ইউপির বারাণসী জেলায় নির্বাচনী প্রচার শেষ হওয়ার সাথে সাথেই ভোটার ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে বিজেপি বুথ কমিটি। ভোটের দিন সর্বোচ্চ ভোট নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। বিজেপি সংগঠনের বুথ কমিটিগুলির প্রধান কাজ হল প্রচার শেষ হওয়ার 36 ঘন্টার মধ্যে তাদের এলাকার প্রতিটি ভোটারের কাছে ‘স্লিপ’ পৌঁছে দেওয়া নিশ্চিত করা। সোমবার জেলার আটটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে- বারানসী দক্ষিণ, বারাণসী ক্যান্ট, বারাণসী উত্তর, সেবাপুরী, রোহানিয়া, আজরা, পিন্দারা এবং শিবপুর।
শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বুথ নম্বর 199-এর বুথ কমিটির প্রধান অনুরাগ কুশওয়াহা বলেছেন যে আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভায় যোগ দিয়ে সবেমাত্র বাড়ি ফিরেছি। আমাদের এলাকার সকলের ভোটার স্লিপ বিতরণের জন্য বুথ কমিটির সকল পদাধিকারী এলাকায় জড়ো হবেন। কুশওয়াহা বলেন, “আমার বুথে প্রায় 1,400 জন ভোটার রয়েছে। একজন পান্না প্রধান আমার এলাকার অন্তত 60 জন ভোটারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। আমরা ভোট দেওয়ার আগে প্রতিটি ভোটারের কাছে যাই এবং ভোটার স্লিপ সরবরাহ নিশ্চিত করি।”

শনিবার সন্ধ্যা থেকে বুথ কর্মকর্তারা স্লিপ বিতরণ করছেন
সেবাপুরী বিধানসভা কেন্দ্রের ৩৮৪ নম্বর বুথে কমিটির চেয়ারম্যান শিব কুমার রাজভর। কুশওয়াহার মতো তিনিও বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রী মোদির জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমার বুথে প্রায় ৮৫০ ভোটার রয়েছে। এদের অধিকাংশই রাজভর ও তফসিলি জাতিভুক্ত। তার মতে, শনিবার সন্ধ্যা থেকে বুথ কর্মকর্তারা স্লিপ বিতরণ করছেন।
বুথে সর্বোচ্চ ভোট নিশ্চিত করার দায়িত্ব
বুথ কর্মকর্তাদের আরেকটি কাজ হলো তাদের বুথে সর্বোচ্চ ভোট নিশ্চিত করা। বারাণসীতে দলের একজন অভ্যন্তরীণ ব্যক্তি বলেছেন, “বুথ অফিস-আধিকারিকরা ভোটারদের বিজেপি সংগঠনের সাথে সংযুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা ভোটের দিন দলের চোখ এবং কান। তারা ভোটের পরে তাদের বুথে দলের পারফরম্যান্স। বুথগুলোকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। যে বুথে দল নিশ্চিতভাবে এগিয়ে থাকবে সেগুলো ‘এ’ ক্যাটাগরিতে। যে বুথগুলোতে দল কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হচ্ছে সেগুলো ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। ‘সি’ ক্যাটাগরির বুথগুলো হলো যেখানে দল দুর্বল।”