কেন্দ্র ও বিক্ষুব্ধ কৃষক সংগঠনগুলোর মধ্যে ইতিমধ্যেই দশ দফার বৈঠক হয়েছে। তবুও কোনো রফাসূত্র বেরোয়নি এখনও পর্যন্ত। তাঁদের দাবি না মানলে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ট্র্যাক্টর মিছিলের ঘোষণা আগেই হয়েছিল কৃষকদের তরফে। আর এবার সেটাই সত্যি হল! ২৬ জানুয়ারির সকালেই জেগে উঠল নিদ্রিত ভারত।

কোথায় সরকারি নিয়মবিধি? কোথায় পুলিশের চোখ রাঙানি? প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালেই সমস্ত বাধাকে হেলায় সরিয়ে প্রতিবাদী কৃষকরা দাপিয়ে বেড়াতে শুরু করলেন দিল্লীর অন্দরে। কথা ছিল, দুপুর ১২টার পর শুরু হবে ট্র্যাক্টর মিছিল। কিন্তু সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদই খবর এল, সিঙ্ঘু সীমান্তে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেছেন কৃষকরা। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই ট্র্যাক্টর নিয়ে ঢুকতে শুরু করেছেন তাঁরা। পাশাপাশি টিকরি সীমানাতেও এই ছবিটা একই রকম। হাজার হাজার কৃষক ট্র্যাক্টর নিয়ে সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই মিছিল শুরু করে দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন তিনটি নির্দিষ্ট পথে ট্র্যাক্টর মিছিল করার অনুমতি দেয় দিল্লী পুলিশ। কিন্তু মঙ্গলবার সে সব সরকারি নির্দেশনামাকে ফুৎকারে উড়িয়ে সকাল সকাল মিছিল শুরু করে দেন কৃষকরা। পুলিশ বারংবার অনুরোধ করে ধীর গতিতে এগোতে। কিন্তু কোথায় কী! কৃষকরা তীব্র গতিতে এগিয়ে যেতে থাকেন দিল্লীর দিকে। সিঙ্ঘু সীমানায় ৫ হাজার কৃষকের জমায়েতের সামনে উপস্থিত সামান্য সংখ্যায় পুলিশকর্মীরা রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়েন। এ ছাড়া, পশ্চিম দিল্লী সীমান্তে, টিকরি সীমান্তেও ছবিটা কিছুটা একই রকম ছিল সকাল থেকে। যদিও সেখানে কৃষক নেতারা ঘোষণা করেন, প্রতিবাদীরা যেন শান্তি বজায় রাখেন। পুলিশের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা নিয়ম মেনে ট্র্যাক্টর মিছিল শুরু করবেন।

একাধিক সংবাদ সংস্থা ইতিমধ্যেই খবর দিয়েছে, সকাল থেকেই হাজার হাজার কৃষক জড়ো হয়েছেন বিভিন্ন সীমান্তে। দিল্লী পুলিশ রাজপথে সরকারি প্যারেডের পর কৃষকদের মিছিল শুরু করার কথা বললেও শেষ পর্যন্ত কৃষকরা সকাল থেকেই শুরু করে দিয়েছেন প্রতিবাদ। যা পরে আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে। এই কৃষক আন্দোলন ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকারের পায়ের তলায় মাটি কাঁপিয়ে দিয়েছে। আজকের মিছিল কি শেষ অবধি মোদী সরকারকে কৃষি আইন বাতিল করতে বাধ্য করবে? উত্তর খুঁজছে দেশবাসী।