বাংলার সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রীর গদি কার দখলে
বাংলার সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রীর গদি কার দখলে

২০২৪ এ হতে চলা সাধারণ নির্বাচনের (MP election) বিরোধী মেগা জোট ইন্ডিয়া (INDIA), এর  প্রধানমন্ত্রী মুখ কে সেই নিয়ে তো বিস্তর জল্পনা কল্পনা চলছেই। ইন্ডিয়া জোটের প্রধানমন্ত্রী মুখ কি তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ? কারন প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে নেই কংগ্রেস,ফলে স্বাভাবিক ভাবেই রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হচ্ছেন না বলেই মনে করছে অধিকাংশ মহল। তবে প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসেবে বিরোধী জোট কি তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেই বেছে নেবে? এই নিয়েতো বিস্তর আলোচনা সমালোচনা চলছে এবং কাজে চলবে সেটাই স্বাভাবিক , তবে আজ আমরা কথা বলবো এই ঘটনা যদি বাস্তবিক হয় তাহলে বাংলার সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রীর গদি কার দখলে থাকবে। সেরকম কিছু সম্ভাব্য ব্যক্তিবর্গের  তালিকা নিয়ে আজকে আমাদের এই বিশেষ প্রতিবেদন।

কল্যাণ ব্যানার্জী : 

 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর বাংলার সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রীর গদির দাবিদার হিসেবে কিন্তু নিঃসন্দেহে সবার প্রথমে যার নাম নিতেই হয় তিনি হলেন কল্যাণ ব্যানার্জী, মুখ্যমন্ত্রী পদে দাবিদার হিসেবে তাকে ভাবার প্রথম কারণ তিনি কিন্তু তৃণমূল পার্টির জন্মলগ্ন থেকেই রয়েছেন পার্টির সাথে। অভিঞ্জনেতা হিসেবে অভিজ্ঞতাও কিন্তু তার বিস্তর, দলের সুদিন দুর্দিন সবই তিনি পরখ করেছেন খুব কাছ থেকে, এছাড়াও সুদক্ষ আইনজীবী হওয়ার কারণে দলের বিভিন্ন আইন সংক্রান্ত ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সামলে আসছেন তিনি , এছাড়াও কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন এক নেতা যিনি একমাত্র দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া দলের আর কাউকে তোয়াক্কা করেন না। এছাড়াও তিনি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে চোখ রেখে বলেন তিনি মনে করেন একমাত্র  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া তার আর নেতা বা নেত্রী নেই , তার কাছে মমতা ব্যানার্জির গুরুত্ব সব থেকে বেশি তাছাড়া আর কারোর নয় , যানিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে তার মনোমালিন্য আমরা সর্বসম্মুখে চাক্ষুষ করেছি ,আর তার এই নির্ভীক স্বভাব ও দলের প্রতি আনুগত্য এবং অভিজ্ঞতা সব মিলিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কে আমরা কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ভাবতেই পারি। 

image

ববি হাকিম : 

তবে বাংলার সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রীর তালিকা নিয়ে যখন কথা বলছি তখন সবার প্রথম যার নামটা আমাদের মাথায় আসে সেটা কিন্তু নিঃসন্দেহে ফিরদ  হাকিম, তবে এই ক্ষেত্রে একটি ছোট অন্যতম সমস্যা হল  তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ব্যাক্তিত্ব, যেহেতু পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম বিরোধী দল বিজেপির ধর্মের রাজনীতিতে কোথাও গিয়ে বিশ্বাসী সেই হিসাবে ফিরোদ হাকিমের মুখ্যমন্ত্রী তো পদের ওপর কোথাও গিয়ে যেন একটা বাইনারি তৈরি করেছে, তার কারণ ২৪ এর লোকসভায় যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হয়ে যান তারা সেই ক্ষেত্রে ২৬ এর বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফিদোধ হাকিম কে প্রজেক্ট করলে হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত হলে কোথাও গিয়ে ভোট ব্যাংকের ওপর বিস্তার প্রভাব পড়তে পারে তাই ফিরোদ হাকিম মুখ্যমন্ত্রী পদের যোগ্য দাবিদার হলেও কতটা প্রাসঙ্গিকতা আছে সেই নিয়ে কিন্তু একটি প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। 

image 1

বিশ্বজিৎ দাস : 

এর পরবর্তীতে বিশ্বজিৎ দাসকে অন্যতম  মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে ধরা হচ্ছে | কি চমকে গেলেন তো? ঠিক বুঝতে পারছেন না কে এই বিশ্বজিৎ দাস তাইতো ? ? তো চলুন প্রথমত আপনাকে একটু তার বিষয়ে খোলসা করা যাক। তার অন্যতম কারণ তিনি কিন্তু বিজেপির একজন জয়ী এমএলএ  বর্তমানে কিন্তু তারপরেও তিনি বর্তমানে বনগাঁ সাংগঠনিক সভাপতি ও বিভিন্ন চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন বর্তমান এবং অত্যন্ত সুদক্ষতার সাথে সেগুলো পরিচালনা করেছেন। শুধু তাই না আসন্ন ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ইলেকশনে তার নিজের ছেলে শুভজিৎ দাস কে জেলা পরিষদের টিকিটে তৃণমূল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিয়ে আনেন এবং সে পরবর্তীতে জয়যুক্ত হয় |  কিন্তু টুইস্ট এর থেকেও বড়।  যে সিট তিনি তার নিজের ছেলের জন্য আনেন,  সেই ব্যক্তি নির্ধারণ করা ছিল বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার  চেয়ারম্যান তথা বনগাঁও উত্তরের  সদ্য হওয়া বিধানসভার  তৃণমূলের  পদপ্রার্থী  ক্যান্ডিডেট শ্যামল রায়ের |  আর এই শ্যামল রায় একজন যথেষ্ট অভিজ্ঞ এবং বিগত কুড়ি বছরের অধিক সময় ধরে তৃণমূলের প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন এবং জয়ী হয়ে আসছেন।এ নিয়ে চাপাবাজ বিতরণ দাও একেবারে কম হয়নি। শুধু যে ছেলের টিকিট এনে তাকে জেলা পরিষদে একটি সুযোগ্য আসন করে দিয়েছেন কোন রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছাড়া এটিই তার একমাত্র অবদান নয়। তার নিজের ছেলে বাদেও, ভাত্রী বধুকে  বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতিতে  তৃণমূলের তরফে ভোটের টিকিট এনে নির্বাচনে লড়ার সুযোগ করে দেন এবং তিনিও বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। এছাড়াও তিনি তৃণমূলের সাংগঠনিক সর্বোচ্চ কর্ম দায়িত্ব সহকারে পালন করেছেন। এছাড়াও একুশে জুলাই মঞ্চে যেখানে অনেক বড় বড় নেতা-মন্ত্রীরা বক্তব্য রাখার সুযোগ পাননি সেই মঞ্চতেও তৃণমূলের মূখ্য বিরোধী শক্তি বিজেপিতে মন্ত্রী পদে আসীন থাকা  পরিস্থিতিতেও তাকে সেই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে দেখা যায় সেখান থেকেই আমরা বুঝতে পারি তিনি কতটা প্রভাবশালী এবং বাংলার সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রীর দাবিদারের জন্য কতটা এগিয়ে রয়েছেন | তবে এছাড়াও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে যখন গিয়েছিলেন সেখানে বিজেপির এমপি শান্তনু ঠাকুর সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে অভিষেক ব্যানার্জিকে বাঁধা দেন, এবং সে সময় অভিষেক ব্যানার্জি ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে ঢুকতে ও   অসমর্থ হন সেই সময় বিশ্বজিৎ দাস নিজে দায়িত্ব করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে ঠাকুর বাড়িতে ঢোকার ব্যবস্থা করে দেন | আর এটিতে বিশ্বজিৎ দাসের আরো গুরুত্ব বেড়েছে মতুয়া সম্প্রদায় ও বাংলার রাজনীতিতে। এই ঘটনার পর তার ভাবমূর্তি আরো পরিষ্কার হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে, প্রাসঙ্গিকতার জন্যেই তাকে অন্যতম দাবিদার হিসেবে দেখা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য। এখানে অবশ্য মনে করিয়ে রাখা প্রয়োজন,  এমনটি নয় যে বিশ্বজিৎ দাস সার্বিক রূপেই বিজেপির প্রতিনিধি অথবা বিজেপি থেকেই তার রাজনৈতিক হাতে খড়ি।  তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই তিনি তৃণমূলের ছত্রছায়ায় নিজে পরিপক্ক যেমন হয়ে উঠেছেন তেমনি বর্তমান বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার মধ্যে অন্যতম দাপুটে নেতা হিসাবে নিজেকে মেলে ধরেছেন বারংবার।  যেখানে সিপিএমের দাবদাহে বিরোধী কোন রাজনৈতিক শিবির কখনোই দাত ফোটাতে পারেনি সেই তখন থেকে তিনি পঞ্চায়েত সমিতি এবং পরবর্তীতে দুইবার এম এল এ হিসাবে বনগাঁ উত্তর থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন ভোটের রেজাল্ট তথা আপামর মানুষের ভালোবাসায় |  যেখানে বর্তমান রাজনীতিতে পশ্চিমবঙ্গের সার্বিকভাবে নেতারা নানাভাবে পক্ষপাত দুষ্ট তথা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সে ক্ষেত্রে এই দাপুটে নেতা অনেকটি নিজেকে সামলাতে পেরেছেন |  তবে সবথেকে বড় টুইস্ট হতে চলেছে,  তার অবিবাহিত ছেলের আগামীতে বিয়ের খবরটি নিয়ে |  বলাবাহুল্য,  তার পুত্রবধূ এমন কেউ হতে চলেছে যার জেরে এই দাপটে নেতার দাপট পশ্চিমবঙ্গ তথা দেশের রাজনীতিতে চমক ফেলতে পারে এমনই  রটনা এবং কানাঘুষো অহরহ (যদিও বাংলা খবরের কাছে তার ছেলের বিয়ে অথবা পুত্রবধূকে হতে চলেছে সে নিয়ে যথেষ্ট তথ্য হাতে আসেনি)  |

image 2

 অরূপ বিশ্বাস : 

 তবে এরপর যার নাম না নিলেই নয় তিনি হচ্ছেন  অরুপ বিশ্বাস, তৃণমূলের শুরুর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী হিসেবে আমরা অরূপ বিশ্বাস কে বারংবার দেখে এসেছি দক্ষিণ কলকাতায় অরূপ  বিশ্বাসের প্রভাব ও কিন্তু বিশাল, টলিউড ইন্ডাস্ট্রির প্রসারের ক্ষেত্রে কিন্ত অরূপ বিশ্বাসের ভূমিকা কেউ অস্বীকার করতে পারবেনা, তোকে বর্তমান সময়ে কমবেশি প্রত্যেক নেতা মন্ত্রীর নামে সমালোচনা শুনে থাকি কিন্তু এক্ষেত্রে কিন্তু অরূপ বিশ্বাস বেশ আলাদা কার নামে কোন রকমের সমালোচনা বা বিতর্ক এখন অব্দি শোনা যায় না , তিনি তার নিজের সমগ্র জীবনটা মানুষের সেবায় এবং দলের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন নিঃসন্দেহে তার এই দলের প্রতি আনুগত্য ও মানুষের প্রতি ডায়েট হয় নিঃসন্দেহে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসাবে যথেষ্ট এগিয়ে রেখেছেন তাকে।

মহুয়া মৈত্র

তবে মহিলা বাংলার সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে আবার কোন মহিলাকেই বা কেন আমরা ভাবছি না ভাবতেই পারি মহুয়া মৈত্রকে কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী  পদের জন্য ভাবাই যায় তার বিচক্ষণতা বুদ্ধিমত্তা ও রাজনৈতিক জ্ঞান সবকিছু দিয়ে কিন্তু তার আর কোন প্রতিযোগী নেই | বঙ্গ রাজনীতিতে মমতা ব্যানার্জির পরবর্তীতে যদি সর্বাপেক্ষা চর্চিত কোন নারী রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়ে থাকে এবং বর্তমানে রাজনৈতিকভাবে কর্মরত তবে তার নাম হলো মহুয়া মিত্র |  সাংবাদিক  এর চোখ রাঙানি অথবা বয়কট হোক,  ধর্মীয় রাজনৈতিক কুৎসা  হোক  কিংবা পার্লামেন্ট  এবং  নিজে জীবনের অতি নিকট মিত্রের থেকে  রাজনৈতিক তথা  বিচার বিভাগীয় ধমকি হোক সমস্ত ক্ষেত্রেই  অতি নিপুণতা এবং দক্ষতার সাথে মোকাবিলা করেছেন এই কিংবদন্তি  নারী  যিনি ভারতীয় রাজনীতিতে মহিলা প্রতিনিধিত্বের একটি   সুদৃঢ় উদাহরণ | ভুল করলে হাত থেকে রেয়াত পান না কোন মানুষ |  রাজনৈতিক নিপুণতা তথা সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দলমত নির্বিশেষে কাজ করে যাওয়াই তার অন্যতম রুচি এবং বাস্তবতা |  তিনি যে শুধু কঠোর সিদ্ধান্ত  নেন তাই নয়, দুর্বল তথা নির্ভরশীলদের প্রতি তিনি সদা  সযত্ন |  পশুপেম তার মধ্যে বিশেষভাবে প্রকাশ পায় |  আধুনিকীকরণের সাথে পা রেখে শিক্ষা দীক্ষা এবং তথ্যপ্রযুক্তির সুষম ব্যবহার,  তথা সমাজ মাধ্যমে তার অতিসত্রিয়তা সকলের  কাছেই বিদিত | সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার হিসেবে মহুয়া মৈত্র কিন্তু বেশ এগিয়ে  রেখেছে।

image 3

বাবুল সুপ্রিয়

এরপরেই বাবুল সুপ্রিয়ের নাম কিন্তু আমাদের বলতেই হয়, তিনি কিন্তু এখন তৃনমূলের তরুন প্রজন্মের অন্যতম মুখ। তবে তিনি কিন্তু শুরু থেকে শুরু থেকে তৃণমূলে ছিলেন না তিনি বিজেপির এমপি পদত্যাগ করে তৃণমূলে যোগদান করেন আর এই থেকেই বোঝা যায় যে তিনি রাজনৈতিক আঙ্গিনায় কতটা পারদর্শী আর এছাড়াও বিজেপির শুরু থাকে থাকার জন্যই তিনি বিজেপির বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অবগত থাকায় সামনে থেকে লড়াই করতে বাড়তি এডভান্টেজ দিচ্ছে বাবুল সুপ্রিয়কে ,এছাড়াও তার গানের বিশ্বব্যাপী খ্যাতি ও পরিচিত তার সাথে রয়েছে তাই নিঃসন্দেহে সবকিছু মিলেমিশে বাবুল সুপ্রিয়কে কিন্তু যোগ্য দাবিদার হিসেবে ভাবাই যায়। 

সৌরভ গাঙ্গুলী

এরপরে যে নামটা আমরা নিতে চলেছি সেটা হচ্ছে সৌরভ গাঙ্গুলী, যদিও বা তিনি কোন সক্রিয় রাজনীতির সাথে যুক্ত নন তবুও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে তার যে অত্যন্ত সুসম্পর্ক রয়েছে সেটা বলাই বাহুল্য। রাজনৈতিক বিভিন্ন অফার তিনি পেলেও কোনদিন তাকে সক্রিয় রাজনীতির আঙ্গিনায় আমরা দেখিনি তবে অযোগ্য জয় শাকে শুধুমাত্র অমিত না এর ছেলে হবার জন্য বিসিসিআইয়ের পদে বসার পর থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে কোথাও যেন একটা সৌরভ গাঙ্গুলীর বিক্ষিপ্ত মনোভাব দেখা যায় | এইতো সবে দিদির সাথে মিলান গিয়েছিলেন তাই নিয়েও বিজেপির উক্তি এবং টিপ্পনির শেষ ছিল না |  যেখানে বিরোধীরা বারংবার প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে পশ্চিমবঙ্গে কোন ইন্ডাস্ট্রি নেই শিল্প কারখানা বিলীন হয়ে চলেছে,  সেখানে নিজের দায়িত্ব নিয়ে মেদিনীপুরে কারখানা গড়ার ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন | ক্রিকেট তো অথবা ফুটবল কিম্বা জনিত বিষয়ে ব্যবসায়িক পারদর্শিতা পিছিয়ে নেই কোন কিছুতেই বলাই বাহুল্য রাজনৈতিক যোগাযোগ ব্যতীত সেগুলি হয় না |  মনে রাখতে হবে,  পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়া এবং ব্যবসা বেশ কিছুতেই রমরমিয়ে স্থান করে আছেন মহারাজা | সেই সূত্রে বলা যেতেই পারে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে তার সম্পর্ক যেহেতু নিজের দিদির মত তাই হয়তো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তো পদের অফার তার কাছে গেলে সেটা কিন্তু তিনি গ্রহণ করতেই পারে, আর বাংলায় সৌরভ গাঙ্গুলী বরাবরই কিন্তু একটা ইমোশনের জায়গা তাই সৌরভ গাঙ্গুলীকে মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে সকল বাঙালি কিন্তু বেশ খুশি হবে ।

দীপক অধিকারী

এর পরবর্তীতে দেব অর্থাৎ বাংলার বর্তমান প্রজন্মের একমাত্র সুপারস্টারকে ভাবা যেতেই পারে বাংলার সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে । তার রাজনৈতিক থেকে অভিনয়জীবন অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সামলাচ্ছেন তার এত বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে আজ অব্দি কোন বিরোধীকে তিনি কোন কটু মন্তব্য করে আক্রমণ করেছেন বলে জানা যায়নি, আর সেই জন্যেই দেবকে মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখলে কোন বিরোধী থেকে কোন সাধারণ মানুষের কিন্তু অভিযোগের কিন্তু কোন জায়গা থাকবে না বা নেই বলা চলে । 

বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়

এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে বিমান ব্যানার্জি অর্থাৎ বিধানসভার স্পিকার তাকে কিন্তু আমরা ভাবতেই পারি কারণ তিনি জানেন কোন লবী কিভাবে রাজনৈতিকভাবে অংশগ্রহণ করবেন বা কিভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করতে হয় তা কিন্তু তার একদম নকদর্পনে তাই মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে তার কিন্তু গ্রহণযোগ্যতা যথেষ্ট রয়েছে।এছাড়াও আমরা তৃণমূলের অন্যতম মন্ত্রী মলয় ঘটককে কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য ভাবতেই পারি তিনিও কিন্তু যথেষ্ট সুদক্ষ তার সাথে দলীয় কার্যকলাপ সাথে মন্ত্রিত্ব সামলাচ্ছেন , তাই মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে কিন্তু তিনিও যথেষ্ট এগিয়ে রয়েছেন। 

চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য :

এছাড়াও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের রাজনৈতিক গুরুত্ব কিন্তু বেশ অনেকটা তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনার কাজ করেছেন বর্তমানে রাজ্যের রাজ্যের অর্থমন্ত্রী সেই দায়িত্ব কিন্তু তিনি যথেষ্ট সাফল্যের সাথে পালন করছেন এর সাথেই বিভিন্ন মহিলা সংগঠনের বিকাশের কাজে কিন্তু তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। এছাড়াও এই লিস্টে রয়েছে মালা রায় তিনি কিন্তু কাউন্সিলর থেকে এমপি হয়েছেন অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে যে তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা বেশ অনেক বেহালাকে বরাবরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জায়গা বলেই মানুষ জানতো কিন্তু তার গ্রেফতারের পর বিভিন্ন বিরোধীদল সেই এলাকা দখল কিংবা বিভিন্ন রাজনীতি করার চেষ্টা করলেও মালার হয় কিন্তু একা দক্ষতার সাথে সেই সমস্ত কে রুখে দিয়েছিলেন অর্থাৎ সেই ক্ষেত্রে বোঝা যাচ্ছে যে তার রাজনৈতিক দক্ষতা কতটা তাই জন্য নিঃসন্দেহে বাংলার সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রীর দাবিদার হিসেবে তিনি যথেষ্ট বেশি গ্ৰহনযোগ্য। এছাড়াও বর্তমান প্রজন্মের কাছে মিমি চক্রবর্তী বেশ জনপ্রিয় সাধারণ মানুষের হয়ে কথা বলেন মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা আছে রাজনীতিতেও যথেষ্ট সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে তাই তাকেও ভাবা যেতেই পারে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য। 

কাকলি ঘোষ দস্তিদার

 মহুয়া মিত্র  এর পরেই তার কথা বলতে হয় তিনি হচ্ছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার | তার ব্যাপক  কিন্তু বেশ মানুষের কাছে পরিচিত এছাড়াও তিনি সমগ্র উত্তর 24 পরগণের দায়িত্ব সামলেছেন তাছাড়াও দলের সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পালন করে আসছেন | পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘন্ট হক নাকি বিধানসভা ভোট মিউনিসিপাল ভোট হলেও বাদ দেন না তিনি কিছুই।  দায়িত্ব সহকারে প্রতিটা পথ যা তিনি পেয়েছেন,  প্রতিটা দায়িত্ব যা তাকে সঁপে দেওয়া হয়েছে,  প্রতিটা সংগঠন যার তিনি অংশবিশেষ  সকল ক্ষেত্রেই  অতি দক্ষতারসাথে প্রমাণ পাওয়া গেছে  তার সুনিপনতা এবং কঠোর সংযমের | তাই মুখ্যমন্ত্রী পদে দাবিদার হিসেবে তার কথা ভাবাটাও কিন্তু স্বাভাবিক। 

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

এছাড়া যার কথা না বললেই নয় তিনি হচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তার কথা আলাদা করে আর আমরা বলিনি কারণ সকলেই জানেন যে তিনি নিঃসন্দেহে মুখ্যমন্ত্রীদের দাবিদার। তাকে বাদ দিয়ে যদি আর কাউকে ভাবতে হয় সেই ক্ষেত্রে বাদবাকিদের ভাবা যেতেই পারে তাই সেই সম্পর্কে আর বিশেষ কিছু আমরা আমাদের আলোচনায় রাখিনি কারণ নিঃসন্দেহে তার রাজনৈতিক দক্ষতা তাকে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার করে তুলেছে।

image 4

বি. দ্র. : উপরের লিখিত সমস্ত নাম গুলি সম্পূর্ণরূপে আমাদের রিসার্চ এবং উল্লেখিত রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের ব্যক্তিগত মেধা এবং সত্তার উপর নির্ভর করে ক্রমান্বয়ে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি |

Read More :

যে মালিক বড় করলো তাকেই হত্যা করলো তার পোষ্য ক্যাঙ্গারু! কিভাবে ঘটল এই নৃশংস ঘটনা?