রাজ্যে প্রথম দফার ভোট গতকাল সম্পূর্ণ হয়েছে। বিক্ষিপ্ত অশান্তির কিছু ঘটনা ঘটলেও মোটের ওপর প্রথম দফার পাঁচ জেলার ৩০ আসনের ভোট বেশ শান্তিপূর্ণ হয়েছে। বিজেপির রাজ্য নেতারা শান্তিপূর্ণ ভোট আয়োজন করায় নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ধন্যবাদও জানিয়ে আসেন। তৃণমূল যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘অতি সক্রিয়’ ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে। যাই হোক, প্রথম দফার ভোটের ওপর সব দলই হিসেবে ব্যস্ত ভোট হওয়া ৩০টি আসনে কে কটা জিতবে। আজ দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, প্রথম দফায় ভোট হওয়া ৩০টার মধ্যে বিজেপি ২৬টা আসনে জিতবে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের ভিত্তিতে এই ৩০টা আসনের মধ্যে বিজেপি ২০টি বিধানসভা আসনে লিড ছিল। তার ওপর আবার তখন শুভেন্দু ও অধিকারী পরিবার তখন তৃণমূলেই ছিল। ফলে কাঁথি উত্তর সহ বেশ কিছু কেন্দ্রে বিজেপি দাঁত ফোটাতে পারেনি। বাংলার প্রথম দফার ভোট নিয়ে অমিত শাহর গলায় ধরা প়ল আত্মবিশ্বাস। শাহ আবার বললেন, বাংলায় ২০০-র বেশি আসন নিয়ে বিজেপি ক্ষমতা আসতে চলেছে।

আরও পড়ুন: ভোট শুরুর দিনে বিক্ষিপ্ত হিংসা, ফোনে ‘প্রলয় কাণ্ড’

এই প্রথম বাংলায় শান্তিপূর্ণ ভোট হল বলে অমিত শাহ জানান, তাঁরা চান কেন্দ্রের কল্যাণমূলক প্রকল্প বাংলাতেও আসুক। তাই তাঁরা আমাদের ক্ষমতায় আনবেন। নন্দীগ্রামে ভোট ১ এপ্রিল। তা নিয়ে বিজেপি-র আনঅফিসিয়াল নম্বর টু বললেন, নন্দীগ্রামের মানুষদের বলতে চাই নন্দীগ্রাম পরিবর্তন করলে গোটা বাংলাতেই পরিবর্তন হয়ে যাবে। তাই আমি তাঁদের এই আবেদনই করতে চাই যে নন্দীগ্রাম থেকেই পরিবর্তন শুরু হোক।

শাহ যখন বলছেন, বাংলায় প্রথম দফায় ৩০টার মধ্যে ২৬টি আসনে জয় নিশ্চিত, তখন তৃণমূল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবিকে কটাক্ষ করছে। তৃণমূলের হিসেবে, ৩০টা আসনের ফলাফল ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের মতই হতে পারে, যেখানে তৃণমূল অধিকাংশ আসনেই জিততে চলেছে। অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের প্রতিফলনও নাকি প্রথম দফায় লক্ষ্য কার গিয়েছে বলে তৃণমূলের জেলা নেতাদের দাবি। নন্দীগ্রাম ভোটের আগে প্রথম দফার ভোট দলের কর্মীদের মনোবল বাড়াবে বলেই সূত্রের খবর।