নিজস্ব সংবাদদাতা: শ্রমিক, চাষী, মহিলা সমিতি- সকলেরই একটি আলাদা করে গণ সংগঠন রয়েছে। এবার বামেদের সমর্থনে নিজেদের আলাদা একটি গণ সংগঠন গড়ে তুলতে চান রাজ্যের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজন। যাতে নিজেদের অধিকার পাওয়ার লড়াই আরও জোরদার করা যায়। মঙ্গলবার কলকাতায় এক সভায় এমনই একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত বেশ কয়েকজন সিপিআইএম প্রার্থী। ওই সভায় তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজন নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা জানিয়েছেন। উদ্যোক্তা লেফ্ট ফর রেনবো রাইটস।

গতকাল বাম প্রার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুজন চক্রবর্তী, রূপা বাগচী, ফুয়াদ হালিম, সমিতা হর চৌধুরি, রাজীব বিশ্বাস, পলাশ দাস, প্রতীপ দাশগুপ্ত, দীপ্সিতা ধর। ছিলেন সিপিআইএম নেত্রী কনীনিকা ঘোষ, এসএফআই রাজ্য কমিটির সদস্য অপ্রতিম রায়-সহ প্রমুখ ব্যক্তি। এই সভা থেকে অভিযোগ করা হয়, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজনকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার অন্যতম কারণ মনুবাদী এবং মৌলবাদী ষড়যন্ত্র। এই বৈষম্য অবিলম্বে দূর করতে হবে। পাশাপাশি, তাঁদের প্রাপ্য অধিকার দিতে হবে।

গতকাল সেই সভার পর অপ্রতিম রায় জানান, তৃতীয় এবং প্রান্তিক লিঙ্গের মানুষজনকে নিয়ে গড়ে তোলা হবে গণ সংগঠন। সভায় সেই প্রস্তাবই রাখা হয়েছিল। এর পাশাপাশি আরও কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে কথা হয়েছে। তাঁদের প্রস্তাবে কী কী রয়েছে? সেখানে বলা হয়েছে, আমরা আবার একটি সরকারকে নির্বাচিত করব। সেই সরকারের কাছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তৃতীয় ও প্রান্তিক লিঙ্গের মানুষদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি ও অন্যান্য অধিকার, দাবিদাওয়া, সংরক্ষণের দাবি জানাতেই এই সভার আয়োজন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে আর্থ, সামাজিক, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের মূলস্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার যে মৌলবাদী ও স্বৈরাচারী প্রয়াস তার বিরুদ্ধে আগামীদিনে ঐক্যবদ্ধ ও ধারাবাহিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যেও এই সভা আয়োজন করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। লেফ্ট ফর রেনবো রাইটসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য কার্যক্ষেত্রে বৈষম্যরোধক ব্যবস্থা কার্যকরী প্রয়োজন। সরকারি, আধা সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি বিরোধী কমিটি তৈরি করতে হবে।