No Tobacco Day : ১০ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু! তবুও জনমানসে সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন

আপনি কি জানেন WHO এর রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতি বছর 10 মিলিয়নেরও বেশি মৃত্যু তামাকসেবনের কারণে ঘটে? আপনি জানেন বিশ্বের 12% ধূমপায়ী ভারতে বাস করে? হ্যাঁ এই কথাগুলো বিন্দুমাত্র সাজানো নয়। সেই জন্যই ভারতবর্ষে সর্বাধিক গুরুত্ব রাখে এই দিনটি। এই দিনটি হলো 31 মে, যা No Tobacco Day হিসেবে প্রতি বছর সারা বিশ্বে পালিত হয়।

এই দিনে তামাক বা এই জাতীয় পণ্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে বা ব্যবহার কমানোর জন্য মানুষকে প্রতিবছর আরও একবার সচেতন করা হয়। এই দিনের মূল উদ্দেশ্য হল তামাকের জন্য যে স্বাস্থ্যের ক্রমাগত ক্ষতিসাধন হয় তা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। তামাকজাত দ্রব্য ক্যান্সার, ফুসফুসের রোগ, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের মতো মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে।

World No Tobacco Day 2022

তাহলে আসুন জেনে নিই তামাকজাত দ্রব্য সেবন কি কি ধরনের মারাত্মক রোগকে আমন্ত্রণ জানায়…উচ্চ রক্তচাপ – ধূমপান, রক্তচাপ বাড়ায়, যা রক্তনালীর প্রাচীর দুর্বল করে এবং রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়ায়।প্রজনন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে – ধূমপানের অভ্যাস নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য খুবই ক্ষতিকর বলে মনে করা হয়। তামাকসেবন একজন সাধারণ মানুষের প্রজনন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।

এ ছাড়া পুরুষরা বেশি ধূমপান করলে তাদের শুক্রাণুর DNA নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।ফুসফুসের রোগ – যারা নিয়মিত এবং অত্যধিক তামাক সেবন করেন তাদের ফুসফুস, চোয়াল বা ঠোঁটে ক্যান্সারের মতো প্রাণনাশক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ধূমপানের সরাসরি প্রভাব পড়ে ফুসফুসে। ধূমপান থেকে নির্গত ধোঁয়া ফুসফুসে উপস্থিত অ্যালভিওলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে যা ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বহুগুণে বাড়ায়।

No Tobacco Day Awareness

ডায়াবেটিস – ধূমপান ইনসুলিন প্রতিরোধের ঝুঁকি বাড়ায়। ইনসুলিন যকৃতের বিটা কোষ থেকে উৎপন্ন হয়, যা আমাদের রক্তে উপস্থিত গ্লুকোজকে দেহের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কোষে স্থানান্তর করে শক্তি উৎপাদন করে। তাই সেই কাজ ব্যাহত হলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। যারা ইতিমধ্যেই ডায়াবেটিস রোগী তাদের জন্যে ধূমপান আরও বেশি ক্ষতিকর।

হৃদরোগ – সিগারেট এবং অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্যে উপস্থিত নিকোটিন রক্তনালীকে সংকুচিত করে, যা হৃদস্পন্দনকে দ্রুত করে। যার জন্য রক্তের জমাট বাঁধার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় এবং তার ফলস্বরূপ হার্ট অ্যাটাক বা ব্লকেজের সৃষ্টি হয়।এই মারণ রোগ বা রোগের উপসর্গ গুলো আপনারা প্রত্যেকেই কিছু না কিছু জানেন। তাও এগুলো আবার আপনাদের মনে করিয়ে দেওয়া, আরেকটু সচেতন করার জন্য। আমরা চাই আপনারা সকলে রোগমুক্ত জীবনযাপন করুন কিন্তু তার জন্য আগে তামাকমুক্ত জীবনযাপনের ভীষণ প্রয়োজন।