ইতিহাসের কুখ্যাত কিছু

জলদস্যুদের কাহিনী

যা আগে কখনও শোনেননি!!!

ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত কিছু জলদস্যু

জল মানে ই আমাদের্ কাছে এক্ মুল্যবান সম্পদ থেকে কম কিছু নয়। আর যখন এই জলের ব্যবহারযোগ্যতা নিয়ে কথা ওঠে তখন উপকারীতা বলে শেষ করা কঠিন হয়ে পরে।

বর্তমান সময়ে যাতায়ত ব্যবস্থা এত উন্নত হয়ে উঠলে ও আগে একটা সময় ছিল যখন যাতায়ত ব্যবস্থা বিশেষত ব্যবসা বাণিজ্য এর ক্ষেত্রে মুল যাতায়ত ব্যবস্থা এর একমাত্র পথ বলতে ছিল জল পথ।

এই জলপথ একমাত্র ছিল শেষ দেশ বিদেশের সংযোগ রক্ষার মাধ্যম।

তবে এই জলপথে বানিজ্য করা যে মুড়ি মুড়কি এর ব্যপার ছিল সে গুরে বালি।

তুমুল ঝড় বৃষ্টি পাকৃতিক দূযোগ যেমন যাত্রাপথে পারি দেওয়ার পথে হয়ে উঠত প্রবল সমস্যা বিষয়, তেমন ই অন্য দিকে ফাঁদ পেতে থাকতো আরেক গোপন ভয়ানক চ্যালেঞ্জ যার অপর নাম জলদস্যু।

এই জলদস্যু আক্রমণ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর থেকে কোনো তালে কম ছিল না।

ইতিহাস ঘেটে ভালোভাবে খুঁজে দেখলে বোঝা যাবে প্রাচীন কালে বেশির ভাগ দুর-আন্তর্জাতিক বানিজ্য রাজ ভ্রমণ,পন্য বিনিময়ে যাওয়ার ঘটনাবলী জলদস্যু দের থাবাগ্রস্থ।

পাকৃতিক বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া গেলেও একবার জলদস্যু দের হাতে পরলে সেখান থেকে রক্ষা পাওয়া পাওয়া অসম্ভব বলে ধরা হত।
সমুদ্রের গভীরে ভেসে থাকা

এই জলদস্যু র দলে দলে বড়ো জাহাজ এ করে শিকার এর উদ্যেশ্যে ঘুরে বেড়াতো ও অবাধে লুঠপাট চালানো তুমুল হত্যা করে জলসমাধি বানিয়ে দেওয়া ছিল এদের কাজ।এরপর এরা নিজেদের পরবর্তী শিকার খুঁজতে বেরিয়ে পড়তো।
আজ এরম ই ইতিহাসের পাতায় নাম লিখে রাখা কিছু জলদস্যুদের নিয়ে আলোচনা করবো যাদের নৃশংসতার কারবার আপনাদের গা শিহরিত করে তুলবে।

হার্মাদ:~

640505 1
google.com

বঙ্গদেশিয় জলদস্যুদের মধ্যে অন্যতম ছিল এই গোষ্ঠী, হার্মাদ বলতে মূলত বঙ্গদেশের পূর্ব ও দক্ষিণের প্রান্ত উপকূলবর্তী এলাকায় এই দস্যু গোষ্ঠী নিজের শিকার করতো, মোগল সাম্রাজ্যের সাথে শত্রুতার কারণে আরাকানের অন্য আরেক জলদস্যু মগ দের সাথে এরা যোগ দিয়েছিল ।

এর ফলে তৎকালীন মোগল সম্রজ্যাধিন বাংলা অবাধে লুঠপাট,হত্যালীলা,লুণ্ঠন করে সেখান কবজা করে নিতে পারে এবং একত্রিত হওয়ার দরুন এদের দল ভারী হতে এই গোষ্ঠীকে আটকানো আরো কঠিন হতে পড়ে।

অবাধে লুণ্ঠন ,স্থানীয় দের উপর অত্যাচার এর পাশাপাশি নারীদের সম্মানহানি,অপহরণের মত নানবিধ নৃশংস কার্যাবলী করার পাশাপাশি সামনে আশা সাধারণ মানুষদের জলসমাধি বানিয়ে দিতেও এরা দ্বিতিয়বার ভাবত না।

আনুমানিক ১৬-১৭শতকে এদের অত্যাচার যথেষ্ট প্রবল ভাবে দেখা দিয়েছিল।

সোমালিয়ার জলদস্যু:~

pVWuly 1
google.com

অন্যান্য বিখ্যাত জলদস্যু দের মধ্যে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কথা আমরা অনেকেই জানিনা বা শুনিনি,তবে তৎকালীন সময়ে আরব সাগর কিংবা লোহিত সাগর এর কথা উঠলেই এই গোষ্ঠীর রমরমা তেজ ছিল জলপথে।

সমুদ্র মাঝে পণ্য জাহাজ লুঠ করতো আছেই তার সাথে সেখানকার যাত্রীদের বন্দী করা,লুণ্ঠন হত্যা ,ধর্ষণ ও অন্যান্য নৃশংস আচরণ এর কাহিনী গা শিহরণীয়।

আনুমানিক খ্রিস্টিয় ১৬০০-১৭০০ সাল নাগাদ এই জলদস্যু দের অত্যাচার জনসমক্ষে আলোড়িত হয়।

ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চল বিশেষ করে সোমালিয়া সাগর এ দাপিয়ে রাজত্ব করতো, চরম দারিদ্র্য ভাব যক্ত এই অঞ্চলের সামুদ্রিক জেলেদের এক অংশই এই দস্যু কর্মের সাথে সংযুক্ত ছিল।

ব্ল্যাক বেয়ার্ড:~

wYLD2b
google.com

ইতিহাসের সবচেয়ে নৃংসতম জলদস্যুদের মধ্যে অন্যতম ছিল ব্ল্যাক বিয়ার্ড, তিনি ছিলেন জলদস্যু দের নেতা।গভীর সমুদ্রে ওত পেতে রেখে শিকার করে বিপুল হারে লুঠপাট চালনো ছিল ব্ল্যাক বিয়ার্ড গোষ্ঠি।

একবার ভুলবশত কপাল খারাপের দরুন এদের হাতে পড়লে আর রক্ষ্যে থাকতো না।সমস্ত কিছু সম্পত্তি লুঠপাট করে সব যাত্রী টিতা নিজের শিকারদের প্রত্যেক কে মেরে সমুদ্রের জলে এরা ফেলে দিত ।

অত্যাচারের এই ভয়াবহতা সচক্ষে উপলব্ধি করলে হিরো জলপথে যাত্রা করার চিন্তাভাবনা আপনার মাথায় আর কখনো আসবে না,

এদের বিপুল পরিমাণে সঞ্চয় করা সম্পত্তি এরা গুপ্তধন এর আকারে সঞ্চয় করে রেখেছিল যার বর্তমানে কতটা মূল্যবান টা বুঝতে দেরি রাখেনা ।

এই কয়েক লক্ষ্য কোটি টাকার সম্পত্তি খোঁজার জন্য বিভিন্ন উদ্ধার সংস্থা এখনও উঠে পড়ে লেগে রয়েছে।তবে এই গুপ্তধন কোথায় আছে তার কোনো নিদর্শন বা খোজ – সূত্র কারোর কাছে নেই।

চ্যাঙ বাহিনী:~

640505
google.com

জলদস্যু দের আক্রমণের ঘটনায় যে নারীরা কোনো অংশে পিছিয়ে ছিল তা নয়।

ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা গেলে পুরুষদের মতই নারীদের ও বিভিন্ন দশ্যুবাহিনির কথা আমরা জানতে পারবো যারা জলপথে নিজেদের আতঙ্ক গড়ে তুলে নিজেদের উপর সাধারণ মানুষদের ভয় করতে বাধ্য করতো।

এই নারীদের দলের অন্যতম নেত্রী ছিলেন ডাকাতি ও অপহরণের রাণী চাং ই সাও।

১৮০১ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ কুখ্যাত জলদস্যু নেতা সরদার চাং এর সাথে তার বিবাহ হয় ও তিনিও স্বামীর মত সচরাচর জলদস্যুদের নেতৃত্ব দেবার পদ গ্রহণ করেন

।তার দখলে প্রায় ১০০র বেশি জাহাজ অজস্র নৌকা ও প্রায় ৫০,০০০ র সংখ্যার জলদস্যু বাহিনীর ছিল।

এই বিরাট সংখ্যক দল নিয়ে অভাধে লুঠপাট চালাতে দস্যু রানীর কোনো সমস্যা হতনা বরং দিব্যি সমগ্র দল কে একাই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে রমরমিয়ে সন্দ্রু মাতিয়ে বেড়াতেন এই রাণী।

মাছ ধরার নৌকা হোক আর পণ্যবাহী জাহাজ কিছুই রেহাই পেতোনা এদের হাত থেকে।

¿ গভীর সমুদ্রে কি লুকিয়ে ?

! কেউ জানেনা ¡

তবে সব জলদস্যু ই যে খারাপ তা ভাবার কারণ নেই

কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা মানুষদের তথা দারিদ্য দের সহায়তাও করতো