ভাইরাসের দাপটে “মৃত্যুপুরী” তকমা পাওয়া আমেরিকা এবার বিশ্ববাজারে ভ্যাকসিন আনছে, তবে নিজের দেশকে শসান হতে দেখার কারণটা ঠিক কি ছিলো? রাজনীতির আঙ্গিকে প্রশ্ন তুলেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা, আলি খামেনি। কেবল প্রশ্ন ই নয়, অক্সফোর্ড ও ফাইজারের ভ্যাকসিন ইরানে কোনোমতেই প্রবেশ করতে দেবেন না,এমনটাই জানিয়েছেন তিনি । এ প্রসঙ্গে” “ব্রিটিশ এবং আমেরিকানদের বিশ্বাস করা উচিত নয়। নিজেদের লাভের জন্য অন্যের ক্ষতি করতে ওঁরা একবারও ভাবে না। করোনার টিকার নামে মানুষদের ওপর ওঁরা গিনিপিগের মত পরীক্ষা চালাতে পারে। ইচ্ছে করে অন্য দেশের মানুষের মধ্যে নতুন করে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে” এমন বক্তব্য ও সামনে এসেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিপূর্বে কম ভোগান্তির সম্মুখীন করেননি ইরান কে। ট্রাম্প প্রস্তাবিত “সর্বোচ্চ চাপ” নীতির মত নিষেধাজ্ঞার কথা মাথায় রেখে অদ্ভুত এক বিতৃষ্ণা জন্মেছে ইরানের ।

অক্সফোর্ড এবং ফাইজারের ভ্যাকসিন প্রত্যাখ্যান এর সাথে সাথেই যে প্রশ্ন উঠে আসছে তা হলো, তবে কোন সেই বিশ্বস্ত দেশ যাদের ভ্যাকসিন কে সঠিক বলে বেছে নেবে ইরান? এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু এখন ও জানায়নি ইরানীয় কতৃপক্ষ । অন্যদিকে ইরান আশাবাদী যে খুব শিগ্রহী দক্ষতার সাথে তাদের বিজ্ঞানীরা এক সফল ট্রায়াল এর পথে এগোতে পারবে । এরকম এক পরিস্থিতিতে “ভ্যকাসিন নিয়ে রাজনীতি যেন না হয়” এমনই আদেশ বিশ্ব সাস্থসংস্থা র তরফ থেকে ইরান কে পাঠানো হয়েছে। রাজনীতিতে শত্রু মিত্রের সম্পর্ক বহু পুরনো এবং তা ভবিষ্যতেও সমান তালে বজায় থাকবে।কিন্তু সেই শত্রুতা কে একমাত্র বিবেচ্য বিষয় হিসেবে মাথায় রেখে এগিয়ে চললে ভবিষ্যত এ মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে ইরান– WHO এর তরফ থেকে এমনই বার্তা এসে পৌঁছেছে ইরানের কাছে। যে ভ্যাকসিন জীবন বাঁচানোর আশ্বাস দিচ্ছে, অসহায় মানুষকে বাঁচার আশা দেখাচ্ছে সেই ভ্যাকসিন কে কেবল শত্রুতার ভিত্তিতে গ্রহণ না করা কি আদেও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেওয়া হবে? প্রশ্ন উঠে আসছে ইরানের কাছে।

WhatsApp Image 2021 01 10 at 11.39.34 PM 1