আপনার বিয়ে আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন আর সেই দিনটা নিজের মনের মতোন করে সাজিয়ে তুলতে কেই বা না চাইবে?আপনার বিশেষ দিনটিকে স্বপ্নের মতো রূপ দেওয়ার জন্য যদি আয়োজন করা যায় একটা থিম ওয়েডিং-এর তাহলে কেমন হয় ব্যাপার টা? কি ভাবছেন, সম্ভব নয়? আলবাত সম্ভব। আর এই কাজটাই করে দেখাচ্ছেন এখনকার ওয়েডিং প্ল্যানার-রা। আপনার স্বপ্নের আবেশে সাজিয়ে তুলুন আপনার বিয়ের বিশেষ দিনটি। আজ রইলো এরকমই কিছু থিম বিয়ের আইডিয়া। জানতে হলে পড়তে হবে পুরো আর্টিকেলটি-
রূপকথার থিমঃ

“তারপর তারা সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করতে লাগলো”-আমাদের ছোটোবেলার সাধের রূপকথার গল্পগুলোর শেষ এভাবেই হয়। ছোটবেলার সেই রাজপুত্র রাজকন্যার গল্পের আঙ্গিকে যদি সাজিয়ে তোলা যায় বিয়ের দিনটা তাহলে সেটা কি খুব মন্দ হয়? একেবারেই না।এই রূপকথার জগতকেই বাস্তব রূপ দিচ্ছে এখনকার ওয়েডিং প্ল্যানাররা। একটা আউটডোর লোকেশন নিয়ে সেটাকে কৃত্রিম জলাশয়, পক্ষীরাজ ঘোড়া, বাগান, রাজপ্রাসাদ,রাজহাঁস ইত্যাদি ডেকোরেটিভ সেট দিয়ে সাজিয়ে জায়গাটিকে রূপান্তরিত করা হচ্ছে রূপকথার স্বপ্নপুরীতে। বর বউয়ের বিয়ের পোশাকেও থাকছে রূপকথার ছোঁয়া। সাধারণত হালকা সাদা বা গোলাপির মত মায়াবী আলোয় সেজে উঠছে বিয়ের মণ্ডপ। স্বপ্ন আর বাস্তবের তফাৎ থাকবেনা বিশেষ।
রাজকীয় থিম:

নিজের বিয়ের দিনে রাজকীয় আঙ্গিকেকের স্বাদ পেতে কেই বা না চায়। ‘দ্য রয়েল ইন্ডিয়ান ওয়েডিং’এই নামটা ইতিহাসের পাতা থেকে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে সারা পৃথিবীর দরবারে। এক্ষেত্রে ওয়েডিং ভেন্যু হিসেবে ভাড়া নেওয়া যেতে পারে কোনও জমিদার বাড়ি। কলকাতা পার্শ্ববর্তী এলাকায় অনেক জমিদার বাড়ি এখন বিয়ের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়। বাজেট একটু বেশি থাকলে হায়দ্রাবাদ বা উদয়পুর এর মতোন জায়গায় করা যেতেই পারে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং। বর বউয়ের পোশাক থেকে শুরু করে অতিথিদের বসার জায়গা, সর্বত্রই থাকবে রাজকীয়তার ছোঁয়া। বাদ্যযন্ত্র হিসেবে সানাই-নাগাডা-ঢোলের উপস্থিতিতে রাজকীয় আমেজ তৈরি হবে সহজেই। খাবারের মেনুতে থাকবে রাজকীয় সমস্ত পদ। খাওয়ার পরিবেশনেরও থাকবে ঐতিহ্যের ছোঁয়া। তাহলে আর দেরি কেন, না হয় একদিনের জন্যই, তাও বা কেন ছাড় যাবে রাজকীয় অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ?
প্রাকৃতিক থিম:

যান্ত্রিকতার চাকায় পিষ্ট এই শহর থেকে ছুটি নিয়ে যদি জীবনের বিশেষ দিনটি কাটানো যায় সার্বিকভাবে প্রকৃতির ছোঁয়ায় তাহলে ব্যাপারটা মন্দ হয় না। বিয়ের মন্ডপ সেজে উঠুক সবুজের সমারোহে। ডেকরেশনের কাজে কৃত্রিম ফুলের বদলে ব্যবহার করা হবে আসল ফুল। বর এবং বউ এর সাজেও থাকবে প্রকৃতির ছোঁয়া। খাওয়ার পরিবেশনের জন্য ব্যবহার করা হবে মাটির পাত্র, আলোর জন্য ব্যবহার করা হবে মাটির প্রদীপ এবং মোমবাতি। বিয়েতে আগত অতিথিদের জন্য রিটার্ন গিফট হিসেবে থাকতেই পারে ছোট্ট গাছের চারা।
বিচ পার্টি থিমঃ

অতিরিক্ত সমারোহে অনেক লোকজনের মাঝে নিজের বিশেষ দিনটি কাটাতে চান নাম একান্তে নিরিবিলিতে নিজের পছন্দের কিছু মানুষদের সাথে কাটাতে চান এই দিন টা? তাহলে বিচ পার্টি থিম আপনার জন্য একেবারে আদর্শ। সমুদ্রের ধারের কোন রিসোর্ট বুক করে সেরে ফেলুন বিয়ের অনুষ্ঠানটি। অভ্যাগতদের জন্য আয়োজন থাকুক নানা রঙের ছাতা, টুপি, সানগ্লাসের। বিয়ের জন্য মণ্ডপটি সেজে উঠুক ঝিনুক এর ডেকোরেশনে। খাবার হিসেবে থাকুক সামুদ্রিক মাছের একাধিক আইটেম আর পানীয়তে থাকুক ডাবের জল। একেবারে নির্ঝঞ্ঝাট আলাদা আমেজে সেরে ফেলুন বিয়ে।
কয়েকদিন আগে অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য বিয়ে সারলেন নাট্যমঞ্চের থিমে । বোঝাই যাচ্ছে বাঙালীর থিম পার্টি এখন শুধু জন্মদিনেই সীমাবদ্ধ নয় তাহলে আর দেরি না করে নিজের বিশেষ দিনটি কেমন ভাবে সাজানো যায় এখন থেকে শুরু করে দিন তার পরিকল্পনা।
আরও পড়ুনঃ
https://www.banglakhabor.in/wp-admin/post.php?post=5911&action=edit