fbpx
Home অন্যান্য উত্তরাখণ্ড বিপর্যয় নিখোঁজ বাংলার ৩ যুবক

উত্তরাখণ্ড বিপর্যয় নিখোঁজ বাংলার ৩ যুবক

নিজস্ব সংবাদদাতা :- গতকাল উত্তরাখণ্ডে অলকানন্দা হিমবাহের একাংশ ভেঙে পড়ে যে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছে তার কথা সবাই জেনে গিয়েছে। কিন্তু সমস্ত আশা ভরসার প্রদীপ নিভিয়ে দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে নিখোঁজ ১৫৩ জনের মধ্যে কেউই হয়ত আর বেঁচে নেই! যদিও এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে উত্তরাখণ্ড সরকার। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানরা সমানতালে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

নিখোঁজদের সমস্ত তথ্য সামনে আসার পর জানা যায় বাংলার ৩ জন যুবক‌ও ওই তালিকায় আছে। গতকাল সকালের ওই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর থেকে তাদের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরিবার-পরিজনরা বারবার মোবাইলে ফোন করলেও কোনো রিং হয়নি। জানা গিয়েছে তারা সকলেই ঋষি গঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করতেন। জানা যাচ্ছে তারা সকলেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অধিবাসী। এর মধ্যে মহিষাদলের ২৬ বছরের যুবক সুদীপ গুরিয়ার বাড়ির লোকজন কান্নাকাটি করছে। তার বৃদ্ধ বাবা কান্নায় ভেঙে পড়ে হাত জোড় করে আবেদন জানান যেভাবে হোক তার ছেলেকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

জানা গিয়েছে নিখোঁজ ১৫৩ জন প্রত্যেককেই ওই সময় ঋষি গঙ্গা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কাজ করছিলেন। তাদের কেউ কেউ হিমবাহের ভাঙা অংশও ধেয়ে আসতে দেখে পালানোর চেষ্টা করলেও সফল হননি। তাদের সবাই স্রোতের মুখে ভেসে যান। পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় স্রোতের ধাক্কায় তাদের পাথরে আছাড় খাওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

এখনো পর্যন্ত ১০ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে আশঙ্কার মধ্যেই সাফল্যের আলো হল যে দুটি সুড়ঙ্গে কর্মরতরা আটকে পড়েছিলেন সেখান থেকে ৪২ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে পেরেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। উদ্ধার হওয়ার পর সকলেই জানান একসময় তারা জীবনের আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত বেঁচে ফেরায় তারা মনে করছে দ্বিতীয় বার জন্ম লাভ হয়েছে।

এদিকে গতকালের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর তপোবন বাঁধ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। সেখানে কিছু কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপ পড়ে থাকা ছাড়া আর কোনো কিছু দেখা যায়নি। যোশীমঠ লাগোয়া গ্রাম রেনী এই বিপর্যয়ের ফলে ইতিহাসের পাতায় আশ্রয় নিল। এই গ্রামের সামান্যতম চিহ্ন আজ দেখতে পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞদের অভিমত হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে সরকার অবিলম্বে যাবতীয় নির্মাণকাজ বন্ধ না করলে এরকম বিপর্যয় একের পর এক হতেই থাকবে।

NO COMMENTS