করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে দেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় নতুন করে ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮১০ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মহারাষ্ট্রে প্রতি ৩ মিনিটে ১ জন মারা যাচ্ছেন। কেবলমাত্র মুম্বইয়ের শহর এলাকাতেই গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ৮ হাজার ৪৬৮ জন। রবিবার শুধু মুম্বই শহরে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। যা শুনলে গা শিউড়ে উঠছে। সবচেয়ে চিন্তার দিন দিন দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় রেকর্ড বৃদ্ধি ঘটেছে। এর ফলে হাসপাতালে রোগীদের ভর্তির সঙ্কট তৈরি হচ্ছে। গত ৫ দিনে ২ লক্ষের বেশি মানুষের নয়া সংক্রমণের জেরে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দেড় কোটি ছাড়িয়ে গেল। মোট মৃত্যুও দেশে ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ছাড়িয়েছে।

তবে এত খারাপের মাঝে একটাই ভাল খবর হল আইসিএমআর-এর এক রিপোর্ট। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউ আগের থেকে কম শক্তিশালী। অর্থাৎ সংক্রমণের ভয়াবহতা অনেক কম। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও ঘাতকতা কম, এমনটাই জানিয়েছেন আইসিএমআর। এক সমীক্ষার পর (যা ১০,০০০ মানুষের উপর করা হয়েছে) আইসিএমআর জানিয়েছে, করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু হারে খুব কম পার্থক্য রয়েছে। বিভিন্নভাবে জল্পনা ছড়াচ্ছে, এবার এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে তরুণরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এটা পুরোপুরি একটা মিথ বলেই জানানো হয়েছে।

কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে ৫০০, উত্তীর্ণতে ৫০০, গীতাঞ্জলিতে ২০০, আনন্দপুরে ৭০০ বেড নিয়ে ‘সেফ হোম’ তৈরি হবে। ১০ টি অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড়িয়ে থাকবে ‘সেফ হোম’-এর বাইরে। এমনই ঘোষণা করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। রাজ্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে ৫ কোটি ৪০ লক্ষ ভ্যাকসিনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামিকাল থেকে রাজ্যের সমস্ত স্কুলও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষকদেরও আর যেতে হবে না স্কুলে। সব মিলিয়ে ওয়ার্ক ফ্রম হোমেই ফিরছে দেশ, ফিরছে রাজ্য।