দাদা মায়ের বাইপাস হার্ট সার্জারি হবে দয়া করে একটা লোনের বন্দোবস্ত করে দেবেন!

কিংবা

লোন
লোন (Loan) আবেদন করার আগে কি জানেন এই ৮ টি বিষয়গুলি ? লোন সৌজন্যে ঃ www.indiboy.com

হট করে মেয়ের বিয়ে ঠিক করে ফেলেছি পাত্র খুবই ভালো এক সপ্তাহের মধ্যে আমার একটি লোনের প্রয়োজন!

নিত্যনৈমিত্তিক সাংসারিক ব্যয় বিধি মেনে যতই উন্নত অর্থনৈতিক  আয় এর উৎস থাকুক না কেন,জীবনের কোন না কোন মুহূর্তে প্রত্যেকেই প্রথমবার এমন একটি সমস্যার সম্মুখীন হয় যেখানে শুধুমাত্র অর্থের জন্য তাকে অন্য কারো মুখাপেক্ষী হতে হয়।  সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য বসত এই ধরনের সমস্যার অন্তহেতু যে অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান গুলি সকলের জন্য উন্মুক্ত তা হল যথাক্রমে ঃ  ব্যাংক (সরকারি কিংবা বেসরকারি অথবা আধা-সরকারি,  এবং সমসাময়িক কালে ক্ষুদ্র বা পেমেন্ট ব্যাঙ্ক), এনবিএফসি ( নন বানকিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানি),  অথবা কিছু প্রাইভেট লেন্ডার কিংবা লাইসেন্সধারী প্রতিনিধিরা প্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠান।

2020 11 13
লোন সৌজন্যে ঃ www.indiboy.com

 কিন্তু যতই এই ধরনের একাধিক প্রতিষ্ঠান থাক (যার মধ্যে 91 টি কমার্শিয়াল ব্যাংক,২০ টি পাবলিক সেক্টর ব্যাংক এবং  19 টি জাতীয়  বা ন্যাশনাল ব্যাংক; এছাড়াও রয়েছে প্রায় 10,000 টিরও বেশি এনবিএফসি এবং সব মিলিয়ে 38000 এর ওপরে জাতীয়ভাবে সরকারি নিয়ম অনুসারে রেজিস্টার্ড সংস্থান) কিন্তু ভারতীয় জনতা অসময়ের সাথী হয়ে ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে পূর্ণ সহায়ক হয়ে ওঠে না এই সকল সংস্থাগুলি।

তবে এক্ষেত্রে বলতে গেলে  প্রথমেই যে প্রশ্নটি আসে ঃ

 কি কি কারণে আপনি লোন বা ঋণ পেতে পারেন ?

www.fairfinance.in

অথবা কি কি কারণে আপনি একটি ঋণ বা লোন পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে পারেন?

প্রশ্নটির উত্তর জানা  আবশ্যিক এবং সেজন্যই আজকের এই বিষয়ের ওপর আলোকপাত করলাম।গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি  পড়ুন হয়তো আপনি আগামীতে এই লেখাটি  পড়ার  জন্য নিজেকে ভাগ্য শালী মনে করবেন অথবা আফসোস করবেন যে কেন আগে এই লেখাটি আপনি পড়েন নি!

১. ক্রেডিট রেটিং সম্পর্কে জ্ঞান ঃ

  ক্রেডিট রেটিং কিংবা ক্রেডিট রিপোর্ট এমন একটি বিষয় যা সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই সম্যক ধারণা রাখতে হবে যেকোনো ধরনের ঋণ বা লোন আবেদন করার আগে।  এখন এই বিষয়টি থেকে আপনার হয়তো বিশেষ কতগুলি প্রশ্ন মাথায় আসতে পারে যার কিছুটা আন্দাজ করে আমি নিচে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করলাম ঃ

 

ক্রেডিট রিপোর্ট (credit report) কি?

 ক্রেডিট (credit report) রিপোর্ট হলো এমন একটি রেটিং ব্যবস্থা যার মাধ্যমে এটি বিচার করা হয় যে আপনার একটি ঋণ নেওয়ার ক্ষমতা আছে কি নেই।  শুধুমাত্র তাই নয় ক্রেডিট রিপোর্ট থেকে আপনি যদি পূর্ববর্তী কালে কোন ধরনের ঋণ নিয়ে থাকেন তার  পুঙ্খানুপুঙ্খ  তথ্য লোন প্রদানকারী সংস্থা পেয়ে থাকেন।  অনেকে ক্রেডিট রিপোর্টকে (credit report) সিভিল স্কোর বা রিপোর্ট (cibil score/ cibil report) বলে থাকেন। 

Opera Snapshot 2020 11 13 014742 www.wishfin.com
www.indiboy.com/এর সৌজন্যে একটি প্রতীকী সিভিল স্কোর

ক্রেডিট এবং সিভিল (credit vs cibil) স্কোর কি এক?

এখানে অনেকেরই একটি ভুল ধারনা থাকে!  ক্রেডিট এবং সিভিল স্কোর কখনোই এক জিনিস নয়।  মুখ্য বিষয়টি হলো ক্রেডিট স্কোর আর সিবিল (cibil) হল ক্রেডিট ইনফরমেশন বিউরো ইন্ডিয়া লিমিটেড (Credit Information Bureau (India) Limited)  যার আদ্যক্ষর গুলির শর্ট ফর্ম হল সিভিল।

 অর্থাৎ সিভিল হল একটি সংস্থা যা বর্তমানে  ট্রানস ইউনিয়ন সিভিল  রূপে পরিচিত। এখানে বলা আবশ্যিক ক্রেডিট রিপোর্ট বার করার জন্য সিভিল এর মতই আরও বেশকিছু কোম্পানি আছে যারা একই কাজ করে থাকেন। কোম্পানী গুলির নাম যথাক্রমে ঃ Equifax,Experian, CRIF Highmark. যদিও এই সকল কাজের ক্ষেত্রে  সিভিলকেই সমস্ত ধরনের ব্যাংক এবং অর্থনৈতিক সংস্থান প্রাধান্য দিয়ে থাকে।

Opera1 Snapshot 2020 11 13 014852 www.wishfin.com
www.indiboy.com/এর সৌজন্যে একটি প্রতীকী সিভিল রিপোর্টের অংশ থেকে ঋণ নেওয়া অংশের বিবরণ

ক্রেডিট রিপোর্ট এবং ক্রেডিট স্কোর (credit score vs credit report)কি ?

 এই জিনিসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং মনে রাখা প্রয়োজন। প্রথমত বলি ক্রেডিট স্কোর হল ৩০০ থেকে ৯00 অংকের একটি বিভাজন এর মাধ্যমে বিচার করা হয় যে আপনি লোন পাওয়ার পক্ষে কতটা উপযোগী কিংবা আপনি আগে যে লোন নিয়েছেন তার প্রতি আপনি কতটা দায়িত্ববান ছিলেন। একই জায়গায় ক্রেডিট রিপোর্ট হলো আপনার পূর্ববর্তী যে ঋণ গুলি নিয়েছিলেন এমনকি আপনি কতবার ঋণ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন তার বিস্তারিত হিসাব নিকাশ দিনক্ষণ তারিখ সহ।

নীচের ছবিটিতে আপনি আশা করি কিছুটা বুঝতে পারছেন।  ক্রেডিট রিপোর্টে এটিও লেখা থাকে যে আপনি যদি কোন ঋণ নিয়ে থাকেন সেগুলি আপনি কতদিন লেট পেমেন্ট করেছেন অথবা আপনি সময় যদি ব্যয় করে থাকেন তারা হিসাব সেখানে থাকে।  সুতরাং মনে রাখবেন ঋণ নেওয়ার সময় আবেদনকারীর কাছে ভুলেও মিথ্যা বলবেন না – কারন সে সব জানে।

Opera Snapshot 2020 11 13 014814 www.wishfin.com
www.indiboy.com/এর সৌজন্যে একটি প্রতীকী সিভিল রিপোর্টের অংশ থেকে ঋণ নেওয়ার পরবর্তী সময় মাসের জায়গায় সংখ্যাগুলির দ্বারা বোঝা যাচ্ছে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কতদিন দেরি করে পেমেন্ট দিচ্ছেন

 

5f0ec0ea9b6fa42d8c7f8ae1 credit score range
সিভিল স্কোর দ্বারা কিভাবে আপনার অর্থনৈতিক ক্ষমতার বিশ্লেষণ করা হয় একটি প্রতীক এর মাধ্যমে দেখানো হল

. পর্যাপ্তভাবে আবেদন করার যাবতীয় ডকুমেন্ট লিস্ট যাচাই করা ঃ

অনেকেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন না কিংবা অবহেলা করেন কিন্তু এই বিষয়ে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা থেকে আমি আপনাকে বলছি একটি ঋণ আবেদন করার জন্য দেশ কতগুলি তথ্য প্রমাণাদি জমা দিতে হয় প্রদানকারী সংস্থার কাছে।  এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে প্রতিটি তথ্য-প্রমাণাদি যে আপনি জমা দেবেন তার বৈধতা দৃঢ়তার সাথে যাচাই করা হয় এবং আপনাকে ঋণ পেতে হলে আবেদন কারি নিয়ম অনুসারে প্রত্যেকটি তথ্যপ্রমাণ আলাদা আলাদাভাবে স্বপক্ষে জমা করতে হবে।

 ঋণ পাওয়ার জন্য যেমন প্রত্যেকটি তথ্য-প্রমাণাদি প্রয়োজন ঠিক তেমনি ঋণ টি না পাওয়ার জন্য আবেদন কৃত তথ্য প্রমাণাদির মধ্য থেকে যে কোন একটির না থাকলেই তা বাতিল হতে পারে।

অর্থাৎ মোদ্দা কথা হল দাদা সব ডকুমেন্ট নিতে হবে যেকোনো একটি না দিতে পারলে আমরা আপনাকে টাকা দিতে পারবোনা।

৩. ক্ষুদ্রতম আয়ের এর উৎস থাকা প্রয়োজন ! ঃ

এই বিষয়টি অনেকেই বোঝে না বা বুঝতে চায় না কিংবা হয়তো বুঝতে পারলেও তার কাছে উপায় নেই এবং তাদের জন্য আমি দুঃখিত।  কিন্তু বাস্তব সত্য হল যে কোন সংস্থা থেকে আপনার ঋণ পেতে হলে একটি ক্ষুদ্রতম আয় থাকতে হবে।  যার অর্থ হলো বর্তমান আজকের দিনে যখন আমি এই লেখাটি লিখছি সেই সময় হিসাবে(১৩ ই নভেম্বর ২০২০) চাকরিজীবীদের জন্য নূন্যতম 15000 টাকা মাসিক বেতন এবং ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম 10 হাজার টাকার ব্যাংকের  গড়  ব্যালেন্স  মেনটেন করা।  এখানে মনে রাখতে হবে যারা চাকুরীজীবী তাদের মৌখিক বয়ান নয় বরঞ্চ ব্যাংক একাউন্ট এর মাসিক সেলারি ডুকছে তার প্রমাণাদি জমা করার ওপর এই বিষয়টি গণ্য হবে।

৪. বৈধ কাগজপত্রাদি পঞ্জিকরণ ঃ

অবশ্যই মনে রাখবেন যে বৈধ শব্দটির মানে হল আইনত ভাবে যা স্বীকার্য।  এখানে অবশ্য আমি আইনের বিশ্লেষণ দিচ্ছিনা কিন্তু একটি ছোট্ট উদাহরণ দিলে আপনি বিষয়টি পরিস্কার ভাবে বুঝবেন। আপনি হয়তো একটি ব্যাংক একাউন্টের স্টেটমেন্ট জমা করছেন লোনের জন্য যেখানে বলা হয়েছিল আপডেট করে বিগত ছয় মাসের স্টেটমেন্ট টা জমা করতে,  কিন্তু আপনি যে কোন কারণবশত এক বছর পুরনো স্টেটমেন্ট জমা করেছেন সেটিকে অবৈধ হিসেবে ঘোষণা করা হবে।  আরো একটি উদাহরণ দিয়ে বলি হয়তো আপনার ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স যেটি আপনি জমা করেছেন ২০২০ সালের  14 ই  এপ্রিল আবেদনের জন্য কিন্তু তার সরকারি নিয়ম হিসাবে ২০২০  সালের 31 শে মার্চ পর্যন্ত বৈধতা ছিল সে ক্ষেত্রে যত সময় না আপনি নতুন ট্রেড লাইসেন্স আনবেন আপনার আবেদন অগ্রাহ্য করে এমনকি সেটি ক্যানসেল করতে পারে।  এই ধরনের উদাহরণ ভুরিভুরি।

৫. নো শর্টকাট নো সেটিংস ঃ

বিষয়টিকে অনেকেই ছেলে খেলার ছলেই নাই কিন্তু বাস্তব হল লোন  বা  ঋণ আবেদনের সময় কোন রকম ভাবে  কোন বেআইনি পন্থা কখনোই অবলম্বন করা উচিত নয়।  তাতে করে আপনি আংশিকভাবে হয়তো লাভবান হতে পারেন এবং আমি বলছি না যে এটা অসম্ভব কিন্তু হতেও পারে যে কোনভাবে আপনি কোন কারোর মাধ্যমে সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ছোট অ্যামাউন্ট কিংবা কোন বড়োসড়ো লোন পেয়ে গেলেন তার ফলাফল সর্বদাই বিরূপ হয়।

 যেমন প্রথমত আপনি যদি বেআইনি পন্থা অবলম্বন করে লোন পেয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে পরবর্তীকালে যে কোনো আইনি অনুসন্ধান হলে আপনার সাজা হতে পারে এবং তৎক্ষণাৎ ভাবে আপনার বেআইনি পন্থা অবলম্বন করে নেওয়া সেই লোন সংস্থাকে ফেরত দিতে হতে পারে।  অথবা আরেকটি জিনিস যেটি ছোট এমাউন্টের লোন এর ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে যে সংস্থাটি আপনাকে লোন দিচ্ছে সে আপনার অসুবিধার সুযোগ নিয়ে খুবই উচ্চ পরিমাণে সুদের হারে অতিরিক্ত মুনাফা লাভের জন্য আপনাকে অল্প পরিমাণে ঋণ দিতে পারে।  এবং আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এই দুটির মধ্যে একটিও অন্তত আবেদনকারীর জন্য সুখ ভোগে নয়।

৬.  ঋণ আবেদন কখন করা উচিত ?

এই বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে পড়ুন,  প্রথমে লেখাটির যেখানে আমি আবেদনকারীর করুন অবস্থা দিয়েছি সেখানেই এই বিষয়টি পরিষ্কার যে কোন সময় আপনার ঋণ আবেদন করা উচিত।  মনে রাখতে হবে ঋণ তখনই আবেদন করা উচিত যখন আপনি অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল নাকি আপনার অনটনের দিন চলছে।  অর্থাৎ বাংলাতে একটি প্রবাদ আছে না তেল মাথায় তেল দেওয়া মনুষ্যজাতির স্বভাব,  বিষয়টি হলো ধনীদের কে ধোন দেওয়া অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের স্বভাব। 

এমন নয় যে এটি একটি হৃদয়বিদারক সত্য বরঞ্চ এটি মনে রাখতে হবে যারা দিচ্ছেন যেকোনো সংস্থা ই হোক না কেন এটি তাদের ব্যবসায়িক পরিকাঠামো সে ক্ষেত্রে তারা কখনোই এমন কোন ব্যক্তির হাতে তাদের   সঞ্চয় এর ধন উৎসর্গ করবে না  যে কিনা সেই ধন তাকে ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো রকম বাধার সম্মুখীন হয়।  ভেবে দেখুন আপনি নিজেও হয়তো এমন কাউকে ধার দিতে চাইবেন না যে হয়তো অর্থনৈতিকভাবে এমন পরিস্থিতিতে আছে যে টাকাটা নেওয়ার পরে আপনাকে ফেরত না দিতে পারে।  সুতরাং ঋণের জন্য তখনই আবেদন করুন যখন আপনি খুবই সচ্ছল আছেন।  প্রকৃতপক্ষে ঋণ নেওয়ার যে পদ্ধতি শুরু হয়েছিল তা যে কোন ব্যাক্তি বিশেষের অর্থনৈতিক উন্নতি সাধনের জন্য নাকি সে জে অর্থনৈতিকভাবে দুরবস্থায় আছে তা থেকে সেই ব্যাক্তি বিশেষের মুক্তির উপায় হওয়ার জন্য।

৭.  লোন পাওয়ার জন্য কত কমিশন দেওয়া উচিত?

উত্তরটি খুবই সহজ,  0 ( শূন্য)।  হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন হয়তো অনেক সময় আপনি কিছু এজেন্ট কিম্বা মধ্যস্থকারী সাথে পরিচয় হন কিংবা আপনাকে কেউ আচমকা ফোন করে বলে যে সে আপনাকে লোন করে দেবে এবং তার জন্য সে কিছু অগ্রিম টাকা কিংবা লোন হয়ে যাওয়ার পরবর্তীতে কমিশন বাবদ কিছু টাকা দাবি করে।  এই ধরনের দুর্বৃত্তি থেকে অবশ্যই বিরত থাকুন।  কারণ আপনার লোন যদি হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে সেই মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তি কিংবা সংস্থা অবশ্যই লোন প্রদানকারী সংস্থার থেকে কিছু কমিশন পেয়ে থাকে।  যা মূলত লোন আবেদন করে যখন আপনার একাউন্টে অর্থ  অথবা ধন রাশি  যাই বলেন  পেয়ে থাকেন সেই টাকা থেকে কিছু অ্যামাউন্ট কাটা যায় প্রসেসিং ফি হিসেবে সেই প্রসেসিং ফি থেকেই মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তি বেশকিছু এমাউন্ট কাজের প্রার্থী হিসাবে পেয়ে থাকেন।  এক্ষেত্রে আপনি তাকে খুশি হয়ে কিছু দিলেন কিনা দিলেন সেটি একান্ত ভাবে আপনার মতামত কিন্তু আইনত ভাবে আপনার এই কাজ করে দেওয়ার জন্য তার কোনো রকম প্রাপ্তি থাকেনা। 

আরো একটি বিষয় মনে রাখার মত ব্যাংক কিংবা অর্থ প্রদানকারী সংস্থার যেকোনো রিপ্রেজেন্টেটিভ অথবা ডিসিশন মেকার আপনার কাছ থেকে এক টাকার ও  কমিশন আশা করে না।  কারণ আপনাকে সঠিকভাবে লোন টা পাইয়ে দেওয়াই তার কাজ এবং এ ধরনের কাজ করার জন্য সংস্থার তরফ থেকে তার ওপর যথেষ্ট প্রতিশ্রুতি বান থাকতে হয়।  সুতরাং কখনো কারোর ফাঁদে পা দেবেন না।

৮.  লোন নেওয়ার আগে প্রস্তুতি ঃ (বোনাস পয়েন্ট)

এটি অবশ্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে লোনের তাৎপর্যটা আপনাকে বুঝতে হবে,  আপনি যখন কারোর কাছে ঋণ চাইছেন তখন অবশ্যই আপনি আর্থিকভাবে কারোর কাছে মাথানত করছেন এবং যেকোন সম্মানীয় ব্যক্তির কাছে সেটি কাম্য নয়।  সে ক্ষেত্রে যদি আপনার  কোথাও ঋণ নিতে হয়  প্রকৃতপক্ষে তার কারণ থাকা উচিত এবং তার জন্য অন্ততপক্ষে যদি আপনি ব্যাবসায়ি হোন 6 মাস আগে থেকে প্লান করুন এবং যদি চাকুরীজীবি হয় কমপক্ষে 3 মাস আগে থেকে প্ল্যান করুন।  আমি যে সময় সীমা বললাম এই সময়সীমার মধ্যে আপনি যদি প্রস্তুতি শুরু করেন সে ক্ষেত্রে আপনার কাছে যে ধরনের তথ্য প্রমাণাদি বা ডকুমেন্টস চাওয়া হয় সেটি বাস্তবসম্মতভাবে এবং বৈধ উপায়ে জমা করে লোন নেওয়া টা সরবতো পক্ষেই সম্ভব।  শুধুমাত্র আবেদনকৃত ধন রাশি অ্যামাউন্ট কত চাইছেন  তার ওপরে বিশেষভাবে আপনাকেই বিচার করতে হবে। 

এক্ষেত্রে আপনার প্রশ্ন থেকেই থাকতে পারে যে তাহলে আপনি প্রথম যে দুটি উক্তি দিলেন –  যদি আমার মায়ের শরীর খারাপ হয় কিংবা ফ্যামিলি মেম্বারের কারোর শরীর খারাপ হয় এবং তার চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন কিংবা আমার মেয়ে বা ছেলের  বিয়ে অথবা এমন যেকোন ধরনের কারণ ঘটল যার জন্য তাৎক্ষণিক লোনের প্রয়োজন তবে কি আমরা লোন পাবো না?

 এক্ষেত্রে আপনাকে আমি নির্ভয়ে বলতে পারি  যেকোনো মানুষের জীবনে তার আয়-ব্যয়ের হিসাব নিকাশ হিসাবে নির্ভর করে তার এই ধরনের প্রয়োজনে কত টাকার প্রয়োজন হতে পারে।  অর্থাৎ খুবই সোজা ভাষায় যদি বলি একটি যেকোনো সরকারি চাকরিজীবী পরিবারের কন্যার বিয়ের খরচা এবং ভারতের প্রথম 100 জন ধনী ব্যক্তির মধ্যে থাকা যেকোনো একজনের মেয়ের বিয়ের খরচা কখনই এক নয়।  সুতরাং এটা অবশ্যই নির্ভর করবে আপনার আয়-ব্যয়ের উপরে।  আপনার চিকিৎসার খরচের ক্ষেত্রেও এর বিস্তর ফারাক থাকে। 

  • সুতরাং আপনাকে যদি জানতে হয় যে কিভাবে এই ধরনের আপৎকালীন অবস্থায় কখনো সারাজীবন  লোন না নিয়ে  নির্ভয়ে জীবনের আনন্দ উপভোগ করতে হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে নিচের কমেন্ট বক্সে লিখতে হবে আপনার জিজ্ঞাসু প্রশ্নটি। কথা দিচ্ছি অন্ততপক্ষে যদি একজনও প্রশ্নটিই করেন সবিস্তারে আপনাকে তার সিক্রেট কি বলবো।

 সমগ্র লেখাটি মন দিয়ে পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ,  আশা করি যদি সকলেই এই বিষয়গুলি একটু মনে রাখে তাহলে ভুঁইফোড় কিছু দুর্বৃত্তি প্রবন  ব্যক্তি দের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন এবং সেটাই হবে আমার এই লেখার শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি।  ভালো লাগলে অবশ্যই লেখাটি বন্ধুদের সাথে এবং প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন।