নিজস্ব সংবাদদাতা: ২০১৩ সালে ভয়াবহ মেঘভাঙা বর্ষণে তছনছ হয়েছিল ভগবান কেদারনাথের চারধাম। গঙ্গা, অলকানন্দা, নন্দাদেবীর পবিত্র ভূমিতে নেমে এসেছিল ঈশ্বরের অভিশাপ। বিশ্বজোড়া করোনা মহামারীর রেশ কাটতে না কাটতেই ফের উত্তরাখণ্ডে ফিরল বছর আটেক আগের সেই স্মৃতি।

উত্তরাখণ্ড
Amar ujala

উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার তপোবন এলাকায় ধৌলিগঙ্গা নদীতে এদিন সকালে আচমকাই দেখা দেয় বিপুল জলোচ্ছ্বাস, আর তার জেরেই প্রায় লন্ডভন্ড হয়ে গেছে কেদারধাম। জানা গেছে, হিমবাহ চ্যুতির ফলে এই আকস্মিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, নেমেছে তুষারধ্বসও। এখনও পর্যন্ত ১৫০-র বেশি মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন।

উত্তরাখণ্ডে বিপর্যয় মোকাবিলায় একপ্রকার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কোমর বেঁধে নেমেছে সরকার, প্রশাসন এমনকি সেনাও। ভারতীয় বায়ুসেনা উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছে বলে জানা গেছে। এদিন বায়ুসেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “উত্তরাখণ্ডে দুর্গত অঞ্চলে উদ্ধারকার্যে সাহায্যের জন্য দেহরাদুন ও আশেপাশের অঞ্চলে দু’টি এমআই-১৭ ও একটি এএলএইচ ধ্রুব চপার তৈরি রাখা হয়েছে। যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে আরও চপার পাঠানো হবে।”

কেদারধামের দুর্দিনে চুপ করে নেই প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। উত্তরাখণ্ডের সঙ্গে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট বার্তায় জানিয়েছেন, “উত্তরাখণ্ডের দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির উপর আমি অনবরত নজর রাখছি। গোটা দেশ উত্তরাখণ্ডের পাশে আছে এবং তার সুরক্ষার জন্য প্রার্থনা করছে। আমি অনবরত সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মী এবং জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা কমিটির (NDRF) সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। পুরোদমে উদ্ধারকাজ চলছে।”

এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্য, “নরেন্দ্র মোদী সরকার এই গভীর সংকটকালে উত্তরাখণ্ডের পাশেই আছে। সমস্ত সহায়তার মাধ্যমে রাজ্যের স্বাভাবিক জনজীবন ফের ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্র সরকার বদ্ধপরিকর।”

ট্যুইট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। উত্তরাখণ্ডের দুর্দিনে নিহতদের পরিবারের প্রতি নিজের গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে আহতদের দ্রুত সুস্থতার কামনাও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।