pm modi

শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গুজরাটের সোমনাথে নতুন সার্কিট হাউসের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সময়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন নির্মাণ নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর দিল্লিতে মাত্র কয়েকটি পরিবারকে সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু আজ সেই সংকীর্ণ চিন্তাধারাকে পেছনে ফেলে দেশ নতুন গর্বের জায়গা তৈরি করছে, তাদের জাঁকজমক দিচ্ছে। এটা আমাদেরই। এই সরকারই তৈরি করেছিল বাবাসাহেবকে। দিল্লিতে স্মৃতিসৌধ।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আগে অবহেলিত হেরিটেজ সাইটগুলি এখন সবার প্রচেষ্টায় গড়ে উঠছে। বেসরকারি খাতও এতে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছে। অবিশ্বাস্য ভারত এবং দেখো আপনা দেশ-এর মতো প্রচারাভিযান আজ দেশের গর্ব নিয়ে এসেছে। বিশ্বের কাছে। পর্যটনের প্রচার। আমরা বিশ্বের অনেক দেশের কথা শুনেছি যে তাদের অর্থনীতিতে পর্যটনের অবদান কতটা বড়। প্রতিটি রাজ্যে, প্রতিটি অঞ্চলে আমাদের এইরকম অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

‘সোমনাথ হবে পর্যটন খাতের কেন্দ্রবিন্দু’

পিএম মোদি বলেন, “আমাকে বলা হয়েছে যে নতুন সার্কিট হাউসটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এখানে থাকা লোকেরাও ‘সমুদ্রের দৃশ্য’ দেখতে পাবে। অর্থাৎ, লোকেরা যখন এখানে তাদের ঘরে শান্তিপূর্ণভাবে বসে, তারাও দেখতে পারে। সমুদ্রের ঢেউ।এবং সোমনাথের চূড়াও দেখা যাবে।সোমনাথ একভাবে এই পুরো পর্যটন এলাকার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে।কোন পরিস্থিতিতে সোমনাথ মন্দির ধ্বংস হয়েছিল এবং তারপর যে পরিস্থিতিতে মন্দিরের সংস্কার করা হয়েছিল। সর্দার প্যাটেল জির প্রচেষ্টায়। উভয়ের কাছেই আমাদের জন্য একটি বড় বার্তা রয়েছে।”

‘পর্যটনের সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে নিরন্তর কাজ’

পিএম মোদি বলেন, “প্রতি বছর প্রায় 1 কোটি ভক্ত বিভিন্ন রাজ্য, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সোমনাথ মন্দির দর্শন করতে আসেন। এই ভক্তরা যখন এখান থেকে ফিরে যান, তারা তাদের সাথে অনেক নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে আসেন, অনেকে নতুন নিয়ে আসেন। ধারণা এবং একটি নতুন মানসিকতা। গত 7 বছরে, দেশটি পর্যটনের সম্ভাবনাকে উপলব্ধি করতে নিরলসভাবে কাজ করেছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলির এই উন্নয়ন আজ শুধুমাত্র একটি সরকারি পরিকল্পনার অংশ নয়, এটি জনসাধারণের অংশগ্রহণের একটি প্রচারণা। ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলি দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিকাশ এর একটি বড় উদাহরণ।