জাতীয় ফল আম খেতে কার না ভালো লাগে ?কিন্তু আপনি কি জানেন মিষ্টি এবং সুস্বাদু ফল আমের মত আম পাতাও কিছু বেশ কাজের।এই আম পাতার রয়েছে নানান গুনাগুন । আম পাতায় থাকা ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম , কপার এবং ম্যাগনেসিয়াম মানুষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে। শুধু তাই নয়, আম পাতাতে রয়েছে একাধিক উপকারী এনজাইম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবয়েল যা কিনা শরীরের গঠনে সহায়ক। তাছাড়া আরও অনেক সমস্যাতে যাতে কিনা আম পাতা ব্যাবহার করলে খুব উপকার পাওয়া যায়।

১)দাঁতের সমস্যা কমায় :

আপনার কি মুখ থেকে বদ গন্ধ বের হচ্ছে? দাঁতের মধ্যে ক্যাভিটির সমস্যাও রয়েছে? তাহলে আর দেরি না করে আম পাতাকে কাজে লাগিয়ে ফেলুন। আম পাতায় থাকা নানান উপাদান আপনার এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে।

২)হঠাৎ হেঁচকি ওঠার সমস্যার সমাধান :

খেতে বসে কি প্রায়ই আপনার হেঁচকি ওঠে? তাহলে আপনার কাছে আম পাতার থেকে ভালো উপায় আর কিছু হতে পারে না। প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েকটি আম পাতা পুড়িয়ে তার ধোঁয়া ইনহেল করুন। এমনটা করলে যে শুধু হেঁচকি ওঠা কমবে তা নয়, তার সাথে সাথে গলা সম্পর্কিত যে কোনও ধরনের রোগের প্রকোপ ও কমে যাবে।

IMG 20210206 WA0003

৩) অ্যাংজাইটির প্রকোপ :

নিয়মিত এক বালতি জলে পরিমাণ মতো আমের পাতা ভিজিয়ে রেখে সেই জল দিয়ে যদি স্নান করেন তাহলে অ্যাংজাইটির প্রকোপ কমতে বেশি সময় লাগে না। এমনটা করলে শরীর এবং মস্তিষ্কের এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে ভয় এবং অ্যাংজাইটির মতো নানান সমস্যা কমে যায়।

৪)কিডনিতে স্টোন :

কখনো কিডনিতে স্টোন হলে তার চিকিৎসাতেও আমপাতা বেশ কাজে আসে। মেনে চলুন একটি ঘরোয়া টোটকা। আপনি কিছু আম পাতা শুকিয়ে নিয়ে সেগুলিকে ভালো করে গুঁড়ো করে নিন। তারপর সেই গুঁড়ো এক গ্লাস জলে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খান। তাহলেই প্রস্রাবের সঙ্গে স্টোন শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে।

৫)ডায়াবেটিস :

আম পাতা ডায়াবেটিসের মতো মারাত্মক লোককে শরীর থেকে দূরে রাখে। আম পাতায় থাকা টেনিনস এবং অ্যান্থোসায়ানিন নামে দুটি উপাদান দেহে রক্তের শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে আপনাকে কিন্তু প্রতিদিন আম পাতা দিয়ে তৈরি চা খেতে হবে । তাহলেই আপনি বেশ ভালো উপকার পাবেন।

IMG 20210206 WA0002

৬)পোড়া স্থানের চিকিৎসা :

রান্না করতে গিয়ে প্রায়ই হাত পুড়ে যায়। তবে তা নিয়ে চিন্তা করবেন না। কয়েকটি আম পাতা নিয়ে সেগুলিকে পুড়িয়ে ফেলুন। তারপর সেই ছাই ক্ষত স্থানে ধীরে ধীরে ঘযে দিলেই দেখবেন পুড়ে যাওয়ার জ্বালা একেবারে কমে গেছে নিমেষে !

৭)রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে :

আম পাতা দেহের রক্তনালীকে প্রসারিত করার পাশপাশি ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে । তাই ব্লাড প্রেসারের রোগীদের চিকিৎসকরা প্রতিদিন এক কাপ করে আম পাতার চা খাওয়ার পরামর্শ দেন ।

আম পাতা