নিজস্ব সংবাদদাতা: এখনও রাজ্যের বিরোধীদল। তারমধ্যেই আদি-নব্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ভুগছে বিজেপি। দলীয় প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় বাংলা জুড়ে প্রচুর আসনে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করাচ্ছে আদি বিজেপি নেতাকর্মীরা। এবার এই গোষ্ঠীকোন্দল দেখা গেল শাসকদল তৃণমূলেও। যার জেরে সমস্যায় পড়তে হল সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে। গতকাল চতুর্থ দফা নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থীর প্রচারে পাণ্ডুয়ায় এসেছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে গিয়ে প্রার্থীরই দেখা পেলেন না বসিরহাটের তারকা সাংসদ নুসরত।

এই ঘটনার জেরে ফের একবার প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সমস্যা। তৃণমূলের দলীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার পাণ্ডুয়াতে এ বারের তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার সারতে আসেন নুসরত জাহান। সেই উপলক্ষ্যে একটি রোড শো করেন তারকা। কিন্তু, রোড-শো শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত নুসরতকে জানানো হয়নি রত্নার অনুপস্থিতির কথা। এই প্রসঙ্গে নুসরতকে প্রশ্ন করা হলেও কোনও উত্তর দেননি সাংসদ। যদিও রত্নাকে ছাড়াই প্রচার সারেন তিনি।

শুক্রবার, পাণ্ডুয়ার কোহিনুর রাইসমিল মাঠে অস্থায়ী হেলিপ্যাডে বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ নামে নুসরতের কপ্টার। তারপর সেখান থেকেই রোড শো-এ অংশ নেন সাংসদ-অভিনেত্রী। যদিও রোড শো-তে সেভাবে ভিড় দেখা যায়নি। প্রসঙ্গত, পাণ্ডুয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন ঘটনা নয়। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের তরফে প্রার্থী হয়েছিলেন ফুটবলার রহিম নবি। তিনি সিপিএমের আমজাদ হোসেনের কাছে পরাজিত হন। এরপর একুশের নির্বাচনে নবির বদলে প্রার্থী করা রত্না দে নাগকে। আর এতেই প্রবল ক্ষুব্ধ হন নবি। তাই স্বাভাবিকভাবেই শুক্রবার নুসরতের প্রচারে দেখা যায়নি নবি-সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্বকে।

অন্যদিকে, রত্নার অনুপস্থিতিকে কেন্দ্র করেও উঠেছে প্রশ্ন। দলের অন্দরে খবর, শারীরিক অসুস্থতার কারণে নির্বাচনে লড়তে চাননি রত্না। লোকসভা ভোটের পর থেকেই দলীয় প্রচারেও তাঁকে বিশেষ দেখা যায়নি। তা সত্ত্বেও রত্নাকে প্রার্থী করা হয়। শুক্রবার তাঁর রোড শো-এ অনুপস্থিতি নিয়ে যদিও দলের তরফে ব্লক সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ সাফাই দেওয়ার সুরে বলেন, “রত্নাদি অন্য জায়গায় প্রচারে ব্যস্ত। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর থাকা না থাকাটা বড় কথা নয়। তৃণমূলের প্রচার চলছে, এটাই যথেষ্ট। তৃণমূল একটা পরিবারের মতো। এই পরিবারের জন্যই রত্নাদি এ বার নির্বাচনে জিতবেন।”