নিজস্ব সংবাদদাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের বাকি আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। রাত পোহালেই বহু প্রতিক্ষীত ভোটের প্রথম দফা শুরু হয়ে যাবে। ভোটের মুখে এসেও দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা রাজনৈতিক বাদানুবাদের চিত্রটা কিছুমাত্র বদলায়নি। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো বিষয়কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ মেতে রয়েছেনএকে অপরকে দোষারোপ করার খেলায়। রাজনীতির ময়দানে কদর্য ভাষা প্রয়োগ ভোট বাক্সে ঠিক কতটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে? উঠেছে প্রশ্ন।

সম্প্রতি বিপক্ষ দলের নেতৃত্বকে অশোভনীয় আক্রমণ করতে দেখা গেছে যাঁদের, তাঁদের মধ্যে প্রথম সারিতে আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দিলীপ ঘোষ। দিল্লি থেকে ভোটের আগে রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের এক নাগাড়ে আক্রমণ করে গেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বারেবারেই সে আক্রমণের ভাষা ছাড়িয়েছে শালীনতা শোভনীয়তার সীমা। অমিত শাহ কিংবা নরেন্দ্র মোদীদের উদ্দেশ্যে অনায়াসে “হোদল কুৎ কুৎ” কিংবা “রাক্ষস” তকমা এঁটে দিতেও কুণ্ঠা বোধ করেননি তিনি।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও ভাষা প্রয়োগে কম যান না কারোর থেকেই। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে করা তাঁর এক মন্তব্য বিতর্কের ঝড় বইয়ে দিয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। নন্দীগ্রাম থেকে পায়ে চোট পাওয়ার পর হুইলচেয়ারে ব্যান্ডেজ বাঁধা পা নিয়ে জেলা সফর করছেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই রূপ সম্বন্ধে এক জনসভা থেকে দিলীপ ঘোষ বলেন, “প্লাস্টার কাটা হয়ে গেল। ক্রেপ ব্যান্ডেজ বাঁধা হয়ে গেছে। আর পা তুলে তুলে সবাইকে দেখাচ্ছেন।..যদি পা টা বার করেই রাখেন শাড়ি কেন বারমুডা পরতে পারেন। তাহলে পরিষ্কার দেখা যায়। কত নাটক দেখব আর?” গেরুয়া সভাপতির এহেন মন্তব্যের পরেই বয়ে যায় বিতর্কের ঝড়।

জেলার গ্রামীণ জনতা হোক, বা শহুরে শিক্ষিত নাগরিক, রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের মরিয়া চেষ্টায় এহেন বাক্য ব্যবহার একেবারেই যে মেনে নেওয়া যায় না, তা বলাই বাহুল্য। ব্যালট বক্সে এই ভাষার কদর্যতা কতটা প্রভাব ফেলে সেটাই এখন দেখার।