আগের বছরে করোনা আসার পর থেকে প্রায় সবাই ঘর বন্দি হয়ে পড়েছিল লকডাউন চলাকালীন। ফলে অফিস- কাছারির ক্ষেত্রে প্রচলিত হয় এক নয়া শব্দ – ওয়ার্ক ফ্রম হোম । বাড়ি বসে সবাই ল্যাপটপ কি ডেস্কটপ কিংবা ট্যাবের সামনে বসে পড়লেন ভিডিও কনফারেন্সে । চলতে থাকল ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিডিও কনফারেন্স ।কিন্তু আপনি কি জানেন এই অনবরত ভিডিও কলের ফলে আপনি আপনার নিজের স্বাস্থের সাথে সাথে করে চলেছেন পরিবেশের ভীষণ রকমের ক্ষতি ?

ভিডিও কল

গবেষকদের মতে ভিডিও কল বা কনফারেন্সের ফলে

নিঃসরিত হয় প্রচুর পরিমাণ কার্বন । পার্দ্যু ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, মোট এক ঘণ্টা ভিডিও কনফারেন্সে বা ভিডিও কলিংয়ের ফলে ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হতে পারে। যা ১২ লিটার জল বা iPad Mini-র সাইজের একটি জায়গায় ব্যবহার করা যেতে পারে।যদিও গবেষকরা এটাও বলছেন যে , এই ভিডিও কলিং বা কনফারেন্স যদি স্ট্যান্ডার্ড ডেফিনেশনে করা হয়, তা হলে তা কমে ৮৬ শতাংশ কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করতে পারে।

ইন্টারনেট কিভাবে পরিকাঠামো জল ও ভূমির ব্যবহারে প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে একটি সমীক্ষা করা হয়। যাতে দেখার চেষ্টা করা হয়, ইন্টারনেটের ডেটার প্রত্যেক গিগাবাইটে কতটা করে কার্ব, জল ও ভূমি যুক্ত রয়েছে। অর্থাৎ YouTube, Zoom, Facebook, Twitter, অনলাইন গেমিং ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সঙ্গে কী ভাবে জল ও ভূমি জড়িত! আর তার পরই গবেষকরা বুঝতে পারেন কার্বন নিঃসরণের বিষয়টি।যার নেতৃত্বে এই গবেষণাটি হয়েছে, সেই গবেষক কাভে মেদানি বলছেন, ব্যাঙ্কিং সেক্টরগুলি আপনাকে কাগজ ছাড়া কাজ করার অর্থাৎ ডিজিটালি কাজ করার সুবিধেগুলো বলবে। কিন্তু কেউ আপনাকে এটা বলবে না ভিডিও স্ট্রিমিং কোয়ালিটি কম করলে বা ক্যামেরা বন্ধ রাখলে আপনার কী সুবিধে হতে পারে। তাঁর কথায়, আপনার অজান্তেই কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বাতাসে বাড়ছে এই নতুন টেকনোলজি ব্যবহারের ফলে। বসের সঙ্গে এমপ্লয়ীরা কনফারেন্সে কথা বলার সময় প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হয়। অর্থাৎ ডেটা প্রসেস করতে ও ট্রান্মমিট করতে অনেকটা বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। ডেটা প্রসেস করা ও স্টোর করা ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও এর প্রভাব রয়েছে ভূমি ও জলের উপরে। এগুলোর সাথে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও যুক্ত । তাই এবার থেকে বুঝে শুনে করুন ভিডিও কল।