সোমবার চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং তার দেশের সেনাবাহিনীকে ‘পুরো সময়ের লড়াইয়ের প্রস্তুতির’ উপর জোর দিয়ে ‘যে কোনও মুহুর্তে প্রস্তুত’ থাকার আদেশ দিয়েছেন।
তিনি সর্বদা প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে সশস্ত্র বাহিনীকে বাস্তব যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রশিক্ষণ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
এর জন্য পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-কে অবশ্যই যে কোনও সেকেন্ডে কাজ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে এবং পুরো সময়ের লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে থাকতে হবে। এর পাশাপাশি চীন-এর প্রেসিডেন্ট আরও বলেন যে ফ্রন্টলাইন ফ্রিকশনগুলিতে সৈন্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং উচ্চমানের প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের জন্য উন্নত প্রযুক্তিও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
২০২১ সালে শি জিনপিং স্বাক্ষরিত কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের (সিএমসি) প্রথম আদেশে তিনি সামরিক প্রশিক্ষণকে সত্যিকারের যুদ্ধের পরিস্থিতিতে নিয়ে গিয়ে এবং জয়ের ক্ষমতাকে সুনিশ্চিত করার বিষয়ে জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সামরিক শক্তি হিসাবে পিএলএ'(পিপলস লিবারেশন আর্মি)র অবশ্যই সিএমসি এবং সিপিসির আদেশ কঠোর ভাবে প্রয়োগ’ করতে হবে।
চীনের প্রেসিডেন্ট মহড়ার ক্ষেত্রে উচ্চ প্রযুক্তির ব্যবহার সামান্য বৃদ্ধি করতে এবং সামরিক ও উচ্চ প্রযুক্তির জ্ঞানের সর্বশেষ উন্নয়নগুলি চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন।এর মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার সিমুলেশন এবং সেনাবাহিনীর ড্রিলগুলিতে অনলাইন লড়াইয়ের ব্যবহার, পাশাপাশি প্রশিক্ষণে টেক + এবং ওয়েব + – নামে পরিচিত হাই-টেক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য আরও সুযোগের সন্ধান চালানো হচ্ছে।
২০২০ সালে ভারতের সাথে গালওয়ান ভ্যালির তিক্ত অভিজ্ঞতার রেশ এখনও বর্তমান চীনের কাছে, হয়তো ভবিষ্যতের এমন আরো সম্ভাবনা কেই মাথায় রেখেই সামরিক বিষয়ে এতো কঠোরতার পন্থা নিচ্ছে চীন প্রেসিডেন্ট। সামরিক আগ্রাসন না নিরাপত্তা, কোন পন্থা গ্রহণ করবে চীন তা এখন সময়ের অপেক্ষা।
বিদেশ নিয়ে আরো খবর জানতে পড়তে থাকুন বাংলা খবর।