নিজস্ব সংবাদদাতা- প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকালে টুইট করে নিজেকে গর্বিত আন্দোলনজীবী হিসেবে চিহ্নিত করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস সাংসদ পি চিদাম্বরম। সেইসঙ্গে নিজেকে মহাত্মা গান্ধীর অনুসরণকারী বলেও দাবি করেন তিনি। প্রসঙ্গত গত সোমবার রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশাপাশি বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের কটাক্ষ করে বলেন, “আমরা এতদিন জানতাম বুদ্ধিজীবী, শ্রমজীবী আছে। কিন্তু এখন নতুন একটি গোষ্ঠীর উদ্ভব হয়েছে, এরা আন্দোলনজীবী। যেখানে যেই আন্দোলন করুক এরা ওমনি সেখানে হাজির হয়ে যায়। কখনও সামনের সারিতে থাকে আবার কখনও পিছন থেকে আন্দোলনে মদত দেয়। প্রতিবাদ না করে এরা থাকতে পারে না। এদেরকে চিহ্নিত করা প্রয়োজন এবং এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের মূল নিশানায় ছিল কৃষক আন্দোলনে মদত দেওয়া বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্তরের মানুষজন এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে। মুখ খুলেছেন বেশিরভাগই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করেন। আজ সকালে পি চিদাম্বরম এই প্রসঙ্গে টুইট করে লেখেন, “আমি গর্বিত আন্দোলনজীবী হিসেবে। গান্ধীজীও তাহলে আন্দোলনজীবী ছিলেন। তার সঙ্গে এক আসনে বসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।” এই কংগ্রেস নেতার টুইটের মূল লক্ষ্য যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তা বুঝতে কোনো অসুবিধা হয়নি। এর পাশাপাশি তিনি আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

এদিকে কংগ্রেসের অন্যতম সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভঢরা আজ উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরের কৃষক মহাপঞ্চায়েতে যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি এখানে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার পাশাপাশি আন্দোলন আরও জোরদার করার পরামর্শ দেবেন বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত। প্রিয়াঙ্কা প্রথমে স্থানীয় শাকম্ভরী দেবী মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর কৃষক পঞ্চায়েতে যোগদান করবেন। সূত্র মারফত খবর ফেব্রুয়ারির ১৩ তারিখ একই রকমভাবে তিনি মুজাফফরনগর ও বিজনৌরের কৃষক মহাপঞ্চায়েতে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত গত মাসেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সরকার যতক্ষণ না বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করছে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা কৃষকদের সঙ্গে একত্রে এই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা একের পর এক কৃষক সমাবেশ ও মহাপঞ্চায়েতে যোগদান করতে শুরু করেছেন। তবে প্রিয়াঙ্কার আজকের অংশগ্রহণ এই আন্দোলনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত।