচিত একটি মুখ।)