অর্থনৈতিক সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন নীতি আয়োগের মুখ্য কার্যনির্বাহী অমিতাভ কান্ত। তার মতে এই দেশে অতিরিক্ত গণতন্ত্রের চর্চা হওয়ার ফলে অর্থনৈতিক সংস্কার বারবার বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।
বিজেপি ঘনিষ্ঠ এই অর্থনীতিবিদের মতে ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম এতো ব্যাপক মাত্রায় খনি, কয়লা, শ্রম এবং কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কার সাধনে হাত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার মতে এই ক্ষেত্রগুলিতে একমাত্র সংস্কার সাধনের মাধ্যমেই উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। সেইসঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক প্রগতির পক্ষে এই সংস্কার অত্যন্ত জরুরী। তার মতে ভারতের জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার বজায় রাখতে গেলে দেশের রাজনৈতিক দলগুলিকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে।

কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন “ব্যাপক অর্থনৈতিক সংস্কার করার জন্য এই সরকারের প্রকৃত ইচ্ছে আছে।” তার মতে শুধু কেন্দ্রীয় সরকার সংস্কার সাধনের উদ্যোগ নিলে হবে না, বরং রাজ্যগুলোকেও এবার এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন “দেশের অন্ততপক্ষে দশ-বারোটা রাজ্য যদি অর্থনৈতিক সংস্কার সাধনের মধ্য দিয়ে বৃদ্ধির উচ্চহার বজায় রাখতে পারে, তাহলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই দেশের বৃদ্ধির হারও বেশি হবে।”
“চিনের মোকাবিলা করতে গেলে ভারতকে অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে সংস্কার সাধন দ্রুত করতে হবে”, বলেন অমিতাভ কান্ত। তার মতে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই আইন যেমন কৃষকদের কাছে নতুন দরজা খুলে দেবে, সেই সঙ্গে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য এবং মান্ডি ব্যবস্থা বজায় থাকায় তারা চাইলে আগের মতোই ফসল বিক্রি করতে পারবে।
“টু মাচ অফ ডেমোক্রেসি” –
ঠিক এই উক্তিটি করেন নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত। তার এই “অতিরিক্ত গণতন্ত্র” মন্তব্যটি নিয়ে ইতিমধ্যেই সর্বস্তরের সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে। কেবলমাত্র বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি নয়, সংবিধানের চতুর্থ স্তম্ভ বলে পরিচিত সংবাদমাধ্যমও তার সমালোচনায় সরব হয়েছে। নেটিজেনরা কটাক্ষ করে বলছেন “ভারতবর্ষ সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সেই নিয়ে আমরা গর্বিত। আমরা “টু মাচ অফ ডেমোক্রেসি” তেই খুশি।
আবার অনেকে মন্তব্য করছেন “এই অতিরিক্ত গণতন্ত্র আছে বলেই আপনারা ক্ষমতায় আসার সুযোগ পেয়েছেন। এখন সেই সুযোগ নিয়ে দেশের অন্নদাতাদের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছেন।”