জেনেনিন দৈনন্দিন জীবনে ব্যাবহৃত কিছু মশলা, তুলসি, লেবু এবং মধুর মধ্যে থাকা নানান গুনাগুন যা আপনার শরীরে বারিয়ে তুলবে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা, করোনাকালীন পরিস্থিতির বিরুদ্ধে মোকাবেলা করতে সাহায্য করবে এই বিশেষ পানীয় ।
শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বারানোর একটি সহজ ঘরোয়া পানীয় কী ভাবে বানাবেন সেই হল আজকের আলোচ্য বিষয় । বিভিন্ন ধরনের বাধাবিপত্তি পেরিয়ে করোনা নামক ভাইরাসটিকে সাথে নিয়ে অবশেষে আমরা এসে পৌচেছি বছরের শেষদিকে । অনান্য বছর গুলির থেকে 2020 সালটি অনেকটাই আলাদা, বছরের বেশ কিছুটা সময়ই মানুষ কাটিয়েছে ঘরবন্দী হয়ে । অদৃশ্য একটি জীবানুর প্রকোপে সমগ্র বিশ্বে মানুষের দৈনন্দিন জীবন হয়ে উঠেছে বিপন্ন । এই অতিমারি পরিস্থিতির অবসান ঠিক কবে তা এখনও সবার অজানা । করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিন কবে নাগাদ সাধারন মানুষের হস্তগত হবে সেই নিয়েও জল্পনার শেষ নেই । এহেনো পরিস্থিতিতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিছু দৈনন্দিন ব্যবহিত মশলা এবং গুল্মের সাহায্যে বানিয়ে ফেলতে পারেন রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা বারানোর সহজ একটি পানীয় । এই ভেষজ পানীয় শুধুমাত্র করোনার থেকে বাচতেই নয়, এটি সাহায্য করবে অনান্য মৌসুমী জ্বর, সর্দি, কাসি থেকে রেহাই পেতে। কী ভাবে বানাবেন এই পানীয় আর এই পানীয় তে ব্যাবহৃত উপকরণ গুলির উপকারিতা সম্বন্ধীয় তথ্য নীচে দেওয়া হল,
ভেষজ পানীয় বানানোর উপকরন :
- তুলসি
- এলাচ
- লবঙ্গ
- কাচা হলুদ
- কালো গোলমরীচ
- আদা
- দারুচিনি
- মধু
- তেজপাতা
- পাতিলেবু
- জিরা
ভেষজ পানীয় বানানোর পদ্ধতি :
একটি পাত্র নিয়ে তাতে পরিমান মত জল নিয়ে নিন, তাতে একে একে যোগ করুন সমস্ত মশলা, আদা কে একটু থেতো করে তারপর তাকে মেশান । জলটিকে ফুটতে দিন ১০-১৫ মিনিট । জলটি ফুটতে শুরু করলে তুলসি পাতা এবং এক চামচ মধু সবশেষে যোগ করুন, আগুন থেকে নামিয়ে কিছুক্ষন ঢাকা দিয়ে রাখুন সংমিশ্রনটিকে । ফুটন্ত গরমাবস্তা থেকে একটু ঠান্ডা হলে উষ্ণ গরম থাকাকালীন পান করুন ভেষজ পানীয়টি । সারাদিনে ২ থেকে ৩ বার পানীয়টি পান করা যেতে পারে । রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা বারানো ছারাও অতিরিক্ত মেদ ঝড়াতেও এই ভেষজ তরলের জুরিমেলা ভার।

উপকরনের উপকারিতা :
তুলসি : তুলসি পাতার গুনাগুন অনেক, এর বৈজ্ঞানিক নাম Ocimum Sanctum . হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে তুলসি গাছ একটি পবিত্র গাছ, ভারতবর্ষ তথা বাংলাদেশের বিভিন্ন বাড়ীর দালানে তুলসি গাছের বেদী সচরাচই আমরা দেখে থাকি । তুলসি গাছের রস, পাতা এবং বীজ বিভিন্ন কাজে ব্যাবহৃত হয় । বাবুই তুলসী, রামতুলসী, কৃষ্ণ-তুলসী, ও শ্বেত তুলসী এই চার প্রকার তুলসি গাছ এই দেশে বেশীরভাগ দেখা যায় । তুলসির ঔষধি গুনও অপরিসীম। সিনামেট, সিট্রনেলোল, গেরানীয়ল, লাইনালোল, পিনেন এবং টেরপিনীয়ল, রোসমারিনিক অ্যাসিড ইত্যাদি রাসায়নিক উপাদান গুলি তুলসীর ঔষুধি গুন বারাতে সাহায্য করে I তুলসি পাতায় থাকা ইউজেনল পাচন শক্তি বারায়, শরীরের অম্ল ক্ষারের অনুপাত সঠিক রেখে অ্যাসিডের মাত্রা কম রাখে । তুলসীর মধ্যে উপস্থিত আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যে শরীরের টিসু কে ফ্রি রেডিকাল থেকে ক্ষত হওয়ার থেকে রক্ষা করেI শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমানোর জন্য এটি ব্যাবহৃত হয় । তুলসী মধ্যে আছে দুটো বিশেষ জল মিশ্রিত ফ্লেভোনএড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অরিয়েন্টিন এবং ভিসেনিনারে, এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে । তুলসীর অপ-প্রদাহী গুন হৃদয় রোগ, রিউমাটএড আর্থরাইটিস এবং অন্ত্র জ্বালার থেকেও রেহাই দেয়, জর, সর্দি, গলা ব্যথা, এমনকি ত্বক জনিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান মেলে এই তুলসি পাতা থেকে।

এলাচ : এলাচ অতি পরিচিত নিত্যনৈমিত্তিক খাবারে ব্যাবহৃত একটি মশলা । ভারতবর্ষ সহ দক্ষিন এশিয়ার বিভিন্ন জায়গা এবং ইন্দোনেশিয়ায় এলাচের উৎপাদন লক্ষ্যনীয় । জিনজিবারেয় পরিবারের অন্তরগত এলিটারিয়া এবং আমোমাম গণের বিভিন্ন গাছের বীজ থেকে এলাচ উৎপাদন করা হয় । এলাচ র বীজ, নির্যাসিত তেল এবং নির্যাসে ঔষুধি গুন পাওয়া যায় । এলাচের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ঠ থাকার দরুন তা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে অনেকটা সাহায্য করে । কিছু গবেষনা শুত্রে এও বলা হয়েছে যে, এলাচ কর্কট রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও বহন করে । এছারও প্রদাহজনিত রোগের ক্ষেত্রে এলাচ, আক্রান্ত হওয়া কোষকে উপক্ষয় হওয়ার থেকে রক্ষা করে । হজম শক্তি, আলসার জনিত রোগ, দন্ত সম্পকিয় রোগ, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ইনফেকসন রোগের ক্ষেত্রেও এলাচের গুনাগুন লক্ষ্যনীয়।

লবঙ্গ : লবঙ্গ অতিপরিচিত আরেকটি মশলা যা অনেক রান্নায় স্বাদের নুতন মাত্রা এনে দেয় । লবঙ্গের বিজ্ঞান সম্মত নাম Syzygium aromaticum বা Eugenia aromaticum, এই গাছটির ফুলের কুরিকে শুকিয়ে লবঙ্গ মশলা তৈরী হয় । ইন্দোনেশিয়া, তাঞ্জানিয়া, মাদাগাস্কার, বাংলাদেশ, ভারতবর্ষ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা প্রভৃতি স্থানে লবঙ্গের চাষ করা হয় । লবঙ্গের সুগন্ধের মূল কারণ ‘ইউজেনল’ যৌগটি। এটি লবঙ্গ থেকে প্রাপ্ত তেলের মূল উপাদান, এবং এই তেলের প্রায় ৭২-৯০% অংশ জুড়ে ইউজেনল থাকে। এই যৌগটির উপস্থিতির দরুন লবঙ্গ জীবানুনাশক এবং বেদনানাশক হিসেবে বিভিন্ন ঔষধি প্রস্তুতিতে ব্যাবহৃত হয়ে থাকে । এছারাও লবঙ্গের তেলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো অ্যাসিটাইল ইউজেনল, বেটা-ক্যারোফাইলিন, ভ্যানিলিন, ক্র্যাটেগলিক অ্যাসিড, ট্যানিন, গ্যালোট্যানিক অ্যাসিড, মিথাইল স্যালিসাইলেট, ফ্ল্যাভানয়েড, ইউজেনিন, র্যাম্নেটিন, ইউজেনটিন, ট্রি-টেরপেনয়েড, ক্লিনোলিক অ্যাসিড, স্টিগ্মাস্টেরল, সেস্কুইটার্পিন । এছারাও লবঙ্গে ম্যাঙ্গানিস্, ভিটামিন K, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার পরিমান থাকে অধিক । ইউজেনল যৌগটি হল একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট । লবঙ্গ দন্ত সম্পকীয় চিকিৎসা ক্ষেত্রেও ব্যাবহৃত হয়ে থাকে।

কাচা হলুদ : হলুদ এমন একটি মশলা যা কেবল রন্ধন প্রক্রিয়াতেই নয়, রুপ চর্চা, পূজো সামগ্রী, প্রাকৃতিক রঙ, অ্যান্টিসেপটিক ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে ব্যাবহার করা হয় । হলুদের বৈজ্ঞানিক নাম হল Curcuma longa. গাছের শিকড় থেকে হলুদ মশলা সংগ্রহ করা হয়। হলুদে curcuminoids নামক রাসায়নিক যৌগটি থাকে , এছারাও বিভিন্ন প্রোটিন, রেসিন র উপস্থিতি হলুদকে ঔষাধিক প্রয়োজনিতা বারাতে সাহায্য করে । স্তন ক্যান্সার, অন্ত্রের ক্যান্সার, অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার ইত্যাদির উপসমকারি হিসেবে চিহ্নিত । ওজন নিয়ন্ত্রণ, মেলানোমা প্রতিরোধ, টিউমার, সর্দি-কাশির, মানসিক অবসাদ, চর্ম রোগ, বাচ্চাদের লিউকমিয়া, পেটের পীড়াঃ, ফাইলেরিয়া, কোষ্ঠবদ্ধতা, হাঁপানি, স্বরভঙ্গ আরো নানান চিকিৎসা ক্ষেত্রে কাচা হলুদের অবদান লক্ষ্যনীয়।

কালো গোলমরীচ : কালো গোলমরীচের বৈজ্ঞানিক নাম হল Piper nigrum. এটি গুল্মজাতীয় গাছ, এর ফল শুকিয়ে কালো গোলমরীচ পাওয়া যায় যা মশলা হিসেবে ব্যাবহার করা হয় । ইতিহাসনুসারে রোমে এই মশলার ব্যাবহার সর্বপ্রথম শুরু হয় । মশলা ব্যাতিত এর ঔষধি গুন গুলি হল, এটি ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা, ব্যথা বেদনা, গ্যাসট্রিকের সমস্যা, ওজন কমাতে সাহায্য করে, অপরদিকে গবেষনা শুত্রে জানা গেছে কালো গোলমরীচ ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ব্যাহত করে কর্কটরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

আদা : আদা এক ধরনের উদ্ভিদ মূল যা খাদ্যশিল্পে, পানীয় তৈরীতে, আচার, ঔষধ ও সুগন্ধি তৈরীতে ব্যবহার করা হয়। Zingiber officinale হল আদার বৈজ্ঞানিক নাম । অতীতে এশিয়া থেকে ইউরোপে আদা বিপুল পরিমানে রপ্তানি হত । আদায় নানান ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, শ্বেতসার ইত্যাদি উপাদান বিদ্যমান । আদা অতিরিক্ত ওজন ঝরাতে, কাশি, হাঁপানি, হৃদরোগ, বসন্ত রোগ, ব্যাকটেরিয়া ঘটিত জ্বরজ্বালা ইত্যাদি রোগের ঔষধি প্রস্তুতিতে এবং ঘরোয়া টোটকা র বিশেষ উপাদান হিসেবে প্রায়োসয় ব্যাবহার করা হয় । আদার রস বিশেষভাবে উপকারী গলা ব্যাথার উপসমে।
/__opt__aboutcom__coeus__resources__content_migration__mnn__images__2014__12__ginger-27776a3e4fc04998961b9b236a7a32ca.jpg)
দারুচিনি : দারুচিনি গাছের ছাল থেকে উৎপাদিত একটি মশলা, যার আবির্ভাব শ্রীলঙ্কাতে । তবে বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে দারুচিনি গাছের চাষ হয় । এর বৈজ্ঞানিক নাম হল Cinnamomus Zeylanicum. হৃদরোগ প্রতিরোধ, অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে, রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে, ত্বকের ঔজ্জ্বল্যতা বারাতে এবং প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে দারুচিনি আলদা রকমের প্রাধান্যতা বজায় রাখে । দারুচিনিতে উপস্থিত প্রয়োজনীয় দুটি যৌগ হল সিনামাল ডিহাইড এবং ইউজিনল । দারুচিনির মিস্টি গন্ধটির জন্য দায়ী এই সিনামাল ডিহাইড ।

মধু : মৌমাছি বিভিন্ন ফুলের নির্যাস তৈরী করে এই মধু । মধু হল উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন একটি ভেষজ তরল । পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের মধু বিশ্ববিখ্যাত । মধুতে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ , মন্টোজ, অ্যামাইনো অ্যাসিড, খনিজ লবণ, ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, আয়োডিন, জিংক ও কপার সহ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান সমুহ উপস্থিত থাকে যা আমাদের শুধুমাত্র দেহের বাহ্যিক উপসমের জন্যই নয়, দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সুরক্ষায়ও কাজ দেয়। সর্দি কাসি, জ্বর, স্বর ভঙ্গ, আমাশা, ডায়রিয়া, রূপ চর্চা এবং নানান জীবানু সংক্রমিত রোগ প্রতিরোধে মধু সাহায্য করে।

তেজপাতা : তেজপাতা এক ধরনের গাছের পাতা, এর বৈজ্ঞানিক নাম Cinnamomum tamala. ভারত, চীন, নেপাল, ভূটান এ সচরাচর এই গাছের চাষ হয়ে থাকে । এই পাতায় লিনালুল, ইউজেনল, বিটা ক্যারিয়োফাইলিন নামক যৌগ উপস্থিত থাকে । তেজপাতা অরুচি, মাড়ির ক্ষত দূর করে, তেজপাতার জোরালো গন্ধো অনেক কীট নাশক হিসেবেও ব্যাবহৃত হয়।

পাতিলেবু : লেবুর গুন অনেক, এটি একটি ফল । লেবুর মজ্জা এবং খোসা, রান্না এবং বেকিংয়েও ব্যবহৃত হয়। লেবুর রসে প্রায় ৫% থেকে ৬% স্যাইট্রিক অ্যাসিড থাকে যা লেবুর রসের অম্ল ক্ষার অনুপাত প্রায় ২.২ বজায় রাখে এবং যার কারণে এটির স্বাদ টক হয়। শুধু লেবুর শরবত একটি আদর্শ স্বাস্থ্যসম্মত পানীয় হিসেবে গন্য করা যায় । অতিমাত্রায় ভিটামিন সি থাকায় লেবু খাওয়ায় অনায়াসেই দেহের রোগ প্রতিরোধকারী কোষগুলোর কার্যক্ষমতা সাধারনের থেকে অনেকটাই বৃদ্ধি পায় । শরীরের কোনো অংশ কেটে গেলে বা ক্ষত হলে দ্রুতগতিতে কোলাজেন কোষ উপাদান তৈরি করে ক্ষত নিরাময়েও সাহায্য করে এই ভিটামিন ‘সি’। এছারা স্যাইট্রিক অ্যাসিড ক্যালসিয়াম নির্গমন হ্রাস করে পাথুরী রোগ প্রতিহত করতে সাহায্য করে। লেবুর খোসার ভেতরের অংশে ‘রুটিন’ নামের বিশেষ ফ্ল্যাভানয়েড উপাদান আছে যা শিরা এবং রক্তজালিকার প্রাচীরকে যথেষ্ট শক্তিশালী এবং সুরক্ষা দেয় যা হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেকাংশে হ্রাস করে।ত্বক বা রূপচর্চায় লেবুর ব্যবহারও অনেকটাই লক্ষ্যনীয় । ভাইরালঘটিত রোগ নিরামূলেও পাতি লেবুর অবদান কিছুংশে কম নয় । হজম সমস্যার ও সমাধান মেলে এই লেবুর রসে।

জিরা : জিরা আরেকটি বহু রান্নায় ব্যাবহৃত পরিচিত মশলা, Cuminum cyminum হল জিরার বৈজ্ঞানিক নাম । জিরা একধরনের বীজ যাতে কার্বোহ্রাইডেট, ফ্যাট, ভিটামিন এ, বি, সি এবং কে পর্যাপ্ত পরিমানে উপস্থিত আছে । কিছু প্রয়োজনীয় মিনারেল ও এতে পাওয়া যায় । জিরাতে থাকা পেটরোসেলিনিক অ্যাসিড বিভিন্ন রোগপ্রতিরোধকে সাহায্য করে । ওজন কমাতে, রক্তে শর্করার হার কমাতে, ব্যাকটেরিয়া এবং প্যারাসাইট জনিত রোগের বিরুদ্ধেও লরতে জিরা অত্যন্ত কার্যকরী।

তাহলে আর দেরী না করে বানিয়ে ফেলুন উপরের পানীয়টি । এই অতিমারি পরিস্থিতিতে খেয়াল রাখুন নিজের শরীরের এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের।
– ঈশিতা দাস (Microbiologist)