নিজস্ব সংবাদদাতা: অবশেষে দীর্ঘ ১ মাস ধরে চলার পর গতকাল আট দফার বিধানসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে। তবে ভোট শেষ হলেও বিভিন্ন সংস্থার বুথফেরত সমীক্ষায় বাংলার ফলাফল নিয়ে তেমন কোনও স্পষ্ট দিশা পাওয়া যায় নি। অধিকাংশ সমীক্ষাতেই রাজ্যের শাসকদল ও প্রধান বিরোধী দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তাতে অবশ্য বেশিরভাগ জায়গাতেই বাংলার শাসকদল তৃণমূলকে সামান্য এগিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু কোনও পক্ষই ২৯৪ আসনের বিধানসভায় দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতার কাছে পৌঁছতে পারেনি।

তবে এই বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলির দাবিকে একেবারেই মানতে নারাজ তৃণমূল এবং বিজেপি দু’পক্ষই। গতকাল রাজ্যে শেষ দফার ভোট মিটতেই একাধিক বুথফেরত সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, একুশে তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যে নিজেদের সরকার গড়তে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল। তবে বিজেপিও যে জোড়াফুল শিবিরের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে তা-ও দাবি করা হয়েছে সমীক্ষায়। যদিও দু’পক্ষেরই দাবি, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়ছেন তাঁরাই।

এই বুথ ফেরত সমীক্ষা নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী তাপস রায়ের মত, ‘‘আমরা সব বুথফেরত সমীক্ষারই ফলাফল খতিয়ে দেখেছি। সেখানে কোনও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই-ই নেই। আমরাই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরছি। তৃতীয় বারের জন্য মু্খ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ এদিকে, তৃণমূলের সুরেই রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বুথফেরত সমীক্ষার দাবিগুলিকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘‘কোনও বুথ ফেরত সমীক্ষার উপরেই ভরসা করা উচিত নয়। এত কম নমুনার উপরে এই সমীক্ষা হয় যে তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কোনও আভাস দিতে পারে না। আর দুটো দিন অপেক্ষা করাই ভাল। রবিবারই বাংলার মানুষের রায় জানা যাবে।’’ পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, তৃণমূলকে সরিয়ে এবছর রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি-ই।