ঘুরতে যাওয়ার তাড়না,কিন্তু সঙ্গে আছে করোনা।
ভ্রমণপিপাসু বাঙালিকে গৃহবন্দী করে রাখা এককথায় প্রায় দুষ্কর।কিন্তু বিগত ছয়-সাত মাসে এই অসাধ্য সাধনে সক্ষম হয়েছে অতিমারি করোনা।তবে এখন কিছুটা হলেও পরিস্থিতি বদলেছে। সারা দেশ আবার আস্তে আস্তে সেই পুরনো চেনা ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে। গৃহবন্দী দশা থেকে মুক্তি পেয়ে একটু খোলা বাতাসের আশায় পর্যটকরা ছুটে যাচ্ছেন দেশের নানা টুরিস্ট স্পট গুলো তে। তবে এই কথাটা ভুলে গেলে চলবেনা যে অতিমারির প্রভাব কিছুটা কমেছে কিন্তু একেবারে মিলিয়ে যায়নি। ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত এই অতিমারির সাথে যুঝে চলতে হবে আমাদের।
তাই দেখে নেওয়া যাক এই নিউ নরমালে ঘুরতে গেলে কি কি সর্তকতা মাথায় রাখতে হবে-
ঘুরতে যাওয়ার যাত্রাপথ

এই নিউ নরমালে ঘুরতে যাওয়ার জন্য কাছেপিঠে টুরিস্ট স্পট খুঁজে নেওয়া বেশি সুবিধাজনক, যাতে নিজস্ব গাড়িতে বা গাড়ি ভাড়া করে নিজেদের মতন ঘুরে আসা যায়। তবে ট্রেন বা বিমানে ট্রাভেল করতে চাইলেও মাথায় রাখতে হবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ।ফেস মাস্ক,স্যানিটাইজার, ফেস শিল্ড সাথে রাখা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও রেল ও বিমান কতৃপক্ষ কর্তৃক প্রণীত করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।
ঘুরতে গিয়ে ভুড়িভোজ

ঘুরতে গিয়ে খাওয়া দাওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গেলে চলবে না।যাত্রাপথের জন্য বাড়িতে তৈরী খাওয়ার সাথে রাখতে হবে।বাইরের খাওয়ার যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। কেক, বিস্কুটের মতোন শুকনো খাওয়ার সাথে রাখতে হবে। সাথে বাচ্চা বা বয়স্করা থাকলে তাদের জন্য বাড়ির তৈরী খাওয়ার বেশী পরিমাণে রাখতে হবে। রাস্তার ধারের দোকানে বসে খাওয়ার মোহ ত্যাগ করতে হবে। প্রয়োজনে হোটেলে এনে পরিষ্কার পরিবেশে খাওয়া যেতে পারে।খাওয়ার জন্য এমন জায়গা বেছে নিতে হবে যেখানে করোনা সংক্রান্ত প্রোটোকল সঠিক ভাবে মানা হচ্ছে।
ঘুরতে গেলেও শরীর আগে

ঘুরতে যাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের করোনা পরীক্ষা করিয়ে নিন। অনেক পযর্টন কেন্দ্রে ঢোকার সময় বা হোটেলে চেক ইন করার সময় করোনার রিপোর্ট প্রয়োজন হতেই পারে। হোটেল বা ট্রাভেল এজেন্সির থেকে সবিস্তারে জেনে নিতে হবে বয়স্ক বা শিশুদের নিয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে কি না। সুগার,প্রেশার,হার্টের সমস্যা জনিত রোগ থাকলে ঘুরতে যাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। ঘুরতে গেলেও সাথে রাখতে হবে প্রয়োজনীয় সমস্ত ওষুধ।
ঘুরতে গিয়ে হোটেল নিবাস

হোটেলে চেক-ইন করার আগে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে যে আগের অতিথিদের চেক আউটের পর বিছানার চাদর,কভার,পর্দা,বিছানা ঠিকভাবে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে কি না। হোটেলের কমন পুল বা পার্ক এড়িয়ে চলতে হবে।লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার বেশী নিরাপদ। সাথে সবসময় থাকুক সারফেস ক্লিনার স্প্রে।
ঘুরতে গেলেও করোনা সাথী

পর্যটন কেন্দ্রের কোভিড পরিস্থিতি একেবারেই দৃষ্টি অগোচর করা যাবেনা। টুরিস্ট দের প্রতি স্থানীয় বাসিন্দাদের মনোভাব কেও সম্মান দিতে হবে। কারণ করোনার আতঙ্ক মানুষের মন থেকে এখনো মোছেনি। পপুলার টুরিস্ট হটস্পট গুলো যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত।
সাবধানের মার নেই। কিন্তু সবচেয়ে বেশী সাবধানী পদক্ষেপ এই মুহুর্তে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানিং গুলো পিছিয়ে দেওয়া। এক ভয়ানক অতিমারির সাথে ঘর করছি আমরা। এক বছরের জন্য নিজেদের শখ আহ্লাদ থেকে নিজেদের বঞ্চিত করতে হবে কিছুটা। করোনার সাথে সারা পৃথিবী লড়ছে,আমাদের ও সেই লড়াই-এ পাশে থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঃ
https://www.banglakhabor.in/wp-admin/post.php?post=5911&action=edit