গদি ছেড়েও কি এঁটে থাকবেন ট্রাম্প? ট্রাম্প কি নিজেকে গদিহীন দেখতে পারছেন না?
বিষয় যখন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন তখন তার উত্তেজনাও কোনও রিয়্যালিটি শোয়ের হট সিটের থেকে কম নয়। কে বসবে এবার গদিতে? ২০২০ সালের নির্বাচনের দিকে সারা বিশ্বের চোখ থাকার উপরি কারণ হল ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই বছরের নির্বাচনী প্রচারের সময়ও দেখা গেছে রিপাবলিকান দলের সাথে ডেমোক্র্যাট দলের নির্বাচনী লড়াইকে বাড়তি তড়কা দেয় ট্রাম্পের অযৌক্তিক আচরণ। বাজিমাত করে অবশ্য এবারের নির্বাচনী লড়াই জিতে যান জো বাইডেন। লড়াই যেখানে শেষ হওয়ার কথা ছিল ট্রাম্প ঠিক সেখান থেকেই শুরু করলেন এক অভিনব কন্দল।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া ডাটা অনুযায়ী ২০২১ সালের ২০শে জানুয়ারি জো বাইডেন আমেরিকার নবনির্বাচিত তথা ৪৬তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন। বাইডেন বরাবরই সংযতভাবে ঐক্যের কথা বলেছেন, অন্যদিকে ট্রাম্প ফল ঘোষণার পরেও দাবী করেন যে তিনিই জিতেছেন। এ যেন কোনও ছোট বাচ্চার অন্যের খেলনাকে দিতে না চাওয়ার জেদ।
ছবিটি যে ভিডিও থেকে নেওয়া হয়েছে সেই ভিডিওতে একজন প্রৌঢ় রাষ্ট্রপতি অর্থাৎ ট্রাম্প একটি শিশুর বল নিয়ে নিজের অধিনস্ত রাখেন, সেটি দিতেও চান না। পরে তার থেকে সেই বল কেড়ে শিশুটিকে ফেরৎ দিলে তিনি উক্ত শিশুর থেকেও শিশুসুলভ আচরণে কান্না জুড়ে দেন এবং ওই জায়গা থেকে যেতে রাজি হন না। শেষে তাঁকে রীতিমত টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যান তাঁর দেহরক্ষী। ট্রাম্পের এহেন আচরণের পর সারা বিশ্ব তথা সোশ্যাল মিডিয়া স্তম্ভিত। সেই ট্রাম্প ভোটে হেরে আরও কি কি কাণ্ড ঘটালেন আসুন সেটাই দেখে নেই।

প্রথমত, যে সংবাদ সংস্থাগুলি নির্বাচনের খবর প্রকাশ করেছিল (যেমন- Fox News https://www.foxnews.com/) তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে খবর সম্প্রসারণের মামলা করেন।
দ্বিতীয়ত, হারার ফলে দেশে দাঙ্গা লাগবার হুমকিও দেন।
তৃতীয়ত, ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। পুনর্গণনারও দাবী তোলেন সেই সাথে।
চতুর্থত,এই বছরের প্রেেসিডেন্ট নির্বাচন আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে “অসুুুরক্ষিত নির্বাচন” বলে আখ্যা দেন।
ফলাফলের উপর নির্ভর না করে গদি আঁকড়ে রাখার এমন নজির বিরল। গদির মোহগ্রস্ত এহেন রাষ্ট্রপতির সব আশায় শেষ পর্যন্ত জল ঢেলে দেয় আদালত। যেসব প্রদেশে ভোটের কারচুপির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ট্রাম্প সব মামলাই খারিজ হয়ে যায়। আদালত একথা স্পষ্ট করেই রায় দিয়েছে যে অপপ্রচার করে মামলা বা নির্বাচন কোনও জয়ই সম্ভব নয়। সঙ্গে তার প্রশাসনিক নির্দেশ নাকচ করেই পুনরায় “ডেফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস” প্রকল্প জারির নির্দেশ দেন আদালত।

মামলার রায়ের পরেও ট্রাম্পের আইনজীবী দাবী করেন এই সব কিছুই আসলে “রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র”। গদির জন্য নাছোড়বান্দা ট্রাম্প আর কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করার অভিপ্রায় রাখে সেটাই আগামী দিনে দেখার।
দেশ – বিদেশের আরও হালহকিকত জানতে পড়তে থাকুন বাংলা খবর।