নিজস্ব সংবাদদাতা- ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় অবশেষে কিছুটা হলেও সাফল্য পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের বিপুল পরিমাণ অর্থ তছরুপ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান গুজরাটের হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী। সঙ্গী হয়েছিলেন তার মামা মেহুল চোকসি। ইতিমধ্যেই দেশ ও বিদেশ মিলিয়ে নীরব মোদির কয়েকশো কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। কিন্তু তদন্তপ্রক্রিয়া পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে হলে নিরব মোদিকে দেশে নিয়ে এসে জেরা করা খুব জরুরি ছিল।

গত দেড় বছর ধরে নীরব মোদী লন্ডনে ব্রিটিশ পুলিশের হেফাজতে আছেন। সেই সময় থেকেই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তৎপরতা শুরু হয় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে। যদিও এর আগে বিজয় মালিয়া সহ আরও বেশ কিছু ব্যাঙ্ক জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত শিল্পপতিকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পর লন্ডনের সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক নীরব মোদীকে ভারতে প্রত্যর্পণের রায় দিলেন আজ।

লন্ডনের আদালতের এই রায়ের পর ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত ভারতীয় ব্যবসায়ীর প্রত্যর্পণের প্রথম ধাপটি কেবলমাত্র পেরানো সম্ভব হয়েছে বলা যায়। কারণ আগামী ১৪ দিনের মধ্যে তিনি বা তার কোনো আইনজীবী ভারতে প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন জানাতে পারেন। এই বিষয়টিই সিবিআই ও ইডি আধিকারিকদের ভাবাচ্ছে। কারণ এর আগে বিজয় মালিয়াকে প্রথমে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দিলেও দ্বিতীয় বার তিনি আদালতে আবেদন করায় আদালত সেই আরজি মেনে নিয়ে দেশে প্রত্যর্পণের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে।

নীরব মোদির ঘনিষ্ঠ কিছু সূত্র থেকে জানা গিয়েছে তার আইনজীবীরা আগামী দু-একদিনের মধ্যেই লন্ডনের আদালতে তার দেশের প্রত্যর্পণের নির্দেশ খারিজ করার বিষয়ে আবেদন জানাবেন। আজ বিচারক দেশে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি নীরব মোদির আত্মহত্যা প্রবণতার বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন তার রায়ে। জানিয়েছেন ভারতের প্রত্যার্পণ করা হলেও এই অভিযুক্তের ওপর যেন সব সময় নজর রাখা হয়।